নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ঘরোয়া ফুটবলের মর্যাদাপূর্ণ আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) জয়ে ফিরল চট্টগ্রাম আবাহনী। টানা দুই ড্র ও এক হারের পর লিগের পঞ্চম পর্বে ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবের বিপক্ষে জয় পেল তারা। গতকাল বিকেলে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম আবাহনী ৩-২ গোলে হারায় ব্রাদার্সকে। বিজয়ী দলের হয়ে গাম্বিয়ান মিডফিল্ডার মামুদু বাহে ও স্থানীয় মিডফিল্ডার কৌশিক বড়–য়া একটি করে গোল করলে অপর গোলটি তারা পায় আতœঘাতি। ব্রাদার্সের মিডফিল্ডার মন্নাফ রাব্বি ও ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ভিয়েরা লিমা দু’গোল শোধ দেন। এই জয়ে পাঁচ ম্যাচে দু’টি করে জয় ও ড্র’তে এবং এক হারে ৮ পয়েন্ট পেয়ে তালিকার ষষ্ঠস্থানে জায়গা করে নিল চট্টগ্রাম আবাহনী। চার ম্যাচে এক জয় ও তিন হারে ৩ পয়েন্ট পাওয়া ব্রাদার্সের অবস্থান নবম।
লিগের প্রথম ম্যাচে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের বিপক্ষে জয় পাওয়ার পরের তিন ম্যাচেই পয়েন্ট হারিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল চট্টগ্রামকে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ম্যাচে তারা যথাক্রমে রহমতগঞ্জ ও বিজেএমসির সঙ্গে ড্র করে। চতুর্থ ম্যাচে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের বিপক্ষে হেরে শিরোপার দৌড় থেকে বেশ পিছিয়ে পড়ে চট্টগ্রাম। তবে পঞ্চম ম্যাচে এসে ঘুরে দাঁড়ায় বন্দরনগরীর দলটি।
কাল ম্যাচের শুরু থেকেই গোলের জন্য মরিয়া হয়ে লড়ে চট্টগ্রাম আবাহনী। ১২ মিনিটে সৌভাগ্যপ্রসূত গোলও পেয়ে যায় তারা। এসময় মিডফিল্ডার কৌশিক বড়–য়া কর্নারে উড়ে আসা বল বিপদমুক্ত করতে লাফিয়ে হেড করেন ব্রাদার্স মিডফিল্ডার শফিকুল ইসলাম শফি। কিন্তু তার হেড দুভার্গ্যবশত নিজেদের জালেই ঢুকে পড়লে হতভম্ব হয়ে পড়ে গোপীবাগের দলটি। এগিয়ে যায় চট্টগ্রাম আবাহনী (১-০)। ৩৩ মিনিটে সমতায় ফেরে ব্রাদার্স। এসময় আবাহনীর সীমানায় ফ্রি কিক পেয়ে ডিফেন্ডার খান মো: তারা উঁচু সেন্টার ফেলেন প্রতিপক্ষের বক্সের ভেতরে। সেখানে জটলার মধ্যে বল বিপদমুক্ত করতে দৌড়ে এসে পাঞ্চ করতে যান গোলরক্ষক নেহাল। কিন্তু তার আগেই লাফিয়ে ওঠে হেড করেন ব্রাদার্সের ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ভিয়েরা লিমা লিওনার্দো। তার হেড গোল লাইন অতিক্রম করার পূর্ব মুহূর্তেই দৌড়ে এসে বলে পা ছোয়ান মিডফিল্ডার মন্নাফ রাব্বি (১-১)। ৪৬ মিনিটে ফের এগিয়ে যায় চট্টলার দলটি। নাইজিরিয়ান ফরোয়ার্ড আওয়ালা মাগালানের লম্বা থ্রু পাস পেয়ে বক্সের ভেতরে ঢুকে দুর্দান্ত শটে গোল করেন মামুদু বাহে (২-১)। ৫৬ মিনিটে ব্যবধান আরো বড় করে চট্টগ্রাম আবাহনী। এসময় লম্বা পাস পেয়ে মাগালান বল ঠেলে দেন মিডফিল্ডার শাহেদ হোসেনকে। ডানপ্রান্ত দিয়ে বক্সে ঢুকে শাহেদ সেই বল ক্রস করেন। সুযোগ বুঝে বক্সের ভেতরে ঢুকে পড়া আবাহনীর মিডফিল্ডার কৌশিক বড়–য়া চলন্ত বলে পা লাগিয়ে জাল কাঁপান (৩-১)। ৬৪ মিনিটে গোল করে ব্যবধানে কমায় ব্রাদার্স। ভিয়েরা বক্সের ভেতরে উড়ন্ত বল পেয়ে লাফিয়ে ওঠে হেড করতে যান। তাকে বাধা দিতে একইসঙ্গে লাফিয়ে ওঠে হেড করেন আবাহনীর নাইজিরিয়ান মুফতা লাওয়াল। কিন্তু বল তার হাতে লেগে যায়। আর সেটা চোখ এড়ায়নি রেফারি আনিসুর রহমান সাগরের। ফলে মুফতাকে হলুদ কার্ড দেখানোর পাশাপাশি পেনাল্টিরও নির্দেশ দেন তিনি। পেনাল্টি থেকে ডান পায়ের গড়ানো শটে গোল করেন ভিয়েরা (২-৩)। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি ব্রাদার্স। জয়ের আনন্দ নিয়ে মাঠ ছাড়ে চট্টগ্রাম আবাহনী।
একই দিন বিকেলে ময়মনসিংহ ভেন্যুর খেলায় পয়েন্ট ভাগ করে নেয় সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব ও শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে দু’দল ১-১ গোলে ড্র করে। এই ড্রতে চার ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার দ্বিতীয়স্থানে উঠে আসলো শেখ রাসেল। পাঁচ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট পেয়ে তৃতীয়স্থানে সাইফ।
চট্ট. আবাহনী ৩-২ ব্রাদার্স ইউ.
শেখ রাসেল ১-১ সাইফ স্পোর্টিং
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।