শেখ ফজলুল করিমের জীবন ও সাহিত্য
বাঙ্গালী মুসলমানদের লুপ্ত গৌরব ও ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে যে কয়জন খ্যাতনামা মুসলিম সাহিত্যিক স্মরণীয় বরণীয়
আমার বাম পাশের একটি কিডনী যেন খুলে গেছে। সেই কিডনীটির নাম কবি আল মাহমুদ। আজ তিনি কবরে শায়িত। তার শোকাচ্ছন্ন পরিবার এবং পাঠকদের প্রতি গভীর সমবেদনা। বাংলা ভাষার প্রধান এই কবি ছিলেন কবিতার ক্ষেত্রে আজীবন আপোষহীন এবং সত্যিকার বিভিন্ন কবি প্রতিভাকে তিনি মৃত্যুর আগে মূল্যায়ণ করে গেছেন। প্রায় ৩০ বছর সাহিত্য সম্পাদনায় গভীরভাবে সম্পৃক্ত থেকে বহু লেখকের সান্নিধ্য পেয়েছি। কিন্তু কবি আল মাহমুদ এবং হুমায়ূন আহমেদের মত মেধাবী সাহিত্যিক আমার চোখে পড়েনি। কবির একটি ভিন্ন রাজনৈতিক আদর্শ থাকতে পারে। কিন্তু তার সাথে তিনি তার সৃষ্টিকর্মকে গুলিয়ে ফেলেন নি। এখানে তিনি অন্যন্য। যারা তাকে রাজনৈতিক ধারায় আবব্ধ করতে মরিয়া, নানা স্বপ্নে বিভোর, আমি অত্যন্ত বিনয়ের সাথে বলছি: সত্যিকার কবিদের কখনোই বানানো যায় না। তারা আসে আকাশ থেকে বানানো কবিরা কাগজের মতো ছিঁড়ে যায়। আমার এই কথার মর্মার্থ বোধসম্পন্ন পাঠক মাত্রেই অনুধাবন করতে পারবেন।
দুই
তার সাথে আমার অসংখ্য স্মৃতি মগজে বিস্তৃত। কোনটা রেখে কোনটা বলবো? থাক সেসব কথা আজ। বলার বহু সময় আছে। আমার প্রধান কাজ লিখে যাওয়া। কবিতার ইতিহাস আঙ্গিকের ইতিহাস। যার কবিতায় যত বেশী ভাংচুর, নতুনত্ব তিনিই ততবড় কবি। এইটুকু মগজে গেঁথেই আমি কবিতায় নতজানু। বিশ্ব কবিতায় প্রতি মুহূর্তে নানা পালাবদল ঘটছে। সেইদিকে দৃষ্টি রেখেই আমার পথচলা কোনোরকম আবেগ তাড়িত না হয়ে, প্রচলিত ধারায় সৃষ্টিশীল কাজে নিমগ্ন হয়নি। কবিতায় আবেক থাকবে, সাথে নতুনত্বও থাকবে তবেই না তিনি বড় কবি, একজন কবির একটি লাইন মনে থাকলো অথচ নির্মাণ শৈলী প্রচলিত প্রথার, তার আয়ুস্কাল ক্ষণস্থায়ী। এইটুকু সমকালীন কবিদের বোধে আসলেই কে বড় কবি, ছোট কবি-তা স্পষ্টতর হবে। এই জন্য প্রয়োজন বিপুলভাবে বিশ্বসাহিত্য পঠন-পাঠন। কবি আল মাহমুদ ছিলেন আমার কাছে একটি সোনার মোহর। কথা এখানেই আজ শেষ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।