নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
মানকাড ইস্যুতে আবারও উত্তপ্ত ক্রিকেট দুনিয়া। রবিচন্দ্রন আশ্বিন আইপিএলে জস বাটলারকে মানকাড করে যতটা আলোড়ন ফেলেছিলেন, এবার দীপ্তি শর্মা ইংল্যান্ড নারী দলের শেষ উইকেটের পতন ঘটিয়ে তার চেয়েও বেশি আলোড়ন তৈরি করেছেন। আর এই ঘটনায় আশ্বিন থেকে শুরু করে নাসের হুসেইন- সবাই সরব হয়ে উঠেছেন। কেউ কেউ বলছেন- ক্রিকেটীয় আইন অনুযায়ী মানকাড নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই। তবে বড় একটি অংশই ভারতর নারী ক্রিকেটারদের ক্রিকেটীয় স্পিরিট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ম্যাচে ৪৪তম ওভারের চতুর্থ বল করছিলেন দীপ্তি শর্মা। ২৯ বলে ১০ রান করে ফ্রেয়া ডেভিস ছিলেন স্ট্রাইকিং প্রান্তে। নন স্ট্রাইকিং প্রান্তে ৮০ বলে ৪৭ রান করা চার্লি ডিন, যিনি অবিশ্বাস্য এক জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন ইংলিশদের। তবে ১১৮ রানে ৯ম উইকেট হারানো স্বাগতিকরা ১৫৩ রানে চার্লিকে হারায় মানকাডের মাধ্যমে। তখন জয় থেকে মাত্র ১৭ রান দ‚রে ছিল ইংলিশরা। এরপর থেকে দীপ্তি, অধিনায়ক হারমানপ্রিত ও টিম ইন্ডিয়াকে নিয়ে চলছে প্রবল সমালোচনা।
ম্যাচ শেষে মানকাড নিয়ে আধুনিক ক্রিকেটের সবচেয়ে আলোচিত ব্যক্তিত্ব অশ্বিন টুইট করেন লগান সিনেমার একটি ছবি, যেখানে ইংরেজরা ভারতকে মানকাড করেছিলেন। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘ভারত ২, ইংল্যান্ড ১। প্রথমে ভাবছিলাম, আইনে থাকলেও দীপ্তি আজ যেটা করেছেন, সেটা ঠিক নয়। কিন্তু এই মিমটা দেখার মতো আমার মনে হচ্ছে যে দীপ্তি ঠিক করেছেন। দ্বিগুণ খাজনা ফেরানো বাকি ছিল।’
ইংল্যান্ডের তারকা পেসার স্টুয়ার্ট ব্রড স্পষ্টত এই মানকাডের সমালোচনা করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘এটা রান আউট? জঘন্যভাবে ম্যাচটা শেষ হল।’ ব্রড একটি ম্যাচে আউট হয়েও মাঠ ছাড়তে আপত্তি জানিয়েছিলেন। কেউ কেউ সেই ম্যাচের কথা টেনে খোঁচা দিয়েছেন ইংলিশ পেসারকে। ইংল্যান্ডের স্যাম বিলিংসও ভারতের নারীদের বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘যে ব্যক্তি এই খেলাটা খেলেছেন, তাদের কেউই এই বিষয়টাকে গ্রহণযোগ্য বলে নিশ্চয়ই মনে করেন না। আইনের মধ্যে হয়ত আছে। কিন্তু স্পিরিটের দিক থেকে এটা ঠিক নয়। আমার মতে, আইন পরিবর্তন করে সতর্ক করে দেওয়া বা ক্রিজ ছেড়ে বেশি এগিয়ে না আসার মতো নিয়ম চালু করা যেতে পারে।’ বিলিংসের সেই পোস্টে অবশ্য পাল্টা জবাব দেন তার সতীর্থ হেলস। তিনি মানকাডের পক্ষে সুর মিলিয়ে লিখেছেন, ‘বল হাত থেকে বেরিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত নন-স্ট্রাইকারদের পক্ষে ক্রিজের ভিতরে থাকার বিষয়টা কঠিন কিছু হওয়ার কথা নয়।’
তবে বেশিরভাগ ইংলিশই মানকাডের বিরুদ্ধে সুর তুলেছেন। নাসের হুসেইনও তাৎক্ষনিকভাবে বিরক্তি প্রকাশ করেন। তাদের আবার পাল্টা আক্রমণ করছেন ভারতীয়রা। বীরেন্দর শেবাগ যেমন লিখেছেন, ‘অনেক ইংলিশ ব্যক্তি পুর লুজার হয়ে গেছেন দেখে হাসি পাচ্ছে।‘ ম্যাচ শেষে ইংলিশ অধিনায়ক প্রকাশ্যে হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘ফলাফল নিয়ে একেবারেই খুশি নই। আমি এমন আউট সমর্থন করি না। তবে এটা নির্ভর করছে ভারত বিষয়টাকে কিভাবে দেখছে। এটা নিয়মের মধ্যেই রয়েছে। আশা করছি এই ঘটনা এই সিরিজের উপর কোন প্রভাব ফেলবে না।’ ভারতের অধিনায়ক হারমানপ্রিত কৌর অবশ্য দীপ্তির হয়ে ব্যাট ধরেছেন। তিনি বলেন, ‘এটা খেলার অংশ। আইসিসির নিয়মেই আছে। এটা বোলারের সচেতনতার প্রমাণ দেয়। অধিনায়ক হিসেবে আমি আমার ক্রিকেটারদের সমর্থন করব।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।