মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনকে নিয়ে একটি আপত্তিকর গ্রাফিতি ভাইরাল হয়েছে। এতে লেখা ছিল, ‘কিম জং উন, বেজন্মা। লোকজন তোর জন্য না খেয়ে মারা যাচ্ছে।’ এ ঘটনায় দেশটির রাজধানীর একটি এলাকার বাসিন্দাদের হাতের লেখা পরীক্ষা করতে শুরু করেছে পুলিশ। গত ২২ ডিসেম্বর পিয়ংইয়ংয়ের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের দেয়ালে কিম জং উনকে ওই সম্বোধন করে গ্রাফিতি আঁকা হয়। গ্রাফিতিটি আঁকার অল্প কিছুক্ষণ পরই অবশ্য মুছে ফেলা হয়। এটি কে এঁকেছে, তা জানার জন্য অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। পুলিশ কর্মকর্তারা ওই অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের আশপাশের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাসিন্দাদের হাতের লেখার নমুনা চাইছেন। জানতে চাইছেন, গ্রাফিতি আঁকার দিন স্থানীয়রা কে কোথায় ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, শহরজুড়ে বসানো কয়েক হাজার সিসিটিভি ক্যামেরা দেখে অপরাধের হোতাকে শনাক্ত করার চেষ্টা করবে পুলিশ। উল্লেখ্য, উত্তর কোরিয়ায় কিম জং উন বা তার কাজকর্মের সামান্যতম সমালোচনাও কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। জং উন সরকারের সমালোচনা করলে কুখ্যাত বন্দিশিবিরে পাঠানো থেকে শুরু করে মৃত্যুদণ্ডসহ নানা রকমের কঠোর শাস্তি দেয়া হয়। দেশটিতে কিম জং উনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো অত্যন্ত বিরল ঘটনা। বিশেষ করে রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে তো এরকম ঘটনা আগে কখনও ঘটেছে বলে শোনাই যায়নি। কারণ, রাজধানীর সিংহভাগ বাসিন্দাই অভিজাত শ্রেণির। দুর্ভিক্ষ, বন্যা ও করোনা মহামারিতে বিপর্যস্ত উত্তর কোরিয়া। এই দুর্দশার জেরেই এমন আক্রমণাত্মক গ্রাফিতি আঁকা হয়েছে। অপরদিকে, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিয়ে আগামী সোমবার রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসবে। গত বুধবার উত্তর কোরিয়া একটি ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায়। বৃহস্পতিবার দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম কেসিএনএ’র খবরে বলা হয়, এটি ছিল একটি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী তিন সদস্য যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য ছাড়াও আয়ারল্যান্ড ও আলবেনিয়ার অনুরোধে বৈঠকটি ডাকা হয়েছে। উত্তর কোরিয়ার বুধবারের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার তাৎক্ষনিক নিন্দা জানিয়েছে যে সব দেশ তাদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও কানাডা রয়েছে। এসব দেশ বলছে, এ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিরাপত্তা পরিষদের একাধিক শর্তাবলীর লংঘন এবং এ অঞ্চল তথা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিরাপত্তার জন্যে হুমকি। তবে পিয়ংইয়ং যুক্তি দেখাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য আগ্রাসন থেকে আত্মরক্ষার জন্যে সামরিক প্রযুক্তির এই অব্যাহত অগ্রগতির প্রয়োজন তাদের রয়েছে। রয়টার্স, কেসিএনএ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।