পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্বপ্ন দেখতেন ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা করবেন। প্রশ্নফাঁসে সে স্বপ্ন ভেঙ্গে যায়। নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন গ্লোবালাইজেশনের যুগে ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনশিপে পড়ে দেশ সেবা করবেন। দেশের হয়ে বিশ্ব যোগাযোগে ভূমিকা রাখবেন। পিতামাতা ছেলেকে নিয়ে নানান রঙিন স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন। সবার স্বপ্নই কাঁচের টুকরোর মতো ভেঙ্গে গেল রাজধানীতে রাজপথে বাসের অনৈতিক প্রতিযোগিতায়। আবার রক্তাক্ত রাজপথ। মা-বাবা ও বন্ধুদের আহাজারী। বাসের চাকার নীচে মৃত্যু যেন ঠেকানোই যাচ্ছে না।
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফোশনালসে (বিইউপি) ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনশিপ (আইআর) বিভাগের ছাত্র ২০ বছরের টগবগে যুবক আবরার আহম্মেদ চৌধুরীর মৃত্যুর সবার স্বপ্নই চূড়মার করে দিয়েছে। ঘাতক বাসের চাকায় পিষ্ট আবরারের রক্তাক্ত নিথর শরীর যখন রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে; তখনো বাস চালকের জিঘাংসা আরো বেড়ে যায়। বিভীষিকাময় দৃশ্য দেখে কেউ চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি। বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে একটি স্বপ্নের মৃত্যুর প্রতিবাদে যখন শিক্ষার্থীরা পথে নামে; তখন তাদের ফাঁসানে সুপ্রভাত নামে বাসের ড্রাইভার-হেলপার কূকর্ম করে বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরিবহন শ্রমিকদের নিজেরাই বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়ার দৃশ্য দেখে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরাই প্রতিবাদ করেন।
রঙিন স্বপ্ন আর বুকভরা আশা নিয়ে অন্য দশ দিনের মতো গতকাল সকালেও প্রিয় ক্যাম্পাসের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন আবরার। ক্যাম্পাসে পৌঁছানোর আগেই সব শেষ। সু-প্রভাত পরিবহণের কূকর্ম তার প্রাণ কেড়ে নেয়। বাসের নামে সুপ্রভাত অথচ কর্মে ঘাতক। নিত্যদিন মানুষের প্রাণ যাচ্ছে বাসের চাকার নীচে; অথচ প্রশাসন নির্বিকার। ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই বিমানবন্দর সড়কের কুর্মিটোলা হাসপাতালের সামনে বাসচাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন স্কুলের দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়। এরপর নিরাপদ সড়কের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠে সারাদেশ। কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলন দেশে পেরিয়ে সারাবিশ্বে খবরের শিরোনাম হয়। কিন্তু পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। বেপরোয়া গতিতে বাস চালানো, পথচারীকে চাপা দেওয়া, বাস-ট্রাক-বাস-লেগুনা-প্রাইভেটকার মোটর সাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষ, খাদে পড়া, পিছন থেকে ধাক্কা দেওয়া, চাকায় ওড়না পেঁচানো, বেপরোয়া গতির কারণে যানবাহনের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলা, বিপদজনক ওভারটেকিং, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, যাত্রীদের অসচেতনতা, চলন্ত অবস্থায় মোবাইল ফোন ব্যবহার, ড্রাইভারদের মাদক সেবন, যাত্রী নেয়ার জন্য অসম প্রতিযোগিতা কোনোটাই বন্ধ হয়নি। প্রতিদিনই সড়ক-মহাসড়কে হাজার হাজার স্বপ্নের মৃত্যু ঘটছে। কিন্তু দেখার যেন কেউ নেই।
বেপরোয়া বাসের চাপায় গতকাল সকাল সাড়ে ৭টায় রাজধানীর নর্দায় আবরার আহমেদ চৌধুরী নামে এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। রাজধানীতে ‘ট্রাফিক শৃঙ্খলা সপ্তাহ’ চলার মধ্যেই এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আবরার বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস’র (বিইউপি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রথম বর্ষের (২০১৮-১৯) শিক্ষার্থী। তাঁর বাবার নাম ব্রিগেডিয়ার আরিফ আহমেদ চৌধুরী (অবঃ)। আবরার পরিবারের সাথে মালিবাগে থাকতেন। দুই ভাইয়ের মধ্যে আবরার বড়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, সুপ্রভাত পরিবহনের দুটি বাস আগে যাওয়ার জন্য বেপরোয়া গতিতে প্রতিযোগিতা করলে একটির নিচে চাপা পড়েন আবরার। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ সময় ঘাতক বাসটির চালক ও হেলপার পালানোর চেষ্টা করলে শিক্ষার্থীরা চালক সিরাজুল ইসলামকে আটক করে। এর আগে একই জায়গায় অনেকের প্রাণহানি ঘটলে সিটি কর্পোরেশন থেকে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের আশ্বাস দেওয়া হয়। কিন্তু বারবার প্রাণ ঝড়লেও সে আশ্বাস বাস্তবায়ন করেনি কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে বিইউপিসহ আশপাশের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। এতে সড়কের উভয়পাশে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। আন্দোলনকারীরা চালকের ফাঁসি ও সুপ্রভাত পরিবহনের রুট পারমিট বাতিলসহ ৮ দফা দাবি জানায়। বেলা ১১টার পরে ঘটনাস্থলে এসে চালকের শাস্তি ও ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণসহ শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। বিকেলের দিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে এসে সংহতি জানান ছাত্র আন্দোলনের নেতা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিপি নুরুল হক নুরু। আজ বুধবার থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাস বর্জন ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন চলমান রাখার আহবান জানায় আন্দোলনকারীরা।
এদিকে, শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ নায্য আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রভাহিত করতে ঘটনাস্থলে থাকা একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দুই পরিবহন শ্রমিক। তাৎক্ষণিক শিক্ষার্থীরা তাদেরকে ধাওয়া করলে একজন পালিয়ে এবং অপর একজনকে আটক করা হয়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শিক্ষার্থীদের বহনকারী বিইউপির একটি বাস সকালে যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে দাঁড়ানো ছিল। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে আবরার বাসে উঠতে গেলে গাজীপুরগামী সুপ্রভাত পরিবহনের একটি বাস তাঁকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। পরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। অবরোধের কারণে সড়কের উভয় পাশে এবং আশপাশের অন্যান্য সড়কে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
আবরার নিহতের ঘটনায় সহপাঠী ও শিক্ষকদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তারা চলে যাওয়া তারা কোনভাবেই মেনে নিতে পারছেন না তারা। আবরারের সহপাঠীরা বলেন, আবরার খুব শান্ত শিষ্ঠ ও অমায়িক স্বভাবের ছিলেন। কারও সঙ্গে ঝগড়াতো দূরে থাক কখনো মনোমালিন্যও হতো না। সিনিয়র ও শিক্ষকদের সঙ্গে তার খুব ভালো ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল।
আবরারের শিক্ষক বিইউপির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শায়লা সুলতানা বলেন, সোমবার দুপুরে আবরারের সঙ্গে দেখা হয়েছিল। অথচ আজকে সে আর আমাদের মধ্যে নেই। এটা ভাবতেই পারছি না। প্রিয় ছাত্রের স্মৃতিচারণ করে এই শিক্ষক বলেন, এক কথায় মনে রাখার মতো ছাত্র ছিল আবরার। যেমন পড়াশোনায়, তেমনি আচার-আচরণে ভালো ছিল। পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা ও বিতর্ক প্রতিযোগিতাতেও তাঁর সরব উপস্থিতি ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের এসব প্রতিযোগিতায় আবরার প্রথম হতো।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা ‘আবরারের বুকে রক্ত কেন?’, ‘টনক তুমি নড়বে কবে?’, উই ওয়ান্ট জাস্টিস, ‘কয়লার সড়কে রক্ত কেন? লেখা বিভিন্ন প্লাকার্ড ও স্লোগান দেয়। তারা জড়িতদের শাস্তিসহ ৮ দফা দাবি জানান। শিক্ষার্থীদের গুরুত্বপূর্ণ দাবির মধ্যে- বাস চালকের শাস্তি, নতুন বাসচালকদের যথাযথ নিয়মে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান, গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় জেব্রা ক্রসিংয়ের ব্যবহার, জেব্রা ক্রসিংয়ের সামনে ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা স্থাপন, প্রগতি সরণির সামনে পদচারী সেতু স্থাপন।
এদিকে, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনচলাকালে বেলা ১১টার কিছু পরে ঘটনাস্থলে আসেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। তিনি ঘাতক বাসচালকের শাস্তি নিশ্চিত ও নিহত শিক্ষার্থীর নামে ঘটনাস্থলে একটি পদচারী-সেতু নির্মাণের আশ্বাস দেন। মেয়র বলেন, দেশের প্রচলিত আইনে বাস চালকের সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিত করাসহ সুপ্রভাত পরিবহনের কোনো বাস ওই রুটে চলতে দেওয়া হবে না। এছাড়া নিহত আবরারের নামে সেখানে তিন-চার মাসের মধ্যে একটি পদচারী-সেতু নির্মাণ করা হবে। এ সময় তিনি আন্দোলনকারীদের অবরোধ তুলে নিতে বললে তারা মেয়রের আশ্বাসে সাড়া দেয়নি। শিক্ষার্থীরা মেয়রকে প্রশ্ন রেখে বলেন- জাবালে নূর পরিবহন এখনো চলছে। এখনো প্রতিদিন সড়কে প্রাণহানি ঘটছে। এর আগে নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতে অনেক আশ্বাস দিয়েও বাস্তবায়ন করা হয়নি। পরে মেয়র ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, তারা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলতে চান। এছাড়া ৮ দফা দাবি না আদায় হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। নের্তৃত্বদানকারী শিক্ষার্থী শামীম আল হাসান বলেন, আমাদের আন্দোলন নতুন কিছু না। এর আগেও নিরাপদ সড়ক চেয়ে আন্দোলন করেছি। তখন আশ্বাস দিয়েও বাস্তবায়ন করা হয়নি। আমরা এবার নিশ্চয়তা চাই।
গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টায় পরবর্তী করণীয় নিয়ে সাংবাদিকদের সামনে কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিইউপি শিক্ষার্থী মায়েশা নূর। তিনি বলেন, আজ (গতকাল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ চলবে। বুধবার (আজ) থেকেও আমাদের আন্দোলন চলবে। আজ সকাল ৮টা থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাস বর্জনের আহবান জানান। তিনি বলেন, চলমান আন্দোলন গতবছরের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের ধারাবাহিকতা। এখানে কোন দল বা গোষ্ঠীকে গ্রহন করা হবে না। প্রত্যেক শিক্ষার্থী নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পরিচয়পত্র নিয়ে আন্দোলনে অংশ নেবে। তিনি আন্দোলনকারীদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য পুলিশদের প্রতি আহবান জানান।
নিরাপদ সড়ক আন্দোলনকারীর প্রাণ গেল সড়কে
বাসের চাপায় নিহত আবরার আহমেদ নিরাপদ সড়কের দাবিতে সোচ্চার ছিলেন। তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে গিয়ে নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সমর্থনে অনেক পোস্ট ও মন্তব্য পাওয়া গেছে। এমনকি নিরাপদ সড়কের দাবিতে ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ স্টিকারযুক্ত ছবি প্রফাইলে দেন।
আবরারের বন্ধু নাজমুস সাকিব বলেন, আবরার নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে সক্রিয় ছিল। কিন্তু দিন শেষে আমরা কী পেলাম? যে নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য আবরার আন্দোলন করলো অথচ সেই সড়কেই তাকে মরতে হলো।
বিউপিতে জানাজা, বনানী কবরস্থানে দাফন
গতকাল দুপুর দেড়টার দিকে মিরপুর সেনানিবাসের মধ্যে বিইউপি এডিবি গ্রেড গ্রাউন্ড মাঠে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় আবরার আহমেদের বাবা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবিদ আহমেদ চৌধুরী, বিইউপির ভিসি মেজর জেনারেল মো. এমদাদ-উল বারী, ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম, আবরার আহমেদের সহপাঠী, শিক্ষার্থী ও আত্মীয়-স্বজনরা জানাজায় অংশ নেয়। পরে তার লাশ বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
শিক্ষার্থীদের ফাঁসাতে বাসে পরিবহন শ্রমিকের আগুন
শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ভিন্নখাতে প্রভাহিত করতে এবং তাদেরকে ফাঁসিয়ে অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলে দুই পরিবহন শ্রমিক একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে শিক্ষার্থীরা অগ্নিসংযোগকারীদের ধাওয়া করলে একজন পালিয়ে যায় এবং আরেকজনকে আটক করে পুলিশে হস্তান্তর করে। পরবর্তীতে অবরোধকারী শিক্ষার্থীরাই সেই আগুন নিভিয়ে ফেলে।
বিইউপি’র আইআর বিভাগের শিক্ষার্থী আবু তালহা ও শামীম আল হাসান বলেন, দুপুর ১টার দিকে বাসটিতে দুই ব্যক্তি আগুন দেয়। তারা বিইউপির ছাত্র নয়। ধোঁয়া দেখে ছাত্ররা তাদেরকে ধাওয়া দিলে একজন পালিয়ে যায়। আরেকজনকে ধরে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। তবে তার নাম জানা যায়নি। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, অসৎ উদ্দেশ্যে বাসে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। যদিও শিক্ষার্থীরা তাৎক্ষণিক বিষয়টি বুঝতে পেরে আগুন নিভিয়ে ফেলে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৯ জুলাই রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের কুর্মিটোলা হাসপাতালের সামনের সড়কে বাসচাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়। এর প্রতিবাদে ওইদিন থেকে নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাজধানীসহ সারা দেশে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। ৮ আগস্ট পর্যন্ত সেই আন্দোলন চলে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।