পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতরা হলেন- আনোয়ার হোসেন (৫৫) ও মো. সোহাগ (২২)। গত সোমবার রাতে তাদের দু’জনের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে অগ্নিকান্ডে মোট ৬৯ জনের মৃত্যু হলো। বর্তমানে ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাকীদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
বার্ন ইউনিট সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাত সোয়া সোয়া ১০টার দিকে আনোয়ার হোসেন এবং রাত সোয়া ১১টার দিকে মো. সোহাগ মারা যায়। আগুনে আনোয়ারের শরীরের ৬১ শতাংশ ও সোহাগের শরীরের ৬০ শতাংশ দগ্ধ হয়। সোহাগের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।
ঢামেক সূত্রে জানা গেছে, আনোয়ার হোসেনের বাড়ি রাজবাড়ীতে। পেশায় রিকশা চালক আনোয়ার স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে কামরাঙ্গীরচরের ছাপড়া মসজিদ এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। আনোয়ার হোসেনের ছেলে হৃদয় বলেন, তাঁর বাবা ওইদিন রিকশা নিয়ে চুড়িহাট্টা অতিক্রমের সময় ওয়াহেদ ম্যানশনের আগুনে দগ্ধ হন। হৃদয়ও একটি কোম্পানিতে চাকরি করে সংসার চালাতে সাহায্য করেন।
বার্ন ইউনিটে বর্তমানে চিকিৎসাধীনদের মধ্যে মাহামুদুলের (৫২) শরীরের ১৩ শতাংশ, রেজাউলের (২১) ৫১ শতাংশ, জাকিরের (৩৫) ৩৫ শতাংশ, মোজাফফরের (৩২) ৩০ শতাংশ, হেলালের (১৮) ১৬ শতাংশ, সেলিমের (৪৪) ১৪ শতাংশ ও সালাউদ্দিনের (৪৫) ১০ শতাংশ দগ্ধ রয়েছে। তাদের সবারই শ্বাসনালী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ঢামেকের ক্যাজুয়ালটি বিভাগে রবিউল (২৮) ও কাওসার (৩৫) নামে আরো দু’জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার রাতে চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। পরদিন ঘটনাস্থল থেকে ৬৭ জনের লাশ উদ্ধার করা হয় বলে ফায়ার সার্ভিস জানায়। এছাড়া আগুনে দগ্ধদের ঢামেকের বার্ন ইউনিটে ৯ জন ও ক্যাজুয়ালিটি বিভাগে দু’জন চিকিৎসাধীন ছিলেন। এর মধ্যে সোমবার রাতে বার্ন ইউনিটের চিকিৎসাধীন দু’জনের মৃত্যু হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।