Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

পদ্মায় দেড় কিলোমিটার বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০২ এএম

ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার চরসালেপুর এলাকায় পদ্মা নদীতে দেড় কিলোমিটার এলাকায় অবৈধভাবে বাঁশের বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার করছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। এক মাস ধরে এ কাজ চললেও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় ক্ষোভ জানিয়েছেন মৎস্যজীবীরা। ভুক্তভোগি মৎস্যজীবীরা বলেন, অসাধু ব্যবসায়ীরা স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিকে ‘ম্যানেজ’ করে নদীতে বিশাল বাঁধ দিয়ে অবৈধভাবে মাছ শিকার করছে। এতে ভাটিতে থাকায় তারা কেউই মাছ পাচ্ছেন না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মালিক তানভির হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, নদীতে বাঁধ দেয়ার বিষয়ে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। তাছাড়া নদীতে এভাবে অবৈধভাবে বাঁধ দেয়ার কোনো সুযোগ নেই।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চরভদ্রাসন উপজেলার গোপালপুর থেকে মৈনটঘাটে যাওয়ার চ্যানেলের মধ্যবর্তী চরসালেপুর এলাকায় পদ্মায় দেড় হাজার মিটার পর্যন্ত আড়াআড়িভাবে কয়েক হাজার বাঁশ পুঁতে অবৈধভাবে বাঁধ দেয়া হয়েছে। নদীর মূল প্রবাহে আড়াআড়িভাবে তৈরি করা বাঁশের বাঁধের সঙ্গে জাল দিয়ে রাতদিন মাছ শিকার চলছে। বাঁধের কারণে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ ও মাছের অবাধ বিচরণ ব্যাহত হচ্ছে। একই সঙ্গে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে নৌযান চলাচলও। বাঁধ দিয়ে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ জাটকা, রুই, কাতল, চিতল, পাঙ্গাশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ শিকার করা হচ্ছে।
পদ্মায় অবৈধভাবে বাঁধ দিয়ে মাছ ধরার বিষয়টি জানা নেই দাবি করে চরঝাউকান্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফরহাদ মৃধা সাংবাদিকদের বলেন, কেউ যদি এভাবে বাঁধ দিয়ে মাছ ধরে, তবে সেটা ঠিক করেনি।
বাঁধটি উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই দেয়া হয়েছে দাবি করে বাঁধ মালিকদের একজন কাসেম মেম্বার বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে বাঁধ দিলেও কাঙ্খিত পরিমাণ মাছ না পাওয়ায় তা অপসারণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মালিক তানভির হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, নদীতে বাঁধ দেয়ার বিষয়ে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। তাছাড়া নদীতে এভাবে অবৈধভাবে বাঁধ দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। তিনি আরো বলেন, ১৯৫০ সালের মৎস্য সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী নদীতে আড়াআড়িভাবে বাঁধ দেয়া শাস্তিযোগ্য অপরাধ।



 

Show all comments
  • Istehad Ahmed ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৫১ এএম says : 0
    বাঁধের কারণে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ ও মাছের অবাধ বিচরণ ব্যাহত হচ্ছে। একই সঙ্গে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে নৌযান চলাচলও।
    Total Reply(0) Reply
  • Saiful Alom Nazrul ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৫২ এএম says : 0
    দেখেন ,ওরা তো প্রশাসনের লোকও হতে পারে ।
    Total Reply(0) Reply
  • মোঃ বেলায়েত হোসেন ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৫৫ এএম says : 0
    প্রশাসন এদের চোখে দেখতে পায় না। এ নিয়ে বহু নিউজ হয়েছে। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
    Total Reply(0) Reply
  • মোঃ নাজীব ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৫৫ এএম says : 0
    ভালো তো, খুব ভালো....!
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Kowaj Ali khan ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৫:৪৩ এএম says : 0
    ভারত ভালো করে জেনে রাখেন। আপনারা ফারাক্কা বাঁধ সহ সকল নদীর উৎস মুখে বাঁধ দিয়ে আন্তর্জাতিক আইন লংগন করে বাংলাদেশের যে ক্ষতি করিয়াছেন জেনে রাখো একদিন আমার মতো অথবা আমি যে দিন আমাদের সোনার বাংলাদেশে ক্ষমতায় আসিবো সেই দিন সকল ক্ষতিপূরণ আদায় করিবো এবং তুমাদেরকে দাঁত ভাংগা জবাব দিয়ে সকল অত্যাচারের বদলা নিবো । ইনশাআল্লাহ।।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পদ্মা

১১ জানুয়ারি, ২০২৩
৩১ অক্টোবর, ২০২২
৪ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ