বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
অমর একুশে গ্রন্থমেলা শুধু একটি বইয়ের মেলা নয়, বরং এটি বাঙালির ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অংশ। স্থপতি এনামুল করিম নির্জরের নকশায় সে ঐতিহ্য তুলে ধরতে সাজ-সজ্জায় বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। ৩১ জানুয়ারির আগেই স্টল তৈরীর কাজ শেষ করতে চায় কর্তৃপক্ষ। বাংলা একাডেমি চত্বর ও সোহরাওয়ার্দি উদ্যান এলাকায় গেলেই চোখে পড়বে শ্রমিকদের শেষ মুহূর্তের কাজ। যত্মকরে সাজানো হচ্ছে মেলার সোহরাওয়ার্দি অংশের শিশুপ্রহর। এবারের বই মেলার সাজসজ্জা আগের চেয়ে আরও বেশি নান্দনিক হবে বলে জানিয়েছেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী । দশনার্থীরা যেন বই কেনার পাশাপাশি মেলায় স্বাচ্ছন্দে চলাফেরা করতে পারেন সেদিকে দেয়া হয়েছে বিশেষ মনোযোগ। মহাপরিচালক জানান এবারের বইমেলা হবে পাঠকদের জন্য দৃষ্টিনন্দন। বইমেলার মাধ্যমে বাংলার বিজয়ের অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হবে।
পয়লা ফেব্রুয়ারি বইমেলা উদ্ভোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বইমেলা উদ্ভোধনের পাশাপাশি বাংলা সাহিত্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা কবি সাহিত্যিকদের হাতে তুলে দেবেন বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরষ্কার। একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী ইতোমধ্যেই ঘোষণা করেছেন এবছরের পুরষ্কারপ্রাপ্তদের নাম। গতকাল সোমবার শহিদ মুনীর চৌধুরী সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে কবিতা, কথাসাহিত্য, প্রবন্ধ/গবেষণা ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সাহিত্য ৪ শাখায় বিশেষ অবদানের জন্য যথাক্রমে কাজী রোজী, মোহিত কামাল, সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ ও আফসান চৌধুরীর নাম ঘোষণা করেন। উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গী হবেন পশ্চিম বঙ্গের কবি শঙ্খ ঘোষ। ওদিন প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে লেখা ‘শেখ হাসিনা: যে রূপকথা শুধু রূপকথা নয়’ গ্রন্থের মিশরীয় লেখক সাংবাদিক মোহসেন আল-আরিশির উপস্থিতির কথা রয়েছে। বাংলা একাডেমি থেকে অনুদিত বইটি লেখকের উপস্থিতিতে শেখ হাসিনার হাতে তুলে দেয়া হবে ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় এবার প্রথম বারের মতো মেলাকে বিন্যস্ত করা হচ্ছে পাঁচ ভাষা শহীদের নামে। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ উৎসর্গ করা হয়েছে শহীদ বরকতের নামে। সালাম, রফিক, জব্বর ও শফিউরকে নিয়ে থাকছে আলাদা চত্বর। গত সপ্তাহেই লটারির মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়েছে স্টলের স্থান। ইতোমধ্যেই নিজেদের জন্য নির্দিষ্ট স্থান বুঝে পেয়েছেন প্রকাশকরা। এ সপ্তাহে বই মেলা প্রস্তুতি ঘুরে দেখেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। মেলার নিরাপত্তা নিয়ে সাজানো হয়েছে পরিকল্পনা। শাহবাগ থেকে শুরু করে বাংলা একাডেমি পর্যন্ত রাস্তার পুটপাত পরিষ্কার ও দোকান পাঠ উচ্ছেদে নেয়া হচ্ছে ব্যবস্থা।
বাংলা একাডেমির ওয়েবসাইটের মাধ্যমে মেলার স্টল নাম্বার,অবস্থানসহ সব বিষয়ে দর্শনাথীদের সেবা দিতে এবার কর্তৃপক্ষ বদ্ধ পরিকর। দোয়েল চত্বর প্রান্থ ও টিএসসি প্রান্থে দুটি বিশাল মনিটরের মধ্যমে দেখা যাবে মেলার সার্বিক অবস্থান। এর বাইরে বই প্রেমিদের জন্য থাকছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ক্রয়-বিক্রয়ের সুবিধা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।