Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অল্পের জন্য শিরোপা হাতছাড়া মেয়েদের

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৮:১৯ পিএম | আপডেট : ৯:৫৮ পিএম, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

এশিয়ান রোলবল চ্যাম্পিয়নশিপের তৃতীয় আসরে অল্পের জন্য শিরোপা হাতছাড়া হয়েছে বাংলাদেশের মেয়েদের। প্রতিযোগিতার মহিলা বিভাগের ফাইনালে বাংলাদেশ দারুণ প্রতিদ্বন্ধীতা গড়ে তুলে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করলেও শেষ পর্যন্ত পেরে ওঠেনি স্বাগতিক ভারতের সঙ্গে। ২৪ ফেব্রুয়ারি ভারতের গোয়ায় অনুষ্ঠিত এই ফাইনালের প্রথমার্ধে বাংলাদেশ মহিলা দল ৩-০ গোলে এগিয়ে ছিল। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে ভারতীয় রেফারির পক্ষপাতিত্ব মূলক খেলা পরিচালনায় স্বাগতিকরা পর পর তিনটি গোল দিয়ে ম্যাচ সমতায় আনে। খেলা শেষ হওয়ার ১ মিনিট আগে ভারত আরো একটি গোল দিলে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ হেরে যায় ৩-৪ গোলে। তাই রানার্সআপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় লাল-সবুজের মেয়েদের।

গোয়ায় ২১ থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠিত চারদিন ব্যাপী ৩য় এশিয়ান রোলবল চ্যাম্পিয়নশিপের পুরুষ বিভাগেও রানার্সআপ হয়েছে বাংলাদেশ। তবে পুরুষদের ফাইনালে ঘটে অপ্রত্যাশিত ঘটনা। জানা গেছে, বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল ম্যাচ শুরু মাত্র ৩০ মিনিট আগে খেলোয়াড়দের ডোপ টেস্টের জন্য নোটিশ দেয়া হয়। আন্তর্জাতিক বাইলজ অনুযায়ী এই নোটিশ দেয়ার কথা ম্যাচ শুরুর ৪৮ ঘন্টা আগে। ডোপ টেস্টের বাধা পেরিয়ে এবং টানা ম্যাচ খেলায় ক্লান্ত ইনজুরি আক্রান্ত বাংলাদেশ দল শিরোপা জয়ের মিশনে নামলেও শেষ পর্যন্ত আর পেরে ওঠেনি। ভারত ১০-৫ গোলে বাংলাদেশকে হারিয়ে পুরুষ বিভাগেরও শিরোপা ঘরে তুলে নেয়।

আয়োজক ভারত পুরো টুর্নামেন্টেই অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দেশের সঙ্গে বিমাতা সুলভ আচরণ করেছে। স্বাগতিকদের প্রতিটি ম্যাচেই রেফারিদের পক্ষপাতিত্ব ছিল স্পষ্ট। পুরুষ বিভাগে বাংলাদেশের খেলোয়াড় হৃদয় অসাধারণ পারফরমেন্স করে সবার নজর কাড়লেও তাকে টুর্নামেন্ট সেরার পুরষ্কার দেয়া হয়নি। তবে ১৫টি গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার পান হৃদয়। ফাইনালের আগে বাংলাদেশ মহিলা দল ৩ ও পুরুষরা ৪টি করে ম্যাচ খেলেছে।

প্রতিযোগিতার দু’বিভাগেই লাল-সবুজরা মাত্র ১ মাস ১৩ দিনের অনুশীলন ক্যাম্প করে অভাবনীয় সাফল্য তুলে এনেছে বলে মনে করেন বাংলাদেশ রোলার স্কেটিং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আসিফুল হাসান। ঢাকায় ফিরে বুধবার তিনি বলেন,‘মাত্র দেড় মাসের অনুশীলনে আমাদের ছেলে এবং মেয়েরা অসাধারণ পারফরমেন্স করেছে। দু’বিভাগের ফাইনালেই খেলেছি আমরা। যেখানে আমাদের প্রতিপক্ষ ছিল শক্তিশালী ভারত। ওরা স্বাগতিক দলের সুবিধা শতভাগ আদায় করে নিয়েছে। অংশগ্রহণকারী দলগুলোর সঙ্গে আয়োজকদের আচরণ ছিল অনেকটা বিমাতা সুলভ। পুরুষ বিভাগে বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল শুরুর মাত্র ৩০ মিনিট আগে খেলোয়াড়দের ডোপ টেস্টের জন্য নোটিশ দেয়া হলে আমরা হতবাক হয়ে যাই। এখানে আন্তর্জাতিক আইন অমান্য করা হয়েছে। তারপরও সব বাধা পেরিয়ে বাংলাদেশ নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করে দু’বিভাগেই রানার্সআপ হয়ে কৃতিত্ব দেখিয়েছে। এই ফলাফলে আমরা খুশি।’

চ্যাম্পিয়নশিপে ১০টি দেশ অংশ নেয়। এরা হলো- স্বাগতিক ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, কম্বোডিয়া, ইয়েমেন, সৌদী আরব, মালদ্বীপ ও থাইল্যান্ড।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ