পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান বলেছেন, ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০ তারা কিনবেই। রাশিয়ার সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি থেকে তারা মার্কিন চাপের মুখে সরবে না। পরবর্তীতে তুরস্ক এস-৫০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও কিনতে পারে বলে তিনি জানান। এরদোগান চ্যানেল-২৪ কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আরও বলেছেন, রাশিয়ার সঙ্গে এ সংক্রান্ত চুক্তি হয়ে গেছে। এটা থেকে সরার সুযোগ নেই। এখন এই চুক্তি বাতিল করা হবে অনৈতিক। যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা ও ইউরোপে মোতায়েন মার্কিন বাহিনীর প্রধান জেনারেল কার্টিস স্ক্যাপ্যারোটি এস-৪০০ ইস্যুতে তুরস্কের সমালোচনা করার পর তিনি এসব কথা বললেন। মার্কিন ওই জেনারেল বলেছেন, তুরস্ক যদি রাশিয়া থেকে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনে তাহলে আংকারাকে উচ্চ প্রযুক্তির এফ-৩৫ জঙ্গিবিমান সরবরাহ করা উচিত হবে না। পার্সটুডে জানায়, এর আগেও এরদোগান বলেছেন, এস-৪০০ নিয়ে আর বিতর্কের সুযোগ নেই। রাশিয়া থেকে এই ব্যবস্থা কেনার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়ে গেছে। তবে আমেরিকা কখনো তার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্যাট্রিয়ট বিক্রির জন্য উপযুক্ত পরিস্থিতি তৈরি করলে আঙ্কারা তাদের কাছ থেকেও তা কিনবে। আমেরিকা তুরস্ককে এস-৪০০ কেনার সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের জন্য চাপ দিয়ে আসছে। তবে তুরস্ক এর আগেও বলেছে, তারা মার্কিন চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না। গত বছরের ২৬ মে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, এস-৪০০ কেনার ক্ষেত্রে তুরস্ককে বাধা দেওয়ার কোনো অধিকার যুক্তরাষ্ট্রের নেই। ২০১৭ সালে তুরস্ক ও রাশিয়ার মধ্যে এস-৪০০ ক্রয় সংক্রান্ত চু্ক্িত সই হয়েছে। আনাদোলুর খবরে বলা হয়, কুর্দি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান চালাবে তুরস্ক ও ইরান। তুর্কি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলাইমান সোইলু এই ঘোষণা দিলেও কবে সেই অভিযান শুরু হবে তা জানাননি। ইরানের পক্ষ থেকেও এবিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। বিগত কয়েক দশক ধরে কুর্দি বিদ্রোহীদের সংগঠন কুর্দিশ ওয়ার্কাস পার্টির (পিকেকে) বিরুদ্ধে লড়াই করছে তুরস্ক। আর ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী পিকেকে সমর্থিত গ্রুপ পার্টি অব ফ্রি লাইফ অব কুর্দিস্তান (পিজেএকে) এর বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এই দুটি গ্রুপেরই প্রতিবেশি ইরাকে ঘাঁটি রয়েছে। বুধবার তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলাইমান সোইলু রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, আল্লাহর ইচ্ছায় আমরা ইরানের সঙ্গে পিকেকে’র বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান চালাবো। তুরস্ক ও এর পশ্চিমা অনেক মিত্র পিকেকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। ২০১৭ সালে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান ইরাকে কুর্দি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন। ওই সময়ে তিনি বলেছিলেন, কুর্দি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে তুরস্ক-ইরানের যৌথ অভিযান সবসময়ই আলোচনায় রয়েছে। তিনি জানান, দুই দেশের সেনাপ্রধান এই অভিযান নিয়ে আলোচান করছেন। তবে ওই সময়ে ইরানের রেভ্যুলুশনারি গার্ডের তরফ থেকে ওই খবর অস্বীকার করা হয়। তুরস্কের কাছ থেকে স্বাধীনতার দাবিতে ৩৫ বছর ধরে লড়াই করছে পিকেকে। এই লড়াইয়ে প্রাণ হারিয়েছে উভয়পক্ষের হাজার হাজার মানুষ। পার্সটুডে, আনাদোলু।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।