Inqilab Logo

বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৬ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

চকরিয়ায় নির্মিত হচ্ছে শহররক্ষা বাঁধ

জাকের উল্লাহ চকোরী, কক্সবাজার থেকে : | প্রকাশের সময় : ৫ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

কক্সবাজারের চকরিয়ায় মাতামুহুরী নদীর ভয়াবহ ভাঙন থেকে পৌর শহর রক্ষা ও লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের ৫টি গ্রামের জনবসতিসহ ওই এলাকার মানুষের জান-মাল রক্ষার জন্য কক্সবাজার পনি উন্নয়ন বোর্ড ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫০০ মিটার এলাকায় প্রতিরক্ষামূলক কাজ বাস্তবায়ন করছে। এতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কসহ চকরিয়া পৌর শহরের ৮নং ওয়ার্ড ও উত্তর লক্ষ্যাচরের বিপুল জনগোষ্ঠি প্রতিবছর বন্যা ও ভাঙন থেকে রক্ষা পাবে। এ বাঁধ নির্মিত হওয়ায় এলাকার জনগণের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের বদরখালী উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীর আওতাধীন চিরিঙ্গা শাখা কর্তৃক এ বাঁধ নির্মাণের কাজ বাস্তবায়ন করছে। চিরিঙ্গা শাখার উপ-সহকারী প্রকৌশলী তারেক বিন ছগীর জানান, গত অর্থবছরে পৌর সভার ৮নং ওয়ার্ডের কোচপাড়া এক নম্বর গাইড বাঁধ এলাকায় ৩শ’ মিটার ও লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের উত্তর লক্ষ্যাচরে ২শ’ মিটারসহ মোট ৫শ’ মিটার এলাকায় এ প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানা গেছে, কোচপাড়ার ৩শ’ মিটার এলাকায় প্লেসিংয়ের জন্য ১৭ হাজার ও ডামপিংয়ের জন্য ২৭ হাজার ব্লক বসানো হবে। অপরদিকে লক্ষ্যাচর ইউনিয়নের উত্তর লক্ষ্যারচর এলাকায় প্লেসিংয়ের জন্য ৭ হাজার ১শ’ ৬০টি ও ডামপিংয়ের জন্য ১৮ হাজার ব্লক নির্মাণ কাজ প্রায় ৬০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। তিনি আরো জানান, প্রতি বর্ষা মৌসুমে মাতামুহুরী নদীর ভয়াবহ বন্যায় এ দু’টি পয়েন্টে প্রচন্ড আঘাত হানে। যার কারণে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক রক্ষা পাবে অপরদিকে ভাঙনে লক্ষ্যারচর-কৈয়ারবিল সড়কটি ভেঙে লণ্ড ভণ্ড হয়ে যায়। এ দু’স্থানে সিসি ব্লক দ্বারা প্রতিরক্ষামূলক কাজ বাস্তবায়িত হওয়ায় জনগণের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। এ কাজটি বাস্তবায়ন করছে ঢাকার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্টার লাইট সার্ভিসেস অ্যান্ড অর্না কনস্ট্রাকশন জয়েন্ট ভেঞ্চারকে কার্যাদেশ দেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। ইতিমধ্যে ঠিকাদার কর্তৃক নির্মিত সিসি ব্লকগুলো পানি উন্নয়ন বোর্ডে কর্মকর্তারা নির্মিত ব্লকগুলো সরজমিনে পরীক্ষা-নিরিক্ষা করেছেন।

কাজের তদারকি দায়িত্বে নিয়োজিত উপ-সহকারী প্রকৌশলী জানান, ব্লকগুলো ল্যাব টেস্টে পরীক্ষা-নিরিক্ষার পর সঠিক পাওয়া গেলে তা প্লেসিং ও ডাংপিং করা হবে। নিম্নমানের কোন ব্লক পাওয়া গেলে তা ব্যবহারের অনপুযোগী হিসেবে বাতিল করা হবে।

এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নবনিযুক্ত নির্বাহী প্রকৌশলী তয়ন কুমার ত্রিপুরা বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ব্লক তৈরির কোন সুযোগ নেই। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি নির্মিত ব্লকগুলো পরীক্ষা-নিরিক্ষার পর সাইড এলাকার বসানো নিয়ম রয়েছে। এ ব্যতিক্রম হলে ঠিকাদারকে বিল দেয়ার কোন সুযোগ নেই। এমনকি ব্লক বসানোর পর অন্তত ৬ মাস পর্যন্ত জামানতের টাকাও ধরে রাখা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাঁধ

৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২
২৭ এপ্রিল, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ