শেখ ফজলুল করিমের জীবন ও সাহিত্য
বাঙ্গালী মুসলমানদের লুপ্ত গৌরব ও ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে যে কয়জন খ্যাতনামা মুসলিম সাহিত্যিক স্মরণীয় বরণীয়
কোরআনের বিভিন্ন বানী নিয়ে নাস্তিকরা বিভিন্ন ধরনের প্রচার প্রচারনা চালিয়ে নাস্তিক তৈরির কাজ খুব সুচারুভাবে করে যাচ্ছে। বিভিন্ন প্রচার মিডিয়াতে সেগুলোর প্রচারণার কারণে সাধারণ মুসলিমদের বিশ্বাসে ইতিমধ্যে বিশাল ঢাক্কা দিতে সক্ষম হয়েছে নাস্তিকরা। নাস্তিকদের এসব প্রচারণার পরেও ঈমানকে দৃঢ় করতে এবং বিভিন্ন জায়গাতে নাস্তিকদের বিভিন্ন যুক্তিকে জবাব দিতে যে কয়েকটি বই পড়া উচিত, তার একটি তালিকা প্রস্তুত করেছি।
লেখকঃ আরিফ আজাদ
প্রকাশক : সমকালীন প্রকাশন
একটা জিনিস যত মিথ্যা ও অযৌক্তিকই হোক না কেন, সেটা বারবার বলতে থাকলে চিন্তার জগতে সেটা একটা বিকৃতি আনেই। একজন ব্যক্তি হয়তো অজাচার বা সমকামিতার মতো বিষয়গুলো মাথায়ই আনতে পারে না। কিন্তু মুক্তবুদ্ধি চর্চার নাম দিয়ে তার সামনে এগুলো বারবার আলোচনা করা হলো। তাকে যদি সেসব বিশ্বাস করতে চাপ প্রয়োগ না-ও করা হয়, ওই বারবার বলাটাই তার মনে একটা প্রভাব ফেলে। পরবর্তীতে নিজের বাবা-মা বা সমলিঙ্গের বন্ধুর সাথে চলাফেরা করতে গিয়ে এসব চিন্তা তার মাথায় অস্বস্তিকর একটা স্ট্রাগলের জন্ম দেয়।
এই চিন্তার ফিল্ডটা দখল করার কাজটা নাস্তিকরা খুব ভালো মতো পারে। তাদের মিথ্যা বিশ্বাসগুলোকেই বারবার নানাভাবে উপস্থাপন করে মন-মগজে এমন একটা ট্রমা তৈরি করে দেয়। মুসলিমদের মনে এসব ট্রমা সৃষ্টি হলেও তাদের একটা আশ্রয় আছে। প্রতিটা সেজদার সঙ্গে তারা সেসব ট্রমা মাটিতে ফেলে দিতে পারে। কিন্তু অবিশ্বাসীদের ওই আস্থার জায়গাটা নেই। সত্যগ্রহণে প্রস্তুত বুদ্ধিমান অবিশ্বাসীর কথা আলাদা, মূলত এরা এ বই থেকে উপকৃতই হবে। কিন্তু গোঁয়ার অবিশ্বাসীর সামনে একইভাবে আপনি আপনার সত্য বিশ্বাসগুলো তুলে ধরুন, তাদের মিথ্যা যুক্তিগুলো তুলাধুনা করুন, দেখবেন এরা কেমন কুঁকড়ে ছোট্ট হয়ে যায়।
অন্ধকার, আশাহীন, স্যাঁতস্যাঁতে, বদ্ধ একটা পৃথিবীতে তারা দেয়ালে মাথা ঠুকে নিরন্তর মারা যেতে থাকে। ভ্লাদিমির-এস্ট্রাগনদের মতো কোনো গডো’র আগমনের আশায় বসেও থাকতে পারে না, মরেও যেতে পারে না। এই বইটাতে সেই কাজগুলো খুব সুচারুভাবে করা হয়েছে।
অনলাইনে পেতে লিংকঃ http://bit.ly/2Ec0luL
লেখকঃ ডা. শামসুল আরেফীন
প্রকাশক : মাকতাবাতুল আযহার
নাস্তিকদের খণ্ডনে আমাদের দেশে বই লিখবার যে জোয়ার তৈরি হয়েছে, এর একদম শুরুর সময়ে লেখা এই বইটি। বইটির যে দিকটি আমার কাছে সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছে তা হল এর দরদভরা লেখনী। বইয়ের প্রতিটি গল্পে যা ফুটে উঠেছে। অসামান্য দরদের সাথে স্রষ্টায় অবিশ্বাসীদেরকে ইসলামের আলোর দিকে আহ্বান করেছেন। সন্দেহ নেই, একদম অবিশ্বাসী ব্যক্তিরও হৃদয় ছুঁয়ে যাবে যেটি। বইয়ের প্রতিটি গল্পইচমৎকার, তবে এর মাঝে বিশেষ করে উল্লেখ করতে হয় প্রথম ও শেষ গল্পটি। প্রথম গল্প না দেখে বিশ্বাসঃ মানবজন্মের সার্থকতা পড়েই চোখে পানি এসে গিয়েছিলো, এতো অসামান্যভাবে মহান স্রষ্টা আল্লাহ তাআলার অস্তিত্বের পক্ষে যুক্তি প্রদর্শন করা হয়েছে সেখানে। শেষ গল্পটি [শ্বাশ্বত একত্ব] একটি সায়েন্স ফিকশন। আমাদের দেশে এতদিন কোনো কোনো বস্তুবাদী লেখক সায়েন্স ফিকশন লিখে চতুরতার সাথে নিজ মতামদর্শ পুশ করেছে। সুবহানাল্লাহ, এবার একজন ইসলামিস্ট লেখক চমৎকার একটি সায়েন্স ফিকশনের দ্বারা নাস্তিকতার কাঁচের দুর্গে ঢিল মারলেন। আমার কাছে কেউ যদি অমুসলিমদের জন্য বইয়ের ব্যাপারে সাজেশন চায়, তাহলে সাজেস্ট করা বইয়ের তালিকায় শুরুর দিকেই এই বইটি থাকে।
অনলাইনে পেতে লিংকঃ http://bit.ly/2VByees
লেখকঃ আরিফ আজাদ
প্রকাশক : সমকালীন প্রকাশন
ইসলাম সর্বকালে, সর্ব যুগে, সর্ব সময়ে বিজয়ী। দুনিয়াতে আলো যেমন আছে, তার বিপরীতে আছে অন্ধকার। সুখ যেমন আছে, তার বিপরীতে আছে কষ্ট। সত্য যেমন আছে, ঠিক তেমনি আছে মিথ্যাও। অন্ধকার যেমন কখনো আলোর স্থান পায় না, দুঃখ যেমন কোনভাবেই সুখের সাথে মিলে না, ঠিক সেভাবে মিথ্যাও কখনো সত্যের উপরে বিজয়ী হতে পারে না। সত্য সত্যই। এবং যা মিথ্যা, তা সবসময়ই মিথ্যা। মিথ্যা তার স্বভাবগতভাবেই মিথ্যা এবং সত্য তার সহজাত কারণেই সত্য। তবুও, জগতে আলো-অন্ধকারের মতো, সত্য-মিথ্যার একটা লড়াই বিরাজমান ছিলো, বিরাজমান আছে, এবং শেষদিন পর্যন্ত এই লড়াই বহাল থাকবে। মেঘের আড়ালে ঢাকা পড়া সূর্য যেমন তার সমস্ত তেজের বিকিরণ ঘটিয়ে মেঘ ফুঁড়ে বের হয়ে আসে, ঠিক সেভাবেই সত্য সর্বদা বিজয়ী হয়ে প্রস্ফুটিত হয়। পৃথিবীজুড়ে ছড়িয়ে দেয় তার দীপ্তিময় আলোকমালা।
জাহিলিয়াতের দ্বন্দ্বগুলো শেষ হয়ে যায়নি এবং যাবে না। এগুলো নানান সময়ে নানান রূপে আমাদের সামনে এসে ধরা দিবে। এই দ্বন্দ্ব যেমন থাকবে, যুগে যুগে তার বিপরীতে সত্যের ঝান্ডাবাহী একদল লোকও নিপুণভাবে লড়ে যাবে।
আরজ আলী মাতুব্বর ধর্মের মৌলিক বিষয়গুলো নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছেন উনার সত্যের সন্ধান বইতে। আরজ আলী সমীপে সেই বইয়ের সংশয়, সন্দেহ, যুক্তি এবং তথ্যের বিপরীতে রচিত। বইটি আরজ আলী মাতুব্বরের উত্থাপিত সন্দেহের জট খুলতে পাঠককে সাহায্য করবে।
অনলাইনে পেতে লিংকঃ http://bit.ly/2Ctoj2P
লেখকঃ আরিফ আজাদ
প্রকাশক : গার্ডিয়ান পাবলিকেশনস
নাস্তিকদের কঠিন প্রশ্নের জবাবে কোরআনের আলোকে বিজ্ঞানের বিবর্তনে যৌক্তিক ব্যখ্যা দিয়ে ইশ্বর আছেন তার উপযুক্ত প্রমাণ প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ বইটিতে লেখক দিয়েছেন। যারা শুধুমাত্র বিজ্ঞানকে বিশ্বাস করে, বিজ্ঞানের মাধ্যমে সবকিছু প্রমাণ করতে চায়, কোরআনের আলোকে তাদের যুক্তির উপর পাল্টা যুক্তি দিয়ে লেখক বুঝিয়ে দিয়েছে, পৃথিবীর স্রষ্টা অবশ্যই আছেন। এই বিশ্বজগৎ আপনা আপনি সৃষ্টি হয় নি। নাস্তিকদের বিভিন্ন মতবাদের যুক্তি খন্ডন করে বইটি প্রকাশ করার কারনে বিগত বছরে সর্বাধিক আলোচিত বই এটি।
অনলাইনে পেতে লিংকঃ http://bit.ly/2F0axY3
লেখকঃ জাফর বিপি
প্রকাশক : নবডাক প্রকাশন
বইয়ের প্রধান চরিত্র আব্দুল্লাহ আয়ান। সংক্ষেপে আয়ান। সে সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের ফিজিক্স ডিপার্টমেন্টের ছাত্র। প্রতিনিয়ত সে ইসলামের বিধান মেনে চলতে প্রানপণে চেষ্টা করে। দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ছে নাস্তিকদের জয়জয়কার। এসব নাস্তিককে বিভিন্ন যুক্তি,বিজ্ঞানসম্মত ভাবে ইসলামকে উপস্থাপনের মাধ্যমে পুনরায় ইউটার্ন করে ফিরিয়ে আনে আয়ান। আজকাল ছাত্রসমাজ হতাশাগ্রস্ত। সেই হতাশা গ্রস্তদের আবার সাহসী হয়ে সম্মুখপানে ইউটার্ন নেয়ার জন্য ইন্ধনদানকারীর ভূমিকা পালন করে আয়ান।
অনলাইনে পেতে লিংকঃ http://bit.ly/2ThumTd
লেখকঃ ডা. শামসুল আরেফীন
প্রকাশক : মাকতাবাতুল আযহার
আমাদের পালনীয় দৈনন্দিন সুন্নাহগুলোর সাথে যে বিজ্ঞানের এক গভীরতম সম্পর্ক, সেই সম্পর্কের ভেদ উন্মোচন করা একটি ব্যতিক্রমধর্মী বই এটি। বলা চলে এই ফিল্ডের আমার দেখা একমাত্র এবং বাংলা ভাষায় সবচেয়ে সেরা বই। লেখক যেহেতু ডাক্তার মানুষ, তাই মেডিক্যাল ফিল্ডের ব্যাপারগুলো দিয়েই সাজিয়েছেন চমকপ্রদ বইটি। দূর্গের বাইরে পরিখা, স্বপ্ন দেখুন, স্বপ্ন দেখান, সমতলাধিকার আনন্দ ভাগ করলে বাড়ে, মাতাল ধোঁয়া এরকম বেশ মজাদার শিরোনামে সাজানো বইটি। পড়তে পড়তে আপনি এক অন্য ভূবনে ডুব দিবেন নিশ্চিত।
অনলাইনে পেতে লিংকঃ http://bit.ly/2tOLccT
লেখকঃ আরিফুল ইসলাম
প্রকাশক : সূচীপত্র
ধর্ম নিয়ে আমাদের না জানার সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে অনেকের অনেক বিভ্রান্তিমূলক কথায় ফেঁসে যাই আমরা,মনে জাগে অনেক প্রশ্ন.....সেসব বিভ্রান্তিমূলক প্রশ্নের উপযুক্ত জবাব কুরআন ও হাদীসের আলোকে দিয়েছেন আরজু।
অনলাইনে পেতে লিংকঃ http://bit.ly/2SEUFgY
লেখকঃ মুগনিউর রহমান তাবরীজ
প্রকাশক : গার্ডিয়ান পাবলিকেশনস
অবিশ্বাসী চিন্তাধারাকে দুভাবে বিশ্বাসের ফিল্টারে মেপে দেখা যায়। মুখোমুখি বাক্যযুদ্ধ অথবা লেখনীর শক্তিশালী কলমযুদ্ধ। অবিশ্বাসীদের অন্যতম অভিযোগ বিশ্বাসীরা নাকি কলমকে ভয় পায়। অ্যা লেটার টু অ্যাথিইস্ট কলমযুদ্ধ, অবিশ্বাসীদের প্রতি একটি স্পষ্ট বার্তা। বিশ্বাসী মানুষদের যৌক্তিক লড়াই উপভোগ করতে বইটি পড়ুন।
অনলাইনে পেতে লিংকঃ http://bit.ly/2IQWQ1q
লেখকঃ আশরাফুল আলম সাকিফ
প্রকাশক : সমর্পণ প্রকাশ
ভালো খাদ্যবস্তু পেট ভরে, কিন্তু ভালো বই মানুষের আত্মাকে পরিতৃপ্ত করে। -স্পিনোজা অ্যান্টিডোট বইয়ের ১০৩ পৃষ্টায় স্পিনোজাকে উদ্ধৃত করে লেখক আশরাফুল আলম সাকিফ ভালো বই পড়ার গুরুত্ব বুঝিয়েছেন। মজার ব্যাপার হলো, ১৬৬ পৃষ্টার অ্যান্টিডোট বইটি পড়ে শেষ করে পাঠক মাত্রই স্পিনোজার সাথে একমত হবেন। আসলেই একটা ভালো বই আত্মাকে পরিতৃপ্ত করে। অ্যান্টিডোট আপনার আত্মাকে পরিতৃপ্ত করবে।
অনলাইনে পেতে লিংকঃ http://bit.ly/2H0AR6e
লেখকঃ মোহাম্মদ তোয়াহা আকবর
প্রকাশক : পরিপূরক প্রকাশন
এই বইটা পড়ে আর কিছু না হোক, অন্ততপক্ষে কেউ নাস্তিক হতে পারবে না, নাস্তিক থাকতেও পারবেনা, যদি সে সত্যানুসন্ধানী হয়, নিরপেক্ষ ও সত্যিকারের মুক্তচিন্তক হয়। শুধু আবেগ নয়, যুক্তি দিয়েই কোরআনের বানীগুলোকে বিশ্বাস করতে এ বইটি পড়ে দেখতে পারেনা। ঈমানী শক্তি অবশ্যই বাড়বে।
অনলাইনে পেতে লিংকঃ http://bit.ly/2IQXVq0
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।