Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জীবনে উজ্জ্বল আবাহনী শেখ জামালের কষ্টের জয়

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

ঘরোয়া ফুটবলের মর্যাদাপূর্ণ আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ফরোয়ার্ড নাবিব নেওয়াজ জীবনের জোড়া গোলে সহজ জয় পেল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনী লিমিটেড। গতকাল বিকেলে ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভুঁইয়া স্টেডিয়ামে লিগের ষষ্ঠ পর্বের খেলায় আবাহনী ২-১ গোলে হারায় আরামবাগ ক্রীড়া সংঘকে। বিজয়ী দলের হয়ে জীবন দু’টি গোল করেন। আরামবাগের পক্ষে এক গোল করেন ফরোয়ার্ড আরিফুর রহমান। এই জয়ে ছয় ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট পেয়ে তালিকার শীর্ষে উঠে আসলো আবাহনী। সমান ম্যাচে ৯ পয়েন্ট পাওয়া আরামবাগ নেমে গেল ষষ্ঠস্থানে।

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে আগের ম্যাচে রহমতগঞ্জের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করে গোলের খাতা খুলেছিলেন নাবিব নেওয়াজ জীবন। আবাহনীর এই ফরোয়ার্ড পরের ম্যাচেই করলেন জোড়া গোল। তার নজরকাড়া পারফরমেন্সই শেষ পর্যন্ত দলকে জয় এনে দিল। যদিও কাল ম্যাচে প্রথমে গোল করে আরামবাগ। শুরু থেকেই তারা আক্রমণাতœক ফুটবল উপহার দেয়। যে কারণে সাফল্যও পায়। তবে আরামবাগের এ সাফল্যের পেছনে অবদান ছিল আবাহনী গোলরক্ষক শহিদুল আলম সোহেলের। হোম গ্রাউন্ডে ম্যাচের ১৪ মিনিটে এগিয়ে যায় আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ। এসময় আবাহনীর গোলরক্ষক সোহেলের হাস্যকর গোল হজম বিপদ ডেকে এনেছিল দলের। আরামবাগের নাইজেরিয়ান ফরোর্য়্ডা চিনেদু ম্যাথুর বাড়ানো বলে আরিফর রহমান গোলবারে শট নেন। গোলরক্ষক সোহেল নাগালের মধ্যে থাকা বল তালুবন্দী করতে পারেননি। বল হাত ফসকে জাল স্পর্শ করলে এগিয়ে যায় আরামবাগ (১-০)। সোহেলের হাস্যকর গোল হজমের পর আবাহনীকে উদ্ধার করেন জীবন। ৩২ মিনিটে সমতা ফিরিয়ে (১-১) ৩৮ মিনিটে জয়সূচক গোল করেন তিনি (২-১)। এগিয়ে থেকে বিরতিতে গেলেও দ্বিতীয়ার্ধে আর গোল পায়নি আবাহনী। অন্যদিকে পিছিয়ে থাকা আরামবাগ ম্যাচে ফিরতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে। তাদের একের পর এক আক্রমণ রুখে দিয়েছে আবাহনী রক্ষণভাঘ। ফলে শেষ পর্যন্ত ২-১ ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ঢাকা আবাহনী।

এদিকে ঢাকা ভেন্যুর খেলায় কষ্টের জয় পেয়েছে বর্তমান রানার্সআপ শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। কাল বিকেলে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে নিজেদের ষষ্ঠ ম্যাচে শেখ জামাল ১-০ গোলে হারায় ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবকে। বিজয়ী দলের হয়ে একমাত্র জয়সূচক গোলটি করেন ফরোয়ার্ড সাখাওয়াত হোসেন রনি। লিগে জামালের এটা টানা তৃতীয় জয়। এই জয়ে ছয় ম্যাচে ১০ পয়েন্ট পেয়ে তালিকার পঞ্চমস্থানে উঠে আসলো শেখ জামাল। পাঁচ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট পেয়ে নবমস্থানেই রইল ব্রাদার্স।

ম্যাচের শুরু থেকেই গোলের জন্য মরিয়া ছিল শেখ জামাল। ফলে খুব তাড়াতড়ি সাফল্য পায় তারা। ২ মিনিটেই এগিয়ে যায় ২০১৫ সালের লিগ চ্যাম্পিয়ন শেখ জামাল। এসময় আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড লুসিয়ানো এ্যামানুয়েল পেরেসের শট ব্রাদার্স গোলরক্ষক বিপ্লব ভট্টাচার্য্য ফিস্ট করে ফিরিয়ে দিলেও ফিরতি বলে শটে গোল করেন রনি (১-০)। ম্যাচের ১২ মিনিটে দ্বিতীয় গোলের সুযোগ পেয়ে সাফল্য পায়নি শেখ জামাল। এসময় প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে রনির নেয়া শট ফিস্ট করে ফেরান গোলরক্ষক বিপ্লব।

প্রথমার্ধের শেষ দিকে জামালের গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড সলোমন কিংয়ের কর্নারের বলে কিরগিজস্তানের ফরোয়ার্ড ডেভিড ব্রæস হেড নেন। কিন্তু এবারো গোলরক্ষক বিপ্লব ব্রæসের হেড ফিস্ট করে দলকে রক্ষা করেন। পিছিয়ে থেকে বিরতিতে গেলে শেষ পর্যন্ত আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি ব্রাদার্স। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে খেলা চললেও দু’দলের আক্রমণেই তেমন ধার লক্ষ্য করা যায়নি। তবে ৭৫ মিনিটে শেখ জামালের গাম্বিয়ার ফরোয়ার্ড সলোমন কিংয়ের শট বাইরে গেলে ব্যবধান বাড়ানোর আরেকটি সুযোগ নষ্ট হয় দলটির। ফলে শেষ পর্যন্ত কষ্টের জয় নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় শেখ জামালকে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জীবন

২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ