প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
বর্তমান সময়ে দেশের অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। তবে এই মুহূর্তে তিনি শুধু বাংলাদেশ নয় ভারতেও বেশ জনপ্রিয় মুখ। এই অভিনেত্রীর জীবন খুব একটা রঙিন ছিল না। শ্বশুরবাড়িতে চূড়ান্ত অত্যাচারিত হতে হয়েছিল তাকে। বিয়ের পর তার সঙ্গে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছিল স্বামী। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল পড়াশোনাও। তাই তিনি বৈবাহিক ধর্ষণের শিকার বলে মন্তব্য করেছেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী এ কথা জানান।
সাক্ষাৎকারে বাঁধন বলেন, ‘আমার প্রাক্তন শ্বশুরবাড়ির লোকজন পড়াশোনা করতে দিত না। বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ পুরো ছিন্ন করে দিতে বাধ্য করে’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি মেনে নিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম, এই ভাবেই হয়তো থাকতে হয়। অনেকেই উপদেশ দিয়েছিলেন, এই সব সমস্যার সমাধান হল বাচ্চা। কিন্তু কাউকে বোঝাতে পারিনি, আমি বৈবাহিক ধর্ষণের শিকার।’
তবে, আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে তার ছবি মনোনীত হওয়ার পর থেকেই ইন্ডাস্ট্রিতে তার দর এখন আকাশ ছোঁয়া। সাম্প্রতিক সময়ে ‘রেহানা মরিয়ম নূর’, ‘খুফিয়া’, ‘রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি’— এমনই বেশ কিছু জনপ্রিয় সিনেমা-সিরিজে কাজ করেছেন তিনি। তার অভিনয়ে মুগ্ধ দর্শক। ক্যামেরার ঝলকানি, যশ, খ্যাতি— সবই এখন তার জীবনের অঙ্গ।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালে নিজের থেকে বিশ বছরের বড় মোশরুর হোসেন সিদ্দিকি সনেটকে বিয়ে করেছিলেন বাঁধন। ২০১৪ সালে তাদের বিচ্ছেদ হয়। কেন এত বড় বয়সের মানুষকে বিয়ে করেছিলেন? এই প্রশ্নেরও মুখোমুখি হতে হয়েছিল বাঁধনকে। অভিনেত্রী সেই সময় জানিয়েছিলেন টাকার জন্য তিনি বিয়েটা করেননি। করেছিলেন সুখে সংসার করার জন্য। কিন্তু নিজের এই বিয়েকে জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল হিসেবেই ব্যাখ্যা করেছিলেন বাংলাদেশি নায়িকা।
তাই সেই ভুল থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। সব অশান্তি আর ঝামেলা অবসান করে তারপর নিজের পড়াশোনাও শেষ করেন নায়িকা। মেয়েকে নিয়ে এখন বাঁধনের শান্তির সংসার। বেশ ভালোই আছেন জানিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।