২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
জিহ্বার খসখসে ভাব জিহ্বার প্যাপিলার জন্য হয়ে থাকে। জিহ্বার প্যাপিলা নষ্ট হয়ে গেলে জিহ্বা মসৃন দেখা যায়। বিভিন্ন রোগে জিহ্বার রং এর পরিবর্তন দেখা যায়। বিশেষ করে রক্তশূন্যতা, জিহ্বার প্রদাহ বা গøসাইটিস বা লাইকেন প্ল্যানাস, সিফিলিস বা ক্যান্সার ইত্যাদি রোগে জিহ্বার স্বাভাবিক রং এর পরিবর্তন হয়ে থাকে। জিহ্বার ফ্যাকাসে রং রক্তশূন্যতার প্রতিফলন। জিহ্বার নীল রং অক্সিজেনের স্বল্পতার ইঙ্গিত বহন করে। জিহ্বার সাদা রং মৃত কোষ এবং সাদা আবরণ ওরাল থ্রাশ, ক্যান্সার অথবা এইডস রোগের ইঙ্গিত দিতে পারে। জিহ্বার রং যে সব দিকে পরিবর্তিত হতে পারে এবং তা থেকে যে সব রোগের ধারণা পাওয়া যায় তা হল-
জিহ্বার ফ্যাকাসে রং ঃ জিহ্বার ফ্যাকাসে রং রক্তশূণ্যতা, পুষ্টির অভাব, ভিটামিন স্বল্পতা, দুর্বল রক্ত সঞ্চালন অথবা জটিল পুরাতন রোগের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে।
জিহ্বার লাল বা লালাভ বর্ণ ঃ জিহ্বার লাল রং সংক্রমণ, প্রদাহ এবং গøসাইটিসের ইঙ্গিত দিয়ে থাকে। এছাড়া পুষ্টিজণিত সমস্যা, ভিটামিন বি অর্থাৎ নিয়াসিন এর অভাবজণিত সমস্যা পেলেগ্রার ক্ষেত্রে জিহ্বা লাল বা লালাভ বর্ণ ধারণ করতে পারে। পান সেবনের কারণেও জিহ্বার বর্ণ লাল হতে পারে।
জিহ্বার হলুদ বর্ণ ঃ জন্ডিস এবং ধূমপানের ক্ষেত্রে জিহ্বার হলুদ বর্ণ হতে পারে।
জিহ্বার নীল রং ঃ কেন্দ্রীয় সায়ানোসিস এবং সি.ও.পি.ডি. রোগের ক্ষেত্রে জিহ্বার বর্ণ নীল হতে পারে।
পার্পল রং ঃ সায়োনোসিস রোগের ক্ষেত্রে পার্পল রংয়ের জিহ্বা দেখা যেতে পারে।
জিহ্বার বাদামি রং ঃ বৃদ্ধ বয়সে অসুস্থতার ক্ষেত্রে জিহ্বায় বাদামি রং হতে পারে।
জিহ্বার সাদা রং ঃ ডিহাইড্রেশন, ফাংগাল সংক্রমণ, লিউকোপ্লাকিয়া, লাইকেন প্ল্যানাস, সিফিলিস রোগে জিহ্বা সাদা হতে পারে।
স্ট্রবেরি জিহ্বা স্কারলেট ফিভার এবং কাওয়াসাকি রোগে স্ট্রবেরি টাং বা জিহ্বা দেখতে পাওয়া যায়।
জিহ্বার কালো রং ঃ লাইকেন প্ল্যানাস এবং ফাংগাল সংক্রমণের ক্ষেত্রে কখনো কখনো কালো জিহ্বা দেখতে পাওয়া যায়।
মানচিত্র জিহ্বা একে জিওগ্রাফিক টাং বলা হয়। বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে জিওগ্রাফিক টাং দেখতে পাওয়া যায়। জিহ্বা রং অস্বাভাবিক এবং দীর্ঘস্থায়ী হলে অবশ্যই তা গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় আনতে হবে এবং রোগীদের এর যথার্থ চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং মুখস্ত ঔষধ সেবন বর্জন করতে হবে।
ডাঃ মোঃ ফারুক হোসেন
মুখ ও দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ
মোবাইল : ০১৮১৭৫২১৮৯৭
ই-মেইল : [email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।