নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বাংলাদেশ টেবিল টেনিস (টিটি) ফেডারেশনের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন গিনেজ রেকর্ডধারী টিটি খেলোয়াড় জোবেরা রহমান লিনু। নিজের চাহিদা মতো সিনিয়র সহ-সভাপতি পদটি পাননি বলেই তিনি প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নিলেন। এই পদে লিনুর বড় বোন দেশের টেবিল টেনিসে প্রথম নারী জাতীয় চ্যাম্পিয়ন মুনিরা মোর্শেদ হেলেন আগ্রহী থাকায় তাকেই সবাই সমর্থন দিয়েছেন। সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে টিটি সংগঠকরা লিনুকে প্রত্যাখান করলে তিনি নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নেন। আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি টেবিল টেনিস ফেডারেশনের নির্বাচনকে সামনে রেখে বুধবার ছিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন।
গত পাঁচ বছর ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক পদে ছিলেন খোন্দকার হাসান মুনীর। এবারের নির্বাচনে তিনি সহ-সভাপতি পদে প্রার্থীতা জমা দিয়েছেন। আর সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করছেন আগের কমিটির সহ-সভাপতি ও ঢাকা আবাহনীর পরিচালক শেখ মো: জাহাঙ্গীর আলম। ফেডারেশনে সভাপতি বাদে ২৪টি পদ রয়েছে। মনোনয়নপত্র ২৪টিই জমা পড়েছিল। যেখানে চারটি সহ-সভাপতির পদ রয়েছে। ফলে একক প্যানেল নির্বাচনের পথেই হাঁটছে টিটির নির্বাচন। কিন্তু এর মধ্যেই প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নিলেন লিনু। জানা গেছে, ৭৬ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ৬৫ জনই লিনুকে সহ-সভাপতি পদে দেখতে চাননি। কারণ টিটি খেলে গিনেজ রেকর্ডের মালিক হলেও লিনুর কোন ক্লাব নেই। সূত্র জানায়, এতদিন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কোটাতেই নাকি তিনি ফেডারেশনের কাউন্সিলর ছিলেন। তারপরও একক প্যানেলে তাকে একটি সহ-সভাপতি পদ দেয়া হয়েছিল। তবে লিনু চেয়েছেন বড় বোনসহ অন্যদের ডিঙ্গিয়ে সিনিয়র সহ-সভাপতি পদ। কিন্তু তাকে সেই পদ না দেয়ায় অবশেষে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন তিনি। বিষয়টি স্বীকার করেছেন সর্বশেষ কমিটির সাধারণ সম্পাদক খোন্দকার হাসান মুনীর। তিনি বলেন, ‘আমরা একক প্যানেল করতে চেয়েছিলাম। তাই দেশের প্রথম নারী চ্যাম্পিয়ন হেলেন আপাকে সম্মান দিয়ে সদস্য পদ থেকে সহ-সভাপতি পদে নিয়ে এসেছি। কিন্তু এই হিসেবটাও মানেননি লিনু। তাই তিনি প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।’ এ প্রসঙ্গে লিনু বলেন, ‘বড় বোন বলে কোন কথা নেই। আমার যোগ্যতা রয়েছে এক নম্বর সহ-সভাপতি হওয়ার। কিন্তু তা দেয়া হয়নি। ফলে আমি মনে করেছি আমার যোগ্যতার বিচার হয়নি। তাই প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।