Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শিশু হত্যা মামলার রায়ে দু’জনের যাবজ্জীবন

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৬:১৪ পিএম

রাজধানীর কদমতলীর শ্যামপুর এলাকায় সাত বছরের শিশু আব্দুল্লাহকে হত্যার দায়ে দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত।

রোববার ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ মোরশেদ আলম এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মো. হানিফ ও জাহিদ হোসেন। এর মধ্যে হানিফকে সশ্রম কারাদন্ডের পাশাপাশি পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদন্ড এবং জাহিদ হোসেনকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও পাঁচ মাস সশ্রম কারাদন্ডের দির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আসামিরা পলাতক থাকায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
রায়ের প্রতিক্রিয়ায় আব্দুল্লাহর মা আয়েশা আক্তার বলেন, ‘আমার সাত বছরের ছেলে আব্দুল্লাহকে পাথর দিয়ে আঘাত করে নির্মমভাবে হত্যা করেছে হানিফ আর জাহিদ। আমি ছয় বছর থেকে আদালতে আসি ছেলে হত্যার বিচারের আশায়। তারা এই মামলায় জামিন পেয়ে আমাকে ও আমার স্বামীকে অনেক ভয়ভীতি দেখিয়েছে। শেষমেশ টাকার বিনিময়ে আপোষ করতে চেয়েছে। আমি আপোষ করিনি। এ রায়ে আমি খুশি। যেহেতু আসামিরা বাইরে, তাই আমি আমার পরিবার নিয়ে শঙ্কায় আছি। তারা যে কোনো সময় আমাদের ক্ষতি করতে পারে। তাই আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।’
মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২১ সেপ্টেম্বর আসামিরা আব্দুল্লাহকে কদমতলী থানার উজালা ম্যাচ ফ্যাক্টরীর পশ্চিম পাশের বাউন্ডারী ওয়ালের ভিতরে পতিত জায়গায় নিয়ে গিয়ে পাথর দিয়ে মাথায় ও মুখে আঘাত করে। এরপর পাথর দিয়েই চাপা দিয়ে হত্যা নিশ্চিত করে। এ ঘটনায় কদমতলী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়।
২০১৮ সালের ১৭ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির উপ-পরিদর্শক এরশাদ হোসেন হানিফ ও জাহিদ হোসেনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৮ সালের ১১ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পর মামলার বিচার শুরু হয়। আদালত বিভিন্ন সময়ে ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যাবজ্জীবন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ