গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
মিরপুর ১৪ নম্বর সেকশনে সিআরপি হাসপাতালের পেছনে দুটি বস্তিতে আগুন লেগে পুড়ে গেছে হাজারখানেক ঘর।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, বুধবার রাত দেড়টার দিকে বস্তির একটি ঘরে আগুন লাগার পর তা ছড়িয়ে পড়ে। অগ্নি নির্বাপক বাহিনীর ২১টি ইউনিট রাত সাড়ে ৩টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।
ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্তব্যরত কর্মকর্তা আতাউর রহমান বলেন, “আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও সকাল পর্যন্ত ডাম্পিংয়ের কাজ চলছিল। কারও হতাহত হওয়ার খবর আমরা পাইনি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ পরে জানা যাবে।”
ভাষানটেক থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সফিকুল ইসলাম জানান, সরকারি জায়গায় ডোবার উপরে বাঁশের খুঁটি দিয়ে ঘর তুলে এই বস্তি গড়ে তোলা হয়েছে।
“সেখানে দুটি বস্তি আছে। একটি আবুলের বস্তি নামে পরিচিত, অন্যটি জাহাঙ্গীরের বস্তি। আবুলের বস্তির ক্ষতি হয়েছে বেশি।”
সব মিলিয়ে এক রাতের আগুনে প্রায় এক হাজার ঘর পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ভাষানটেক থানার ওসি সাব্বির আহমেদ।
তিনি বলেন, “আবুলের বস্তির মাঝখানের একটি ঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাতাস থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।”
স্থানীয়রা বলছেন, সিআরপির পেছনে ওই বাস্তিতে এক লাখের মত মানুষের বসবাস। আগুন লাগার পর খালি হাতেই তাদের ঘর ছেড়ে বেরিয়ে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন।
হতাহতের কোনো ঘটনা না ঘটলেও বহু মানুষ সর্বস্ব হারিয়েছেন এই আগুনে।
কীভাবে ওই বস্তিতে আগুন লেগেছে তা এখনো জানাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।
চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের এক সপ্তাহের মাথায় মিরপুরের এই বস্তি পুড়ল। গত ২০ ফেব্রুয়ারি চকবাজারের ওই অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৬৯ জনের মৃত্যু হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।