পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
সিরিয়ার যেসব নাগরিক উদ্বাস্তু হয়ে দেশ ত্যাগ করছেন তাদের দ্রুত দেশে ফেরানোর চেষ্টা করছে তুরস্ক। আর এ লক্ষেই উত্তর সিরিয়ায় নিরাপত্তা অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে। গত মাসে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় এলাকায় ‘নিরাপত্তা অঞ্চল’ করার যে ঘোষণা দিয়েছিল তুরস্ক সেটি বাস্তবায়িত হলে অঞ্চলটির উদ্বাস্তুরা দ্রুতই নিজ দেশে ফিরতে পারবেন। এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান। সোমবার তুরস্কের ইস্তাম্বুল নগরীতে এক বক্তৃতায় এরদোগান বলেন, উত্তর সিরিয়ায় তুর্কি সমর্থিত বিদ্রোহীরা নিয়ন্ত্রণ করছে এমন এলাকায় ইতোমধ্যেই ৩ লাখ উদ্বাস্তু নিজেদের বাড়িতে ফিরেছে। আর নতুন প্রস্তাবিত নিরাপদ অঞ্চল বাস্তবায়িত হলে আরো অন্তত ১০ লাখ সিরীয় উদ্বাস্তু দেশে ফিরতে পারবে। গৃহযুদ্ধ কবলিত সিরিয়ার ৪০ লাখের বেশি উদ্বাস্তুকে আশ্রয় দিয়েছে প্রতিবেশী দেশ তুরস্ক। গত ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন উত্তর সিরিয়া থেকে ২ হাজার মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করে নেয়ার। আর এরপরই তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেন, তারা ৩২ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে নিরাপত্তা অঞ্চল গড়ে তুলবেন তুর্কি-সিরীয় সীমান্ত অঞ্চলে। গত শুক্রবার এরদোগান জানিয়েছেন, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে এই নিরাপত্তা অঞ্চল গড়ে তোলা হবে। একক নিয়ন্ত্রণে তুর্কি এই নিরাপত্তা অঞ্চল গড়ে তুলবে। তিনি আরো বলেন, এই নিরাপত্তা অঞ্চলের আরেকটি লক্ষ্য হচ্ছে তুরস্ককে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রক্ষা করা। প্রসঙ্গত ওই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত কুর্দি ওয়াইপিজি যোদ্ধাদের অবস্থান, যাদেরকে সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করেছে তুরস্ক। আল-জাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।