মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আফগানিস্তানবিষয়ক বিশেষ মার্কিন দূত জালমি খলিলজাদদের ঘোষণা অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবানের মধ্যে প্রাথমিক যে সমঝোতা হয়েছে, তাতে অনেকের মধ্যে আশাবাদের সঞ্চার হলেও বেশির ভাগ আফগানকে অভিভূত করতে ব্যর্থ হয়েছে।
এটি গোপন কোনো বিষয় নয় যে ১৮ বছর যু্দ্েধর পর মার্কিন সৈন্যদের দেশে ফিরিয়ে নিতে আলোচনার জন্য খলিলজাদদ চাপে রয়েছেন। এই অঞ্চলে মার্কিন নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে তার দূতিয়ালি শুরু হয়েছে। তালেবানকে আফগান সরকারের সাথে আলোচনা করতে বাধ্য করার বদলে তারা নিজেরাই তাদের সাথে সরাসরি আলোচনায় বসেছে।
কোনো সময়সীমা না থাকলেও পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী নির্বাচনের জন্য প্রচারণা শুরু করার আগেই আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সম্পৃক্ততার অবসান ঘটাতে চান।
তালেবানের সাথে সরাসরি সংলাপ
ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্যাট্রিক শানাহান সোমবার কাবুলে ছিলেন। তিনি মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহারের পর কী কী ঝুঁকি হতে পারে, তা মূল্যায়ন করার মিশনে ছিলেন। খলিলজাদদ একটি শান্তি চুক্তির কাঠামো নিয়ে কাজ করার কথা ঘোষণা করার পর এই সফর অনুষ্ঠিত হলো। তবে তালেবানের প্রতিশ্রুতি নতুন কিছু নয়। আগেও তারা বিদেশী সন্ত্রাসীদের স্থান না দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এই প্রতিশ্রুতি তারা ২০১০ সাল থেকে দিয়ে আসছে। তবে নতুন যা তা হলো তালেবানের কথাকে গ্রহণ করে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
আর খলিলজাদদ স্বীকার করেছেন, এগুলো হলো একটি প্যাকেজ চুক্তির প্রাথমিক ধাপ। রাজনৈতিক, নিরাপত্তা, সামাজিক ইস্যুসহ সবকিছু চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত কোনো চুক্তি হবে না।
ট্রাম্প কি শান্তি চুক্তি করবেন?
ট্রাম্পের দোলুল্যমনতার কারণে তিনি ব্যাপকভিত্তিক কোনো চুক্তিতে রাজি হবেন কিনা তা এখনো একটি প্রশ্ন হিসেবে রয়ে গেছে। তাছাড়া আলোচনার বাইরে রাখার কারণে আফগান সরকারও সংলাপের ব্যাপারে উদ্বিগ্ন। তবে খলিলজাদদ আশা করছেন, আন্তঃআফগান সংলাপে আফগান সরকারকে অন্তর্ভ্ক্তু করা হবে। এবং তা হবে আফগান প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগেই। তবে আফগান গ্রুপগুলোর মধ্যে ভয়াবহ অনৈক্য থাকায় তাদের মধ্যে সমঝোতা প্রতিষ্ঠিত হতে অনেক সময় লাগবে।
তালেবান কি আলোচনায় বসবে?
ট্রাম্প প্রশাসন যে গতিতে আফগান ও অন্যদের দিকে ছুটছে, তাতে ভারত উদ্বিগ্ন। ইতোমধ্যেই তারা তালেবানকে নাটকীয় ছাড় দিয়েছে, দীর্ঘ দিন ধরে রাখা অবস্থানের সাথে সমন্বয় সাধন করেছে। সবচেয়ে বড় কথা হলো, অন্যান্য আফগান গ্রুপের সাথে তালেবান আলোচনায় বসার আগেই সৈন্য প্রত্যাহার নিয়ে আলোচনা করেছে।
খলিলজাদদ কোনো পূর্বশর্ত ছাড়াই তালেবানের সাথে আলোচনা করছেন। ট্রাম্পের এ ধরনের অবস্থানের কারণে তালেবান মনোস্তাত্তি¡ক ও সামরিক সুবিধা পেয়ে যাচ্ছে। খলিলজাদ দাবি করা সত্তে¡ও তারা এখনো প্রকাশ্যে আল কায়েদার সাথে সম্পর্কচ্ছেদের ঘোষণা দেয়নি, আফগান সরকারের সাথে যুদ্ধবিরতির প্রতিশ্রুতি দেয়নি।
তালেবান সুবিধাজনক অবস্থায়?
খলিলজাদদ চাচ্ছেন যত দ্রুত সম্ভব আন্তঃআফগান সংলাপ শুরু হোক, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠিত হোক। কিন্তু তা সত্তে¡ও আফগানিস্তানে হামলা চলছে। অথচ যুদ্ধবিরতি ছাড়া শান্তি আলোচনা বেশি সময় ধরে চলতে পারে না।
অন্য দিকে আফগান সরকারের সাথে আলোচনা শুরুর পূর্ব শর্ত দিয়ে রেখেছে তালেবান। তারা আফগান সরকারকে বলছে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে দ্বিপক্ষীয় নিরাপত্তা চুক্তি বাতিল করতে, কৃত ‘অপরাধের’ জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতে এবং তালেবান যাদেরকে ‘জাতীয় বেইমান’ ও ‘অপরাধী’ হিসেবে অভিহিত করেছে, তাদেরকে ইসলামি আদালতে বিচার করার জন্য তালেবানের হাতে সমর্পণ করতে। তালেবান কী চায়, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। তারা কি নির্বাচনে অংশ নেবে বা অন্তর্র্বতী সরকারের অংশ হবে? আফগান সরকার জোরালোভাবে অন্তর্বর্তী সরকারের বিরোধিতা করছে। সূত্র : এসএএম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।