Inqilab Logo

বুধবার, ২৯ মে ২০২৪, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

আঙ্কারা কিনতে চাইলেই উপেক্ষা অথচ সন্ত্রাসীদের অস্ত্র দেয় ন্যাটো

নির্বাচনী প্রচারণায় প্রেসিডেন্ট এরদোগানের অভিযোগ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

আঙ্কারা অস্ত্র কিনতে চাইলে তা উপেক্ষা করে ন্যাটো। অথচ সন্ত্রাসীদের সমর্থনে তারা হাজার হাজার ট্রাকভর্তি অস্ত্র দিচ্ছে। তুরস্কের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় বর্দুর অঞ্চলে এক নির্বাচনীয় প্রচারণায় এ অভিযোগ করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান। ন্যাটোর প্রকৃতি নিয়ে প্রশ্ন করে তিনি বলেন, ন্যাটো কোন ধরনের জোট। ইরাকের মাধ্যমে ন্যাটো সন্ত্রাসীদের ২৩ হাজার ট্রাকভর্তি অস্ত্র দিয়েছে। কিন্তু তুরস্ক যখন তাদের কাছে অস্ত্র চায়, তখন অর্থের বিনিময়েও তা দিতে রাজি হয় না ন্যাটো। অথচ গৃহযুদ্ধে লিপ্ত সিরিয়ার সাথে তুরস্কের ৯১১ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। ফলে বেশ ঝুঁকির মুখে রয়েছে তুরস্ক। এসময় অবশ্য এরদোগান অস্ত্রদাতা দেশের নাম উল্লেখ করেননি। সোমবারের ওই সমাবেশে এরদোগান আশা প্রকাশ করেন, তুরস্ক শীঘ্রই সিরিয়ার মানবিজ অঞ্চল ‘সন্ত্রাসীদের’ কাছ থেকে দখলমুক্ত করে স্থানীয়দের কাছে ফিরিয়ে দিবেন। ২০১৬ সাল থেকে মানবিজ কুর্দি পিপলস প্রটেকশন ইউনিট (ওয়াইপিজি)-এর মিলিশিয়া বাহিনী মার্কিন সমর্থিত সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্স (এসডিএফ)-এর দখলে রয়েছে। তুরস্কে নিষিদ্ধ সংগঠন কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে)- এর সাথে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে দেশটি ওয়াইপিজিকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে আখ্যায়িত করে এবং রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি মনে করে। পিকেকে তুরস্কে দীর্ঘ দিন ধরে সশস্ত্র লড়াইয়ে লিপ্ত ছিল, যার ফলে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ মারা যায়। তুরস্ক সিরিয়া থেকে এ গ্রুপটিকে উচ্ছেদ করতে চায়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ায় হামলাকালে লোকাল এ গ্রুপটির সহায়তা নিয়েছিল। ফলে সিরিয়া থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সময় এ দলটি ওয়াশিংটনের সহায়তা লাভ করে। এ নিয়ে তুরস্কের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক দফা আলোচনাও হয়। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে ক্ষমতা থেকে সরানোর ইস্যুতে শুরু হওয়া আন্দোলন এক পর্যায়ে গৃহযুদ্ধে রূপ লাভ করেন। পরবর্তী সময়ে এ যুদ্ধে ইরান, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্রসহ আরো কয়েকটি দেশ যুক্ত হয়। দীর্ঘদিন পরে এ যুদ্ধ মোটামুটি শেষ হলেও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সন্ত্রাসী হামলা এখনো চলছে। আল-জাজিরা।



 

Show all comments
  • H.m. Noman ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৪৩ এএম says : 0
    সাহসী বাদশাহ এরদোগান
    Total Reply(0) Reply
  • মোঃ নাজীব ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৫১ এএম says : 0
    মুসলিম বিশ্বের নেতা এগিয়ে যাও, আমরা আছি আপনার সাথে। আল্লাহ সাহায্য করবেন।
    Total Reply(0) Reply
  • নজিবুর রহমান ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৫৮ এএম says : 0
    এরদোগানের মতো যদি আরও কয়েকজন নেতা আজ মুসলমানরা পেত তাহলে ইহুদি খ্রিস্টানরা মাথা উচু করে কথা বলতো না।
    Total Reply(0) Reply
  • আনিসুর রহমান ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:১০ পিএম says : 0
    আমি মনে করি মুসলিম বিশ্বের জন্য এরদোয়ান হল সাহসী বাদশা তিনি সারা বিশ্বের মুসলমানদের কে বাঁচানোর জন্য সংগ্রাম করে যাচ্ছেন আমাদের উচিত তার মত বাদশা কে অনুসরণ করা এবং তাকে সাহায্য করা
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: তুরস্ক

২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ