বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
আজ ১৯ ফেব্রুয়ারি নোয়াখালীর সেনবাগবাসীর জন্য শোকবাহ এক স্মরণীয় দিন। ১৯৬৯ সালের এই দিনে নিহত চার শহীদের রাষ্ট্রিয় স্বীকৃতির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে সর্বস্তরের জনগন।
মঙ্গলবার সকালে সেনবাগ থানার মোড়ে লেখক ফোরামের আয়োজনে মুক্তিযোদ্ধা, ব্যবসায়ী, শিক্ষক, ছাত্রদের অংশগ্রহনে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়। এতে ফোরামের সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ আবু তাহের বক্তব্য রাখেন।
উপস্থিত ছিলেন, ব্যবসায়ী কল্যান সমিতির সভাপতি হাজী আমান উল্যা, সাংবাদিক খোরশেদ আলম, এম এ আউয়াল, ভাসানী সংসদের সভাপতি আবদুস ছোবহান প্রকাশ রাষ্ট্রপতি, আওয়ামী লীগ নেতা ভিপি দুলাল, কবি জাহাঙ্গীর বাবু, সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম, সাংবাদিক মো: হারুন, খন্দকার নাজিম উদ্দিন প্রমুখ।
জানা গেছে, ১৯৬৯'র এ দিনে সার্জেন্ট জহুরুল হক ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. সামসুজ্জোহা কে হত্যার প্রতিবাদে নোয়াখালীর সেনবাগে কালো দিবস পালন কালে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন চার যুবক। এরা হলেন, পৌরশহর অর্জুনতলা গ্রামের অফিজের রহমান, বাবুপুর গ্রামের আবুল কালাম, জিরুয়া গ্রামের সামছুল হক ও মোহাম্মদপুর গ্রামের খুরশিদ আলম। ওই সময় পুলিশের গুলিতে আরো ১৮জন গুরুত্বর আহত হয়েছেন। কিন্তু দীর্ঘ ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও ৬৯-এর সেই ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবার পায়নি রাষ্ট্রীয় কোন সুযোগ সুবিধা এবং সংরক্ষন করা হয়নি শহীদদের কবর। তৎকালীন সময়ে ঘটনার দু'দিন পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেনবাগে এসে নিহত শহীদের কবর জিয়ারত করে পরিবারের লোকজনের মাঝে ৫’শত টাকা অনুদান ও একটি করে সনদপত্র তুলে দেন। সরকারি ভাবে কোন সুযোগ সুবিধা না পেলেও জিরুয়া গ্রামের শহীদ সামছুল হকের মা স্বামীর সম্পত্তি বিক্রি করে পুত্রের কবর পাকা করণ ও ছেলের নামে একটি মসজিদ নির্মাণ কাজ শুরু করে ইন্তেকাল করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।