Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জিম্বাবুয়ে, মোজাম্বিক ও মালাওয়িতে ঘূর্ণিঝড়, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৭৬

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৭ মার্চ, ২০১৯, ৪:৪৬ পিএম

আফ্রিকার দেশ জিম্বাবুয়ে, মোজাম্বিক এবং মালাওয়িতে ঘূর্ণিঝড় ইদাই’য়ের আঘাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নারী ও শিশুসহ প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৭৬ জন। এতে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন আরও প্রায় হাজার খানের লোক। তাছাড়া গৃহহীন হয়েছেন দেশগুলোতে বসবাসরত আরও কমপক্ষে ১৫ লাখের বেশি বেসামরিক। রোবার ইউএন এবং সরকারি কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্যের বরাতে করা প্রতিবেদনে এই ঘূর্ণিঝড়ে হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য ফক্স নিউজ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার ঝড়টি প্রথমে মোজাম্বিকে আঘাত হানে। মূলত এর পরপরই দেশটির কেন্দ্রীয় বিমানবন্দরসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনা বন্ধ করে দেওয়া হয়। একইসঙ্গে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে আশপাশের বেশ কিছু শহর। তাছাড়া ধ্বংস হয়ে যায় শত শত বসত বাড়ি।
মূলত এর পরপরই ঝড়টি আরও বেশি শক্তিশালী হয়ে আঘাত হানে জিম্বাবুয়েসহ পার্শ্ববর্তী দেশ মালাওয়িতে। বিশেষ করে মোজাম্বিক সীমান্তে বসবাসরত প্রায় হাজার হাজার লোককে এতে বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
জিম্বাবুয়ের তথ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, প্রথমে পার্শ্ববর্তী দেশ মোজাম্বিক এবং মালাওয়িতে এ ঘূর্ণিঝড়টি শুরু হয়। এরপর এটি ধীরে ধীরে আরও বেশি শক্তিশালী ও তীব্রতর হয়ে গত শুক্রবার (১৫ মার্চ) জিম্বাবুয়েতে আঘাত হানে। বিবৃতিতে এও বলা হয়, ‘এতে হতাহতদের বেশিরভাগই মোজাম্বিকের সীমান্তবর্তী শহর চিমানিমানির বাসিন্দা। কেননা সেখানেই এই ঝড়টি সবচেয়ে বেশি তাণ্ডব চালিয়েছে। চলমান এ ঘূর্ণিঝড়ে দেশটিতে বহু ঘরবাড়ি ও ব্রিজ-কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
এদিকে ইন্দোনেশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ পাপুয়ায় আঘাত হেনেছে আকস্মিক বন্যা। এতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নারী ও শিশুসহ প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৫০ জন। তাছাড়া আহত হয়েছেন আরও কমপক্ষে ২১ স্থানীয় বাসিন্দা। আর সেখানেও অসংখ্য লোকের নিখোঁজ থাকার খবর পাওয়া গেছে।
উল্লেখ্য, শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে দেশগুলোতে ইতোমধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ফলে সেখানকার সব ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। তাছাড়া আক্রান্ত সব এলাকা থেকে হেলিকপ্টারে করে হতাহতদের উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে উদ্ধার কর্মকর্তারা। তবে প্রবল বাতাস ও বর্ষণের ফলে তাদের উদ্ধার কার্যক্রমে বারংবার ব্যাহত হচ্ছে।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঘূর্ণিঝড়

২৬ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ