মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা বন্ধ করে দিতে পারেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। একই সঙ্গে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আবার ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক পরীক্ষা শুরু করতে পারে দেশটি। উত্তর কোরিয়ার এক জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। উত্তর কোরিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী চো সুন-হুই বিদেশী কূটনীতিকদের বলেন, সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কিমের মধ্যকার শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকে ‘একটি সুবর্ণ সুযোগকে’ হাতছাড়া করেছে যুক্তরাষ্ট্র। উত্তর কোরিয়া তাদের ইয়ংবিয়ংয়ের প্রধান নিউক্লিয়ার কমপ্লেক্সটি নিষ্ক্রিয় করার প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু সব পারমাণবিক কেন্দ্র ধ্বংসের আগে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে অস্বীকৃতি জানান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এর কারণে কিম-ট্রাম্প শীর্ষ বৈঠক কোনো সমাধান ছাড়াই শেষ হয়। চো সুন-হুই জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভবিষ্যৎ আলোচনা বিষয়ে শিগগিরই আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের অবস্থান ঘোষণা করবেন কিম। সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ইচ্ছা অনুযায়ী চলার কোনো ইচ্ছা আমাদের নেই। তাদের সঙ্গে এ ধরনের মধ্যস্থতায় যেতেও চাই না। তিনি অভিযোগ তুলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভাবভঙ্গি গ্যাংস্টারের মতো। চো বলেন, সাম্প্রতিক শীর্ষ বৈঠকে পাঁচটি প্রধান অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছিল উত্তর কোরিয়া, সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়নি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যা হলো, তা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র একটি সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেছে। তিনি বলেন, আমি নিশ্চিত নই যুক্তরাষ্ট্র কেন আমাদের প্রস্তাবকে ভিন্নভাবে উত্থাপন করছে। আমরা কখনই সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানাইনি। চলতি সপ্তাহেই উত্তর কোরিয়া-বিষয়ক মার্কিন বিশেষ দূত স্টিফেন বিগান জানিয়েছিলেন, দুই দেশের মধ্যকার কূটনীতিক আলোচনা এখনো জীবন্ত আছে। যদিও ট্রাম্প-কিম বৈঠকের পর কোনো মধ্যস্থতা হয়েছে কিনা বা নতুন কোনো বৈঠকের পরিকল্পনা আছে কিনা, এসব বিষয়ে তিনি কিছু উল্লেখ করেননি। গত বছর সিঙ্গাপুরে প্রথম বৈঠক করেন যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার দুই নেতা। গত ফেব্রুয়ারিতে ভিয়েতনামের হ্যানয়ে অনুষ্ঠিত হয় তাদের মধ্যকার দ্বিতীয় বৈঠক। বিবিসি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।