বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বরিশাল কর অঞ্চলে গত অর্থ বছরে সর্বকালের সর্বাধিক পরিমাণ প্রায় ৪৩৬ কোটি টাকা কর আদায় হয়েছে। যা প্রকৃত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ৮৭ লাখ টাকা বেশি। যা ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের চেয়ে ১১৮ কোটি টাকা বেশি। দক্ষিনাঞ্চলের এসব জেলাগুলোত গত অর্থ বছরে টিআইএনধারী করদাতার সংখ্যা ১ লাখ ৩১ হাজার ৪৮৩ জনে উন্নীত হয়েছে। বিগত ১৭-১৮ অর্থবছরে এ সংখ্যা ছিল ৫০ হাজার ৫২৯। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে দক্ষিণাঞ্চলে নতুন রিটার্ন দাখিলকারীর সংখ্যা বেড়েছে ৫৩ হাজার ২ জন।
বরিশালের কর কমিশনার সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময়কালে দক্ষিণাঞ্চলে আয়কর আহরণে উজ্জল সম্ভবনার কথা তুলে ধরার পাশাপাশি এ অঞ্চলের করদাতাদের সহযোগিতার কথাও কৃতজ্ঞতার সাথে তুলে ধরেন। প্রতিবছরই দক্ষিণাঞ্চলে নতুন করদাতা বৃদ্ধির সাথে রাজস্ব আদায়ও বাড়ছে জানিয়েছে এনবিআর কর্মকর্তাগণ। চলতি অর্থ বছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড দক্ষিণাঞ্চলে আয়কর থেকে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৫১১ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। যার মধ্যে অর্থ বছরের প্রথম ৬ মাসেই ২২৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা আদায় সম্ভব হয়েছে। যাকে এনবিআর কর্তৃপক্ষ ইতিবাচক বলে মনে করছেন।
গত নভেম্বরে বরিশাল কর অঞ্চলের ৬টি জেলা ও বিভিন্ন উপজেলাতে কর মেলাগুলোতে প্রায় ১ লাখ ৩৬ হাজার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ নানা ধরনের সেবা গ্রহণ করেন। যা ছিল এর আগের বছরের চেয়ে প্রায় ৩৩ হাজার বেশী। এবার প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ কর মেলাগুলোতে তাদের আয় ও সম্পদ বিবরণী জমা দেন। আগের বছর ঐ সংখ্যা ছিল ১১ হাজারের মত। নভেম্বরের মেলাগুলো থেকে কর আদায় হয় ৮ কোটি ৩৩ লাখ টাকার মত। যা আগের বছর ছিল ৬ কোটি ৭০ লাখ ৩৪ হাজর টাকা। এবারের কর মেলাগুলো থেকে ১ হাজার ১৬৬ জন নানা শ্রেণি পেশার মানুষ নতুন ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর-টিআইএন গ্রহণ করেন।
২০০১-০২ অর্থ বছরে বরিশাল কর অঞ্চলের যাত্রা শুরু হয় মাত্র ২৩ কোটি টাকা আয়কর আদায়ের মাধ্যমে। বিগত ১৬ বছরে এ অঞ্চলের ৬টি জেলায় আয়কর আদায় ২৬০ গুণেরও বেশী বৃদ্ধি পেয়েছে। এ সময়কালের প্রতিটি বছরই আয়কর আদায় বাড়ছে। নিয়মিতভাবেই লক্ষমাত্রা অতিক্রম করছে বরিশাল কর অঞ্চল।
২০১৫-১৬ অর্থ বছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে ২০৭ কোটি টাকার আয়কর আদায়ের লক্ষমাত্রার বিপরীতে বরিশাল কর অঞ্চল প্রকৃত রাজস্ব আহরণ করে ২১১কোটি। ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে লক্ষ্যমাত্রা আগের বছরের চেয়ে ৯৩ কোটি টাকা বৃদ্ধি করে ৩শ কোটিতে নির্ধারণ করলেও তা অতিক্রম করে বরিশাল কর অঞ্চল। বরিশাল কর অঞ্চলের ২৩টি সার্কেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ আয়কর আদায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করছে বলে এনবিআর-এর দায়িত্বশীল সূত্রে বলা হয়েছে।
তবে বরিশাল কর অঞ্চলে এখনো মঞ্জুরীকৃত জনবলের অর্ধেক সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়ে কাজ করছে। যা চরম বিব্রতকর পরস্থিতির সৃষ্টি করছে বলে জানা গেছে। এখানের ২৩টি সার্কেল ও ৪টি রেঞ্জের অর্ধেক পদই শূন্য থাকছে দীর্ঘ সময় ধরে । ফলে এখানের কর আদায়ে প্রবৃদ্ধি অর্জনসহ সার্বিক কার্যক্রম যথেষ্ট ব্যাহত হচ্ছে।
এমনকি বরিশাল কর অঞ্চলের নিজস্ব ভবন নির্মানের বিষয়টিও গত প্রায় এক দশক ধরে আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কবলে। ভাড়া বাড়িতেই কর অঞ্চলের বেশীরভাগ সার্কেল অফিস কাজ করছে। শুধুমাত্র বরিশাল মহানগরীতেই কর বিভাগের বাড়ি ভাড়া গুনতে হচ্ছে প্রতি মাসে প্রায় সোয়া ২ লাখ টাকা। এখানে কর ভবন নির্মানের বিষয়টি সরকারের চ‚ড়ান্ত অনুমোদন লাভ করলেও ভবনের নকশা প্রনয়ন ও দরপত্র আহবান প্রক্রিয়ায় তা আটকে আছে বলে জানা গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।