মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
যুক্তরাজ্যের ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) প্রস্থান নিয়ে আরো আলোচনা করতে সম্মত হয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিসা মে ও ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট জ্যঁ ক্লদ ইয়ুংকার। ব্রুাসেলসে বৈঠকের পর এ কথা জানান এ দুই নেতা। আলোচনা শেষে দেয়া বিবৃতিতে তারা জানান, ব্রেক্সিট চুক্তি পরিবর্তন প্রসঙ্গে তাদের মধ্যকার আলোচনা ‘বলিষ্ঠ ও গঠনমূলক’ হয়েছে। অন্যদিকে ব্রিটেনের বিরোধী পক্ষ লেবার পার্টির পক্ষ থেকে আভাষ দেয়া হয়েছে ব্রেক্সিটের পরেও ইইউর সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ থাকবে- এমন প্রতিশ্রুতি পেলে তারা প্রধানমন্ত্রীর পাশে থাকবে। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ব্রেক্সিট চুক্তিটি পরিবর্তন করতে চাইছেন। কিন্তু ইসি প্রেসিডেন্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, প্রত্যাহার চুক্তিটির কোনো পরিবর্তন হবে না। তবে অবাধ ভবিষ্যৎ সম্পর্ক নিয়ে প্রণীত নথিতে আরো কিছু কথা যুক্ত করার বিষয়ে ইইউ একেবারে মুক্তমনা। এ পরিস্থিতিতে ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে আবারো আলোচনায় বসার বিষয়ে একমত হয়েছেন দুই নেতা। ইইউর পক্ষ থেকে প্রধান আলোচক মিশেল বানিয়ে আগামী সোমবার স্ট্রাসবার্গে ব্রিুটেনের ব্রেুক্সিটবিষয়ক মন্ত্রী স্টিভ বার্কলের সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানা গেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মে জানিয়েছেন, আয়ারল্যান্ড সীমান্তের ব্যাকস্টপের ‘ফাঁদে’ আটকে থাকবে না যুক্তরাজ্য। যুক্তরাজ্য-ইইউর মধ্যে যে ধরনের বাণিজ্য চুক্তি হোক না কেন, আয়ারল্যান্ড সীমান্তে চেকিং এড়াতে ব্যাকস্টপ পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। তিনি আরো জানান, পরিকল্পনায় অবশ্যই পরিবর্তন আনতে হবে, যদি তা পার্লামেন্টে এমপিদের সমর্থন পেতে চায়। ব্রাসেলসে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা শেষে যৌথ বিবৃতিতে মে ও ইয়ুংকার বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের পরিস্থিতি বর্ণনা করেছেন।’ তিনি জানান, ইইউ২৭ ‘উইথড্র এগ্রিমেন্ট’ নিয়ে নতুন করে আলোচনা করবে না। তবে ভবিষ্যৎ সম্পর্কের টেক্সটগুলো আরো উচ্চাভিলাষী করতে তা সংশোধন করা যেতে পারে। এদিকে প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো এক চিঠিতে যুক্তরাজ্যের বিরোধী দলের নেতা জেরেমি করবিন বলেছেন, ২৯ মার্চ ইইউ ত্যাগের আগেই এ অঞ্চলের সঙ্গে ভবিষ্যৎ সম্পর্কের রাজনৈতিক ডিক্লারেশনে পরিবর্তন আনা হলে তার দল ব্রেক্সিট চুক্তিটিতে সমর্থন দেবে। বিরোধী দলের প্রত্যাশিত পরিবর্তনগুলোর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাজ্য-ইইউর মধ্যে একটি ‘স্থায়ী ও সমন্বিত’ কাস্টমস ইউনিয়ন গঠন। যেখানে ইইউর সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির ক্ষেত্রে ব্রিটেনের একটি ‘বক্তব্য’ থাকবে। তবে প্রধানমন্ত্রী মে বারবার এ ধারণা প্রত্যাখ্যান করে আসছেন। বিবিসি, এএফপি ও রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।