নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ম্যাচ ১০০ ওভারের। কিন্তু ম্যাচের ভাগ্য অনেকটা গড়া হয়ে যাচ্ছে প্রথম ১০ ওভারেই। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের দুটি ম্যাচেই আগে ব্যাট করে বাংলাদেশ, শুরুতেই খেয়েছে জোর ধাক্কা। প্রথম ম্যাচে নেপিয়ারে প্রথম ৪ উইকেট হারিয়েছে ৯ ওভারের মধ্যে, পরের ম্যাচে ক্রাইস্টচার্চে ১৩ ওভারের মধ্যে ৩ উইকেট। সেই ধাক্কা পরে খানিকটা সামাল দেওয়া গেলেও লড়াই করার মতো স্কোর গড়া হয়নি এক ম্যাচেও। নিউজিল্যান্ডে বোলাররাও দারুণ বোলিং করেছেন। তবে পেছন ফিরে তাকিয়ে নিজেদের ভুলই বেশি দেখছেন তামিম ইকবাল।
তামিম নিজে পারেননি প্রথম দুই ম্যাচে, দলের সর্বনাশও দেখছেন সেখানেই। অভিজ্ঞ ওপেনার ঘুরে দাঁড়ানোর সমাধান মনে করেন শুরুর প্রতিরোধেই, ‘আমরা দুটি ম্যাচেই ভালো ব্যাট করতে পারিনি। প্রথম ম্যাচে উইকেট খুবই ভালো ছিল। কিন্তু আমরা শুরুই করতে পারিনি। ওদের দুই বোলার প্রথম ১০ ওভারে খুব ভালো বল করেছে। আমরাও ১০ ওভারে ওদেরকে ৪টি উইকেট দিয়ে দিয়েছিলাম। দ্বিতীয় ম্যাচেও উইকেট ভালো ছিল। বৃষ্টি ও আবহাওয়ার কারণে ওদের পেসাররা সহায়তা পেয়েছে। ১৫-২০ ওভার পর উইকেটে খুব বেশি কিছু হয়নি। এবারও প্রথম ১০ ওভারে ২-৩ উইকেট হারিয়ে ফেলেছি।’
প্রতিকূল কন্ডিশনে কঠিন প্রতিপক্ষের সঙ্গে লড়াইয়ে ভালো শুরুর জন্য বাংলাদেশের বড় ভরসা বরাবরই তামিম। তবে দেশের সফলতম ব্যাটসম্যান প্রথম দুই ম্যাচেই ফিরেছেন ৫ রান করে। আজ ভোরে ডানেডিনে শুরু হওয়া তৃতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশ নেমেছে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লড়াইয়ে। সেই চেষ্টায়ও দলের সম্ভাবনা ও শঙ্কা লুকিয়ে শুরুর ওভারগুলোয়। ভুলের পুনরাবৃত্তি না হলে উজ্জ্বল হবে সম্ভাবনা, বলছেন তামিম, ‘তৃতীয় ওয়ানডেতে আমরা যদি ১০ ওভার ভালো ব্যাট করতে পারি, খুব বেশি রান না হোক, যদি উইকেট না হারাই, তাহলে মাঝের ওভারগুলোতে ওদেরকে চাপে রাখতে পারব। আমি বিশ্বাস করি, আমোদের ব্যাটসম্যানদের সামর্থ্য আছে। প্রথম দুই ম্যাচে ভুল করেছি বলেই আমরা এই জায়গায় এখন। ভুলগুলো শোধরাতে হবে।’
শুধু এই সিরিজই নয়, বাংলাদেশ খুঁজছে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের দেশে সব মিলিয়েই প্রথম জয়। কোনো সংস্করণেই এখনও কিউইদের সেখানে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। এবারও শুরুটায় নেই আশার ছবি। তবে নতুন কিছু করে দেখানোর বিশ্বাস হারাচ্ছেন না তামিম, ‘এখানে আমরা কোনো ম্যাচ জিততে পারিনি। গতবার তবু লড়াই হয়েছিল, এবার সেটিও করতে পারিনি। আমরা চার-পাঁচটা সফর করে ফেলেছি এখানে, এখনও জিতিনি। তবে, এই দলকেই কিন্তু আমরা অন্য দেশে, ইংল্যান্ডে, আমাদের দেশে হারিয়েছি। এখানেও না পারার কারণ নেই। তবে আমাদের ভালো খেলতে হবে। আশা করি নতুন ম্যাচে নতুন কিছু হবে।’
এই নতুন কিছুর পেছনে লুকিয়ে অতীত সুখস্মৃতি। স্মৃতি বলতে ২০১৭ সালের আয়ারল্যান্ডে তিন জাতি সিরিজ। শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুর্দান্ত একটা জয় দিয়েই আয়ারল্যান্ড সফর শেষ করেছিল মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। সেই একই ভেন্যুতে নামার আগে সে ম্যাচের স্মৃতিই মনে করলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘গত বছর আয়ারল্যান্ডে আমরা নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছিলাম। আমরা কিন্তু ম্যাচটা জিতেছি। আবার আয়ারল্যান্ড থেকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে গিয়েও আমরা নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েছিলাম। অনুভূতিটা অসাধারণ ছিল। আমরা আবারও এটাই করতে চাই। কিন্তু সব সময়ই যেটি বলি, নিউজিল্যান্ডের মাটিতে নিউজিল্যান্ডকে হারানোটা সব সময়ই কঠিন। তবে ভালো লাগছে যে উইকেট কিন্তু বেশ ভালো। আশা করছি, কাল আমরা এখানে ভালো খেলব।’
নিউজিল্যান্ড সফরে কি সবকিছুই নেতিবাচক? মাশরাফি তা মনে করেন না। বরং বিশ্বকাপের ১০০ দিনের মতো বাকি থাকতে অনেক নেতিবাচক ব্যাপারই তাঁর কাছে দীর্ঘ পরিসরে ইতিবাচক মনে হচ্ছে, ‘এই সিরিজে আমরা যেভাবে খেলতে চেয়েছিলাম। সেটি খেলতে পারিনি। অনেক পরিকল্পনাই আমরা বাস্তবায়ন করতে পারিনি। এর মানে এই না যে সামনে এগোনোর সুযোগ নেই। এই সফরে অনেক দুর্বল দিকগুলো বেরিয়ে এসেছে। বিশ্বকাপের ১০০ দিন বাকি আছে। এই দুর্বল দিকগুলো নিয়ে তো কাজ করার অনেক সুযোগ থাকছে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।