Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভেঙে পড়ার শব্দ

প্রকাশের সময় : ১৩ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

শাহরিয়ার সোহেল

যে কোনো কিছু ভেঙে পড়লেই
আমার ভালো লাগে
ভেঙে পড়ার শব্দ মনে জাগায়
অঢেল আনন্দ
ক্রমশ সব কিছু ভেঙে পড়ে
বিচূর্ণভূত হয় মানুষের অহঙ্কার
যদি বাতাসকে বলা হয়
একটু জোরে বয়ে যাও
ভীষণ আওয়াজে ভেঙে পড়ে সভ্যতা
কিছুক্ষণের জোরালো বাতাস
কয়েক যুগের সভ্যতাকে
ভেঙে দুমড়ে মুচড়ে করে খান খান
যদি ভূমিকে বলা হয়
একটু জোরে কেঁপে ওঠো
সভ্যতা ভেঙে চুরমার
সেই সাথে মানুষের অহঙ্কার
যদি পানিকে বলা হয়
একটু জোরে প্রবাহিত হও
সভ্যতা ভেসে যায় কালের অধিক
ভেসে যায় মানুষের অহঙ্কার
শৈশবের শক্তিহীনতা থেকে
যৌবনে দেয়া হয় শক্তি ও সৌন্দর্য
তাও হঠাৎ কেড়ে নেয়া হয় বৃদ্ধাবস্থায়
তবু কি মানুষ অহঙ্কারী
তবু কি মানুষ অবিশ্বাসী
তবু কি মানুষ নির্বোধ
বোধহীন প্রাণী নয় মানুষ সকল
অবিশ্বাসীরা কোথায়?

 

স্মৃতিকাতর
ফাতিমা আলী

তার অপূর্ণ স্বপ্ন খুব নিঃশব্দে কাঁদে
বুকে বরফ হয়ে জমে থাকে বিষাদের পিরামিড
ব্যাকুল বাতাস ফিরে ফিরে আসে নিষ্ফল যন্ত্রণায়।
সময়ের বিবরে বন্দী কিছু দুর্লভ দিন দোলা দেয় বুকে
চতুর্দিকে আলোর বিচ্ছুরণ
তার অন্তর্দাহ ছুঁতে চায় তাকে।
ফসলের ক্ষেত হাতছানি দেয় অবিরত
তবু ছুটে গিয়ে দু’হাতে সবুজ তুলে নিতে পারে না
পারে না সুশীতল ছায়ায় হারিয়ে যেতে
শুধু সময়ের সরণিতে হেঁটে চলে বিষণœ মন।
এখনো খুঁজে চলে নিথর জলের উপর
সুর্মার মতো জেগে থাকা সেই মুখ।
সময় কখনো কাউকে ফিরিয়ে দেয় না কিছু
সময়ের বিবরে বেঁচে থাকে শুধু নিঃসীম যন্ত্রণা।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভেঙে পড়ার শব্দ

১৩ মে, ২০১৬
আরও পড়ুন