নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে গতকালের দ্বিতীয় দিনটা ছিল বোলারদের। তিন ম্যাচের কোনটিই দুইশোর্ধো ইনিংসের মুখ দেখিনি। লো স্কোরিং ম্যাচের দিনে জয় পেয়েছে পরে ব্যাট করা তিনটি দলই। দিনের একমাত্র ৫ উইকেট শিকারী বোলার শফিউল ইসলাম। ক্যারিয়ারে এটি তার প্রথম পাঁচ উইকেট শিকার।
সাভারে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে ৩ উইকেটে হারায় শফিউলের মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব । মিরপুরে খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতির বিপক্ষে ২ উইকেটের জয় পায় প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। আর ফতুল্লায় শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবকে ৯ উইকেটে উড়িয়ে দেয় প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাব।
শফিউলের বোলিং তোপে ২৬ রানে ৬ উইকেট হারায় গাজী গ্রুপ, যার মধ্যে পাঁচটিই ছিল শফিউলের শিকার। তৌহিদ তারেককে নিয়ে ১০১ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান শামসুল ইসলাম। তৌহিদ ফিফটি করে আউট হলেরও ১১১ বলে ৭১ রানে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ইমরুল কায়েসের দলকে ১৮২ রানের লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেন শামসুল। ৭ ওভারের বোলিংয়ে ৩২ রানে ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন শফিউল। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে তার আগের সেরা ছিল ২১ রানে ৪ উইকেট।
জবাবে স্বস্তিতে ছিল না মোহামেডানও। ৫১ রানে ৫ ও ৮৭ রানে তারা হারায় ষষ্ঠ উইকেট। কিন্তু এক প্রান্ত আগলে ছিলেন অধিনায়ক রাকিবুল হাসান। সোহাগ গাজী ও আলাউদ্দিন বাবুকে নিয়ে সাবধানে জয়ের বন্দরে তরী ভেড়ান জাতীয় দলের এই সাবেক ব্যাটসম্যান। ওয়নডাউনে নেমে শেষ পর্যন্ত তিনি অপরাজিত ছিলেন ১২৪ বলে ৮২ রান করে।
ফতুল্লায় রান আউটের ভাগ্য আর আরাফাত সানি ও ফরহাদ রেজাদের বোলিং তোপে ১৭৫ রানে গুটিয়ে যায় শাইনপুকুর। দোলেশ্বর অধিনায়ক ফরহাদ রেজা নেন ৩২ রানে ৩ উইকেট। ইনিংসে একমাত্র চল্লিশোর্ধো রান দেলোয়ার হোসেনের, ৪০। জবাবে কেবল সৈকত আলির উইকেটটি হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় দোলেশ্বর। অবিচ্ছিন্ন ১১৯ রানের জুটিতে ১৩২ বলে ৮৩ রান করে অপরাজিত থাকেন সাইফ হাসান। ম্যাচসেরার পুরস্কারও ওঠে তার হাতে। ৯১ বলে ৬৬ রান আসে ফরহাদ হোসেনের ব্যাট থেকে।
মিরপুরে আরিপুল হকের অল রাউন্ডার নৈপুন্যে জয় পায় প্রাইম ব্যাংক। টস হেরে ব্যাটে নামা খেলাঘর দাঁড় করায় দিনের সর্বোচ্চ ১৯৫ রানের সংগ্রহ। তাদের ইনিংসে সবচেয়ে বড় আঘাত হানেন আরিফুল হক, তুলে নেন ২৪ রানের খরচায় ৪ উইকেট। জবাবে ৬৩ রানের উদ্বোধনী জুটির পরও ১৩২ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে প্রাইম ব্যাংক। এবার ব্যাট হাতে দলের ত্রাতার ভুমকায় দেখা দেন আরিফুল। নাহিদুলকে নিয়ে সপ্তম উইকেটে তিনি গড়েন ৪৯ রানের মহামূল্যবান জুটি। ৩২ রানে অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন এই পেস অল রাউন্ডার। ম্যাচসেরার পুরস্কারও ওঠে তার হাতে। একদিনের বিরতির পর আগামীকাল থেকে শুরু হবে দ্বিতীয় রাউন্ডের খেলা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।