টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার আট মাসের ব্যবধানেই জয়ে স্বাদ পেল আফগানিস্তান। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৭ উইকেটে জয় পেল যুদ্ধবিধ্বস্ত এই ক্রিকেট খেলুড়ে দেশটি। টেস্ট দুনিয়ায় এ এক অনন্য রেকর্ড।
গত বছর জুনে ভারতের বিপক্ষে অভিষেক টেস্ট খেলে আফগানিস্তান। দ্বিতীয় ম্যাচে এসেই টেস্টজয়ী দলে পরিণত হলেন তারা।
রোববার থেকেই আফগানিস্তানের দিকে তাকিয়ে ছিল ক্রিকেটবিশ্ব। সোমবার তাদের দরকার ছিল আরও ১১৮ রান আর হাতে রয়েছে উইকেটের পাহাড়।
মিরাকল কিছু না ঘটলে রশিদ খানরা ঐতিহাসিক টেস্ট জয়ের স্বাদ পাবে বলে অপেক্ষায় ছিল ক্রিকেটভক্তরা।
আয়ারল্যান্ডের বোলারদের বিপেক্ষ ৯ উইকেটে ১১৮ রান করা তেমন একটা চাপের ছিল না।
এর আগে ভারতের দেরাদুনে অনুষ্ঠিত টেস্টে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করে ১৭২ রানে অলআউট আয়ারল্যান্ড। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩১৪ রান করে আফগানিস্তান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৯৮ রান করেন রহমত শাহ। ৬৭ রান করেন অধিনায়ক আসগর আফগান।
১৪২ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ঘুরে দাঁড়ায় আইরিশরা। অ্যান্ডি বালবিরনি ও কেভিন ওব্রায়েনের জোড়া ফিফটিতে ২৮৮ রান তুলতে সক্ষম হয় আয়ারল্যান্ড।
দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮২ রান করেন বালবিরনি। ৫৬ রান করেন ওব্রায়েন। সেই ইনিংসে আফগানিস্তানের হয়ে ক্যারিয়ারে প্রথম ৫ উইকেট শিকার করেন লেগ স্পিনার রশিদ খান।
১৪৭ রানের মামুলি স্কোর তাড়া করতে নেমে রোববার তৃতীয় দিনে ২৯ রানে উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ শাহজাদের উইকেটটি হারায় আফগানরা।
সোমবার ১১৮ রানের লক্ষ্য নিয়ে এহসানউল্লাহ ১৬ এবং রহমত শাহ ১১ রানে মাঠে নামেন। অবশেষে ২ উইকেট খুঁইয়েই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় তারা।
এহসানউল্লাহ ৬৫ রানে অপরাজিত থাকেন। অপর ব্যাটসম্যান ক্যামেরুনের বলে আউট হবার আগে খেলেন ৭৬ রানের ঝকঝকে ইনিংস।
৪৭.৫ ওভারেই লক্ষ্যে পৌঁছে গিয়ে প্রথম ঐতিহাসিক টেস্ট জয়ের স্বাদ পেল মোহাম্মদ নবীর দল।
সম্প্রতি ক্রিকেটবিশ্ব আফগানিস্তান দলটির উন্নতি চোখে পড়ার মতো।
টি-টোয়েন্টি র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশ থেকে দুই ধাপ এগিয়ে আফগানিস্তান। তবে টেস্ট র্যাংকিংয়ে এখনও জায়গা করে নিতে পারেননি নবাগত আফগানরা।
২০০০ সাল থেকে টেস্ট খেলার মর্যাদা পাওয়া বাংলাদেশ জয়ের স্বাদ পেতে খেলে ৩৫ ম্যাচ। পাঁচ বছর পর টেস্ট জয় পায় টাইগাররা। তবে সেক্ষেত্রে এক অনন্য রেকর্ড করল। টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার আট মাসের ব্যবধানে জয় পেল দলটি।