Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বগুড়ায় মাকে হত্যার দায়ে ছেলের মৃত্যুদণ্ড

বগুড়া ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৩:৩০ পিএম

বগুড়ার কাহালু উপজেলায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে মাকে হত্যার দায়ে ছেলে আবু রায়হানকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

রোববার (০৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৩ এর বিচারক গোলাম ফারুক এ আদেশ দেন। এসময় আদালতে আসামি রায়হান উপস্থিত ছিলেন। তার বাবার নাম আব্দুর রহমান।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০০৯ সালের ২৭ জুলাই কাহালু উপজেলার বাথই গ্রামে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে মা রওশন আরাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন তারই ছেলে রায়হান। ঘটনার পরপরই প্রতিবেশিরা তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। পরে এ ঘটনায় তার বোন রাবেয়া কাহালু থানায় মামলা দায়ের করেন।

কাহালু থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) শরিফুল আলম মামালাটি তদন্ত করেন। তদন্তকালে আসামি তার দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। পরে একই বছরের ৩১ অক্টোবর রায়হানকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।

মামলাটি বিচারের জন্য বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৩ এ স্থানান্তর করা হয়। সেই মামলায় ২০১০ সালে বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৩ এর বিচারক নিতাই চন্দ্র সাহা মাকে হত্যার দায়ে ছেলে রায়হানকে ফাঁসির দণ্ডাদেশ দেন।

পরে আসামি রায়হান রায় পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করলে আবারো বিচারিক কাজ শুরু হয়। বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে রোববার বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ আদালত-৩ এর বিচারক গোলাম ফারুক পুনির্বিবেচনার রায়েও তাকে ফাঁসির দণ্ডাদেশ বহাল রাখার আদেশ দেন।

মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবী এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৩ এর অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) পদ্ম কুমার দেব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, মামলাটি শুনানিকালে আদালত ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। এরপর রোববার আদালতের বিচারক মামলার এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে আদালত হাইকোর্টের অনুমোদন সাপেক্ষে আসামিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার কথা উল্লেখ করেছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মৃত্যুদণ্ড


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ