মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতে আসন্ন লোকসভা নির্বাচন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে লড়াই। এটা বিজেপির বিভাজনের রাজনীতি থেকে ভারতকে মুক্ত করার লড়াই। তৃণমূল কংগ্রেসের (টিএমসি) শীর্ষস্থানীয় নেতা ও সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এ মন্তব্য করেছেন। সোমবার পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়ার একটি জনসভায় তিনি এ কথা বলেন। এদিকে গতকাল মঙ্গলবার কংগ্রেসের জন্য সমঝোতার রাস্তা খোলা রেখেই দ্বিতীয় দফার প্রার্থী ঘোষণা করল বামফ্রন্ট।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ভারত এখন একটি সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এই দেশকে বিজেপির হাত থেকে রক্ষা করতে ঐক্যবদ্ধ হতেই হবে সকলকে। তিনি অভিযোগ করেন, সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়িয়ে দিচ্ছে বিজেপি।
অভিষেক বলেন, আমাদের নেত্রী মমতা বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করার ডাক দিয়েছেন। তার পাশে আমাদের সকলকে থাকতে হবে।
এদিকে, গতবার কংগ্রেসের জেতা ৪টি আসন ফাঁকা রেখেই গতকাল প্রার্থী ঘোষণা করলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। তবে কংগ্রেসকে ২৪ ঘণ্টা সময়ও দিয়েছেন তিনি। বুধবার বিকেল ৪টের মধ্যে কোনও সুরাহা বার না হলে, বাকি চারটি আসনেও প্রার্থী ঘোষণা করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এর আগে রাজ্যের ৪২টি আসনের মধ্যে ২৫টিতে প্রার্থী ঘোষণা করেছিল বামেরা। বাকি ১৭টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার কথা ছিল সোমবার। শেষমেশ তা হয়নি। এ দিন বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে বিমান বসু গতবার কংগ্রেসের জেতা উত্তর মালদহ, দক্ষিণ মালদহ, জঙ্গিপুর এবং বহরমপুর, এই চারটি আসন ছেড়ে বাকি ১৩টি আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন।
তবে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এ দিনও আসন সমঝোতার ইঙ্গিত মেলেনি। সমঝোতার কোনও সম্ভাবনা রয়েছে কিনা জানতে চাইলে তা উড়িয়ে দেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। এ দিন তিনি বলেন, ‘বামেদের প্রস্তাব কোনওভাবেই মেনে নেওয়া সম্ভব নয় আমাদের পক্ষে। বীরভূমে কাকে দাঁড় করানো উচিত, দার্জিলিঙে কাকে দাঁড় করানো উচিত, সব ওরা ঠিক করে দেবেন? তা হতে পারে না।’ তিনি আরও বলেন,‘পাশ করতে গেলে তিরিশ নম্বরের দরকার হয়। সেটা বোধহয় ভুলে যাচ্ছেন ওরা। তাই আঠাশ পেয়েই লাফাচ্ছেন। বাকি দু’নম্বরের জন্য যে আমাদের দরকার, সেটা বেমালুম ভুলে যাচ্ছেন। উল্টে অবাস্তব শর্ত চাপাচ্ছেন।’ সোমেনের কথায়, ‘সমঝোতায় যাব না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছিলাম আমরা। কোনও সময়সীমার দরকার নেই আমাদের। আমার বাড়িতে কে থাকবেন, আর কে থাকবেন না, তা ওরা ঠিক করে দিতে পারেন না।’ সূত্র : বিজনেস ষ্ট্যান্ডার্ড, এনডিটিভি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।