মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে তাঁর সুরের জাদুতে সম্মোহিত ভারত। দুটি অস্কার জয় করে তার দেশকে গর্বিত করেছেন তিনি। এহেন সুরসম্রাটই কি না ‘ট্রোলড’ হলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাও আবার ধর্মীয় গোঁড়ামির অভিযোগে। জবাবও দিয়েছেন তিনি, সোশ্যাল মিডিয়াতেই। তবে কড়া শব্দের ব্যবহারে নয়, কৌশলে। তার নিজের স্টাইলে!
ড্যানি বয়েলের ‘স্লামডগ মিলিয়নেয়ার’ ছবিতে সুর দিয়ে অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডস পেয়েছিলেন এ আর রহমান। সম্প্রতি ছবিটির এক দশক পূর্ণ হয়। সেই উপলক্ষ্যে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে মেয়ে খাতিজাকে নিয়ে মঞ্চে উঠেছিলেন রহমান। সেসময় খাতিজার পরনে শাড়ি এবং মুখে নিকাব ছিল।
বাবা-মেয়ের আবেগময় স্মৃতিচারণায় অনেকেই মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। সেই অনুষ্ঠানের ভিডিয়ো এবং ছবি বর্তমানে ইন্টারনেটে ভাইরাল। যদিও কারণটা একেবারেই অভিপ্রেত নয়। সোশ্যাল মিডিয়ার একাংশ প্রশ্ন তুলেছে অনুষ্ঠানে খাতিজার নিকাব পরা নিয়ে। অনেকে তো রহমানের বিরুদ্ধে জোর করে মেয়ের উপর ধর্মীয় গোঁড়ামি চাপিয়ে দেওয়ার অভিযোগও করেছেন।
লাগাতার এই আক্রমণের জবাবে বৃহস্পতিবার একটি ছবি টুইট করেন রহমান। ছবিটিতে মুকেশ আম্বানির স্ত্রী নীতার সঙ্গে তাঁর দুই মেয়ে খাতিজা, রহিমা এবং স্ত্রী সাইরাকে দেখা যাচ্ছে। খাতিজা বোরখা পরে, রহিমা সালওয়ার কামিজে। আর সাইরা ওড়না দিয়ে মাথা ঢেকে। ছবির সঙ্গে রহমানের মন্তব্য- ‘আমার পরিবারের অমূল্য মহিলারা খাতিজা, রহিমা এবং সাইরা নীতা আম্বানিজির সঙ্গে’।
মন্তব্যের শেষে হ্যাশট্যাগ দিয়ে লেখা ‘ফ্রিডমটুচুজ’। অর্থাৎ পছন্দের স্বাধীনতা। এই একটি হ্যাশট্যাগেই লুকিয়ে বিশ্ববন্দিত সুরকারের জবাব। তিনি বুঝিয়ে দিলেন গোঁড়ামি হলে সেটা দুই মেয়ের ক্ষেত্রেই হত, এক জনের ক্ষেত্রে নয়। অর্থাৎ এটা একেবারেই খাতিজার ব্যক্তিগত পছন্দ।
বাবার পাশে দাঁড়িয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট লেখেন খাতিজাও। তাঁর লেখায়, ‘আমি পরিণতবয়স্ক। জীবনটাকে নিজের ইচ্ছেমতো কাটানোর বয়স আমার হয়েছে। পছন্দমতো পোশাক পরার অধিকার প্রত্যেকটি মানুষের আছে। আমিও সেটাই করছি। ফলত, পরিস্থিতি না বুঝে কোনও সিদ্ধান্তে উপনীত হবেন না।’
পোস্টের শেষে খাতিজাও হ্যাশট্যাগ দিয়ে লেখেন- ফ্রিডমঅফচয়েজ। অনুষ্ঠানে বাবার সঙ্গে তাঁর কথোপকথন ঘিরে যে এমন একটি বিতর্ক তৈরি হবে তা ভাবতেও পারছেন না খাতিজা। তাঁর কথায়, ‘পর্দা আমি নিজে বেছে নিয়েছি। কারও কথায় নয়।’
অনুষ্ঠানে খাতিজা তাঁর বাবাকে বলেছিলেন, ‘গোটা পৃথিবী তোমাকে চেনে তোমার সুরের জন্য, পুরস্কারের জন্য। কিন্তু, আমি তোমাকে সবথেকে বেশি সম্মান করি সেই সব মূল্যবোধের জন্য যা তুমি আমাদের শিখিয়েছ।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।