২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
ফিসারযুক্ত জিহ্বা বা ফিসারড্ টাং খুব কম ক্ষেত্রেই দেখা যায়। তবে এ ক্ষেত্রে রোগী প্রাথমিক অবস্থায় আতংকের মধ্যে থাকে। ফিসারড্ টাং বা ফিসারযুক্ত জিহ্বা অন্যান্য যেসব নামে পরিচিত তা হলো: (ক) ট্রোল জিহ্বা (খ) লিংগুয়া প্লিকেটা (গ) প্লিক্যাটেড টাং এবং (ঘ) ফারোড টাং বা জিহ্বা।
ফিসারযুক্ত জিহ্বায় একের অধিক খাঁজকাটা দাগ বা ফিসার দেখা যায়। জিহ্বার উপরিভাগের খাঁজগুলো বা ফাটলগুলো অগভীর বা গভীর হতে পারে। ফিসারগুলো জিহ্বার উপরিভাগে দেখতে পাওয়া যায়। জিহ্বায় ফিসার বা গ্রুভ অর্থাৎ নীচু স্থানগুলোর গভীরতার ক্ষেত্রে তারতম্য লক্ষ্য করা যায়। সবচেয়ে গভীর ফিসার ৬ মিলিমিটার পর্যন্ত হতে পারে। সাধারন মানুষ ফিসারযুক্ত জিহ্বায় ফাটল গর্তের মত দেখতে পেয়ে চমকে উঠে এবং ক্যান্সার আতংকে ভুগতে থাকেন। রোগ নির্নয় না হওয়ার কারণে সাধারণ জনগণের অযথা অনেক অর্থ নষ্ট হয়। ফিসারযুক্ত জিহ্বার কোন কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে ধারণা করা হয় এটি জেনেটিক কারণে হয়ে থাকে। ফিসারড্ টাং বা জিহ্বা অনেক সময় জিওগ্রাফিক টাং বা জিহ্বার সাথে এক সাথে দেখতে পাওয়া যায়। ফিসারযুক্ত জিহ্বা মেলকারসন রসেনথাল সিনড্রোম এর ক্ষেত্রেও দেখতে পাওয়া যায়। তবে এটি বিরল। ক্রমোজোমাল সমস্যার জন্য ডাউনস্ সিনড্রোমেও মাঝে মাঝে ফিসারযুক্ত জিহ্বা দেখতে পাওয়া যায়।
ফিসারযুক্ত জিহ্বার রোগ নির্নয়ের জন্য বায়োপসি প্রয়োজন হয় না। ফিসারযুক্ত জিহ্বার সাধারণত কোন চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না। তবে মুখের স্বাস্থ্য খুব ভালো রাখতে হবে। জিহ্বার উপরিভাগে ব্রাশ করা যেতে পারে, যাতে করে জিহ্বার ফিসার বা খাজে অর্থাৎ ফাটলযুক্ত স্থানে কোন প্রকার খাদ্যদ্রব্য জমে না থাকে। জিহ্বা পরিষ্কার করে রাখলে কোন প্রদাহ্ দেখা যায় না। মুখেও কোন দুর্গন্ধ সৃষ্টি হবে না। কারণ খাদ্যদ্রব্য ফিসার বা গ্রুভ তথা ছোট গর্ত আকৃতির স্থানে জমে থাকবে না। এ অবস্থায় মেডিকেটেড কোনো মাউথওয়াশ ব্যাবহার করা ঠিক নয়। অনেক রোগীদের ক্ষেত্রে ফিসারযুক্ত জিহ্বার সাথে ফলেট প্যাপিলার প্রদাহ দেখা যায় যা ফলেট প্যাপিলাইটিস নামে পরিচিত। জিহ্বার ফলেট প্যাপিলার প্রদাহ ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি, ওরাল ক্যান্সার, মুখের ঘাঁ এবং লিউকোপ্লাকিয়ার কারণেও হতে পারে। তাই এ অবস্থায় জরুরী চিকিৎসা নিতে হবে। ফিসারযুক্ত জিহ্বার সাধারণ ক্ষেত্রে কোন চিকিৎসা নিতে হবে না। তবে হ্যাঁ কোন প্রকার জটিলতা দেখা দিলে বা সন্দেহজনক কিছু মনে হলে আপনার ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
ডাঃ মো: ফারুক হোসেন
মুখ ও দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ
মোবাইলঃ ০১৮১৭-৫২১৮৯৭
ই-মেইলঃ [email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।