Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সউদী ক্ষেপনাস্ত্র কর্মসূচিতে সহযোগিতা করছে পাকিস্তান ও চীন -মার্কিন বিশেষজ্ঞ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৪:৪৬ পিএম

পাকিস্তান ও চীনের সহযোগিতায় সউদী আরব ক্ষেপনাস্ত্র কর্মসূচি চালাচ্ছে বলে আমেরিকার প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। সউদী আরবের এই উদ্যোগকে পশ্চিম থেকে পূর্বদিকে মুখ ফেরানো বলে মনে হচ্ছে। যা ওয়াশিংটনের জন্য উদ্বেগ সৃষ্টি করতে পারে।

গত সপ্তাহে ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, এই প্রথম সউদী আরবের কোন ব্যালিস্টিক ক্ষেপনাস্ত্র উৎপাদন কারখানার কথা জানা গেলো। গত নভেম্বরে মার্কিন কোম্পানি প্লানেট ল্যাবস ইনকরপোরেটের তোলা স্যাটেলাইট ছবি বিশ্লেষণ করে মন্টেরির মিডেলবুরি ইন্সটিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল রিলেশন্স জানায় যে সউদী আরবের মধ্যস্থলে আল-ওয়াথ শহরের কাছে একটি ক্ষেপনাস্ত্র ঘাঁটিতেই এই কারখানার অবস্থান।

মার্কিন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা সিএনবিসিকে বলেছেন, ওয়াশিংটনের দীর্ঘদিনের মিত্র সউদী আরবের ক্ষেপনাস্ত্র তৈরির আকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধির প্রমাণ এই অগ্রগতি। দেশটি এখন তার প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারীর অনুমোদন ছাড়াই আক্রমণাত্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

আমেরিকান এন্টারপ্রাইজ ইন্সটিটিউসের আরব বিশেষজ্ঞ ও সাবেক পেন্টাগন কর্মকর্তা মাইকেল রুবিন বলেন, সেখানে একটি অস্ত্র প্রতিযোগিতা চলছে। ওয়াশিংটনের নীতি পরিবর্তনের প্রভাব রিয়াদের উপর পড়েছে। হোয়াইট হাউজের ফিসফিসানিতে আর কান দিতে চায়না সউদী আরব। বিষয়গুলো যে তারা নিজেদের হাতেই নিতে পারে তা দেখাতে চায়।

ক্ষেপনাস্ত্র বিশেষজ্ঞ জেফরি লেউস বলেন যে, প্রায়ই দেখা যায় ক্ষেপনাস্ত্র খাতে ব্যাপক বিনিয়োগের সঙ্গে পারমাণবিক অস্ত্রের সম্পর্ক থাকে। আমার উদ্বেগ হলো আমরা সউদী আরবের উচ্চাকাঙ্ক্ষাটিকে খাঁটো করে দেখেছি।

সাবেক সিআইএ কর্মকর্তা ও পারস্য উপসাগরীয় বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ব্রুস রিডেল বলেন, এই সময়ে সউদী আরবের ক্ষেপনাস্ত্র কারখানা নির্মাণ করার মধ্যে ওয়াশিংটনের স্বার্থ ও নীতি উপেক্ষা করার ইচ্ছাটি ফুটে উঠেছে। সউদী ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান ক্ষমতায় আসার পর এ অবস্থা তৈরি হয়েছে।

১৯৮৮ সালে চীনের কাছ থেকে ডি৩-এফ সিল্কওয়ার্ম ব্যালিস্টিক মিসাইল কেনার মাধ্যমে সউদী আরব তার ক্ষেপনাস্ত্র কর্মসূচি শুরু করে। দেশটির গোপন স্ট্রাটেজিক রকেট ফোর্স এই কর্মসূচি পরিচালনা করছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সাবেক পেন্টাগন কর্মকর্তা বলেন, এসআরএফ মনে হচ্ছে চীনের কাছ থেকে সহায়তা পাচ্ছে। সউদী আরব ও চীন উভয়ের সঙ্গে পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন সউদী নিরাপত্তা বাহিনীতে পাকিস্তানের অনেক উপদেষ্টা কাজ করছেন। তাই ক্ষেপনাস্ত্র উন্নয়ন কর্মসূচিতে পাকিস্তানী সহায়তা পেলে বিস্ময়ের কিছু থাকবে না। তবে এ বিষয়ে চীনের কোন সম্পর্ক থাকার কথা চীনা পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র হুয়া চুনিং অস্বীকার করেন।

এদিকে, বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে সৌদি আরবের ক্ষেপনাস্ত্র কর্মসূচি দেশটির সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্ক আরো জটিল করে তুলবে। ইয়েমেনে সৌদি আরবের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ ও সউদী সাংবাদিক খাস্তগিকে হত্যা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক এরই মধ্যে জটিল হয়ে উঠেছে। ক্ষেপনাস্ত্র কর্মসূচি ছাড়াও পারমাণবিক জ্বালানি কর্মসূচি রয়েছে সউদী আরবের। সূত্র: সাউথ এশিয়ান মনিটর।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সউদী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ