Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মিন্দানাওয়ে স্বায়ত্তশাসনের পক্ষে রায়

ফিলিপিন্সে গির্জায় জোড়া বোমা হামলায় নিহত ২১

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৮ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম | আপডেট : ১২:১২ এএম, ২৮ জানুয়ারি, ২০১৯

ফিলিপাইনের দক্ষিণের মুসলমান অধ্যুষিত মিন্দানাওয়ে নতুন একটি স্বায়ত্ত শাসিত অঞ্চলের পক্ষে রায় দিয়েছেন দেশটির ভোটাররা। স্বায়ত্তশাসন প্রশ্নে গত সোমবারের গণভোটে প্রায় ৮৫ শতাংশ ভোটার ‘হ্যাঁ’-এর পক্ষে মত দিয়েছেন। গণভোটে ওই অঞ্চলের প্রায় ১৭ লাখ ভোটার ভোট দেন। শুক্রবার রাতে নির্বাচন কমিশন ভোটের ফল ঘোষণা করে। ভোটারদের রায় স্বায়ত্ত শাসনের পক্ষে হওয়ায় আগামী তিন বছরের মধ্যে ক্ষমতা হস্তান্তরপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। স্বায়ত্তশাসন চালু হলে ওই অঞ্চলের নাম হবে ‘বাংসামোরো’। পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী ২০২২ সাল নাগাদ ‘বাংসামোরো’তে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হবে, যার মাধ্যমে ওই অঞ্চলের লোকজন নিজস্ব পার্লামেন্ট ও মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত করবে। তখন কেন্দ্র সরকার থেকে বেশ কিছু ক্ষমতা স্থানীয় সরকারের কাছে যাবে। এ ছাড়া, ওই অঞ্চলের প্রায় ৫০ লাখ মানুষের জন্য তহবিলের জোগান বাড়াবে এবং সেখানকার প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর স্থানীয় সরকারের অধিকার প্রতিষ্ঠা পাবে। এশিয়ার সবচেয়ে সংঘাতময় অঞ্চল মিন্দানাওয়ে শান্তি ফেরানোর আশায় এ গণভোট আয়োজন করা হয়েছে। ফিলিপাইনের বেশির ভাগ মানুষ ক্যাথলিক খ্রিষ্টান হলেও মিন্দানাও মুসলমান অধ্যুষিত অঞ্চল। গত ২১ জানুয়ারির ভোট স্বায়ত্তশাসনের পক্ষে যাওয়ায় এখন আশপাশের বেশ কিছু এলাকায় আগামী ৬ ফেব্রæয়ারি দ্বিতীয় গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। ৬ ফেব্রুয়ারির গণভোটে আশপাশের অঞ্চলের বাসিন্দাদের তারা ‘বাংসামোরো’ স্বায়ত্ত শাসিত থঅঞ্চলে সংযুক্ত হতে চায় কি না তা জিজ্ঞাসা করা হবে। গণভোটের রায় স্বায়ত্তশাসনের পক্ষে যাওয়ায় এমআইএলএফ এখন ওই অঞ্চলের বৈধ রাজনৈতিক সংগঠনে পরিণত হবে এবং প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দলটি সেখানকার অধিক চরমপন্থী ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দলগুলোকে দমন করে শান্তি প্রতিষ্ঠা করবে। ‘হ্যাঁ ভোট’ জয়যুক্ত হওয়ার ফলে অধিকতর স্বায়ত্ত শাসন ও স¤প্রসারিত অঞ্চল নিয়ে মুসলিম বাংসামোরো অঞ্চল গঠনের প্রক্রিয়া আরেক ধাপ এগিয়ে গেল। এর ফলে প্রায় অর্ধশতাব্দী ধরে চলমান সহিংসতার অবসান ঘটতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। অপরদিকে, ফিলিপিন্সের দক্ষিণাঞ্চলে একটি গির্জায় প্রার্থনা চলার সময় জোড়া বোমা হামলায় অন্তত ২১ জন নিহত ও ৭১ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন নিরাপত্তা কর্মকর্তারা। নিহতদের মধ্যে বেসামরিক ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য রয়েছেন বলে জানিয়েছে তারা। রোববার স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় সুলু প্রদেশের জোলোতে জোলো ক্যাথেড্রালে বিস্ফোরণ দুটি ঘটে বলে খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের। প্রার্থনা চলার সময় গির্জার ভিতরে প্রথম বিস্ফোরণের পর গাড়ি পার্কিং এলাকায় দ্বিতীয় বিস্ফোরণটি ঘটে। হামলায় নিহতদের অধিকাংশই বেসামরিক হলেও সাত সৈন্যও নিহত হয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে কোনো পক্ষ হামলার দায় স্বীকার করেনি। ফিলিপিন্সের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ডেলফিন লোরেনজানা এ হামলাকে ‘কাপুরুষোচিত কাজ’ বলে অভিহিত করেছেন। স্থানীয় জনগণকে সজাগ থেকে ‘সন্ত্রাসকে প্রত্যাখ্যান করে জয়ী’ হওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে থাকার আহŸান জানিয়েছেন তিনি। সামরিক বাহিনীর পশ্চিম মিন্দানাও কমান্ডের মুখপাত্র কর্নেল জেরি বেসানা জানিয়েছেন, বোমায় ব্যবহৃত উপাদানগুলো পরীক্ষা করলেই এর পেছনে কারা আছে তার রহস্য ভেদ হবে। ফিলিপিন্সের জাতীয় পুলিশ প্রধান অস্কার আলবাইআলদে জানিয়েছেন, জঙ্গিগোষ্ঠী আবু সায়েফ এর সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। আনাদোলু, রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ফিলিপাইন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ