পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : বিতর্ক জারি ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগান নিয়ে। গত রোববার গুজরাতে এ নিয়ে দেখা দেয় নতুন বিতর্ক। ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগান না দেওয়ার জন্য এআইএমআইএম নেতা আসাউদ্দিন ওয়াইসির সমালোচনায় সরব হয়েছিল যে মহারাষ্ট্র সরকার, সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, যারা এই স্লোগান দেবেন না, তাদের এ দেশে থাকার কোনো অধিকারই নেই। আর এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হতেই রোববার নিজের বক্তব্যের পক্ষে সাফাই দেন তিনি। এবার মহারাষ্ট্রের আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে বিজেপি সরকার পরিচালিত রাজ্য গুজরাতেও।
আমরেলির একটি এডুকেশনাল ট্রাস্ট শ্রী পটেল বিদ্যার্থী আশ্রম ট্রাস্ট জানিয়েছে, যেসব শিক্ষার্থী এই ট্রাস্ট পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে চায়, তাদের আবেদন পত্রে গোটা গোটা করে লিখতে হবে ‘ভারতমাতা কি জয়’। না লিখলে ভর্তির কোনও সুযোগই পাবে না তারা। এই ট্রাস্টের মাথায় রয়েছেন গুজরাতের বিজেপি নেতা দিলীপ সাঙ্ঘানি। এই সিদ্ধান্ত রোববার নেওয়া হয়েছে ট্রাস্টের মিটিংয়ে। এই ট্রাস্টের অধীনে রয়েছে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুটি উচ্চ বিদ্যালয় এবং একটি কলেজ। বর্তমানে চারটি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪,৫০০।
একটি সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাঙ্ঘানি জানিয়েছেন, এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পিছনে রয়েছে ট্রাস্টের ১০৪ বছরের ইতিহাস। চিরকালই শিক্ষার্থীদের মধ্যে জাতীয়তাবাদ জাগিয়ে তোলার চেষ্টাই করেছে এই ট্রাস্ট। এই সিদ্ধান্ত সেই উদ্দেশ্যেই আরও এক পদক্ষেপ। তার বক্তব্য, ক্রমেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দেশবিরোধী স্লোগান এবং মনোভাব দানা বাঁধছে। এমন পরিস্থিতিতে নবীন মনে দেশের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জাগিয়ে তোলার জন্যেই নাকি এই পদক্ষেপ। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই এই নিয়ম চালু হবে।
তবে গুজরাতের রাজ্য শিক্ষামন্ত্রী ভূপেন্দ্রসিন চুদাসামা জানিয়েছেন, ‘ভারত মাতা কি জয়’ বলার জন্যে কাউকে কখনও জোর করা উচিত নয়। এই সিদ্ধান্তে সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগাযোগ নেই বলেই তিনি জানিয়েছেন। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।