Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এক রাতে ৬ হাজার পাখির মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

টানা দুইদিনের ঝড় ও বৃষ্টিতে নড়াইলের অরুনিমা ইকোপার্কের প্রায় ছয় হাজার দেশীয় ও অতিথি পাখি মারা গেছে। গত সোমবার অল্প কিছু মারা গেলেও মঙ্গলবার রাতের ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে পার্কের গাছে থাকা সবচেয়ে বেশি পাখি মারা যায়।
মধুমতি নদীর তীরসংলগ্ন কালিয়া উপজেলার নড়াগাতি থানার পানিপাড়া গ্রামে ‘কৃষি পর্যটনকেন্দ্র অরুনিমা ইকোপার্ক’ অবস্থিত। এই পার্কের গাছে গাছে হাজার হাজার পাখির বসবাস। শীতের শেষে হঠাৎ করে এক রাতের ঝড়ে এত পাখির মৃত্যুতে পার্কটি প্রায় পাখিশূন্য হয়ে গেল।
কৃষি পর্যটনকেন্দ্র অরুনিমা ইকোপার্কের মালিক ইরফান আহম্মেদ বলেন, সারাদেশের মতো নড়াইলেও ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে ঝড়ো হাওয়া ও ভারি বৃষ্টিপাত। ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে ভারি বৃষ্টির সঙ্গে শিলাবৃষ্টি হয়। এই শিলাবৃষ্টিতে পার্কে অবস্থানরত হাজার হাজার অতিথি পাখিসহ দেশীয় পাখি মারা যায়। দেশীয় ও অতিথি মিলে মৃত পাখির সংখ্যা প্রায় ছয় হাজার। পার্কে কমর্রত শ্রমিক দিয়ে মৃত পাখিগুলোকে একত্রিত করা হচ্ছে। পরবর্তীতে মাটি খুঁড়ে মৃত পাখিগুলোকে পুঁতে রাখা হবে।
কালিয়া উপজেলার কৃষি পর্যটনকেন্দ্র অরুনিমা ইকোপার্কের চেয়ারম্যান খবির উদ্দিন আহমেদ বলেন, ২০০৪ সাল থেকে প্রতি বছর শীত মৌসুমসহ বছরের আট মাস বিভিন্ন প্রজাতির পাখির কলতানে মুখরিত হয় এই পার্ক। চলতি বছরও মৌসুমের শুরু থেকে দেশীয় ও অতিথি পাখির কলতানে মুখরিত হয়ে উঠেছিল পার্কটি। পাখি সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণার একযুগ আগে থেকেই এই এলাকা পাখির গ্রাম নামে সবার কাছে পরিচিত। তিনি বলেন, এখানে বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন বিকেলে গাছের ঢালে ঢালে বসতে থাকে পাখিরা। রাত যত গভীর হয় পাখিদের আগমন তত বাড়তে থাকে। সারারাত পাখির কলতানে মুখর থাকে পুরো এলাকা। কিন্তু দুইদিনের ঝড়ো আবহাওয়া ও শিলাবৃষ্টিতে প্রায় ছয় হাজার পাখি মারা যায়। গতকাল রাতের বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি পাখি মারা গেছে। এই ক্ষতি অপূরণীয়।
অরুনিমা ইকোপার্কটি প্রায় ৬০ একর এলাকাজুড়ে গড়ে উঠেছে। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রজাতির কয়েক হাজার পাখির বাসবাস এ পার্কে। এখানে বক, বালিহাঁস, সরালি, পানকৌড়ি, শালিক, টিয়া, দোয়েল, ময়না, মাছরাঙা, ঘুঘু, শ্যামা, কোকিল, টুনটুনি, চড়–ইসহ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রজাতির পাখির রাজত্ব। প্রতিদিন হাজার হাজার পাখির প্রজনন ঘটে। ডিম থেকে ফুটে বাচ্চা। বর্তমানে দেশের একমাত্র এই কৃষি পর্যটনকেন্দ্রটি পরিণত হয়েছে পাখির অভয়ারণ্যে। তবে গত এক রাতের ঝড়- বৃষ্টিতে পার্কটি প্রায় পাখিশূন্য হয়ে গেল। #



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মৃত্যু


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ