পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
তিনি একদা সেনাবাহিনীতে ছিলেন। সেনা বাহিনীতে পদোন্নতি পেতে পেতে সেনা প্রধানও হন। পরবর্তীতে তিনি রাজনীতিতে আসেন। এই কারণে অনেকে তাঁকে পাকিস্তান আমলের জেনারেল আইয়ুব খানের সঙ্গে তুলনা করেন। কিন্তু আইয়ুব খানের মত কোন যুদ্ধে নেতৃত্ব দানের ক্ষেত্রে কৃতিত্ব দেখিয়ে ফিল্ড মার্শাল হতে পারেনি। তিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
যুদ্ধে নেতৃত্ব দানের ক্ষেত্রে কৃতিত্ব দেখাতে না পারলেও প্রেমের ক্ষেত্রে তিনি কৃতিত্ব দেখাতে গিয়ে নিজের দাম্পত্য জীবনের জন্য কঠিন সমস্যা ডেকে আনেন। যার জের টানতে হয়েছে প্রায় সারা জীবন ধরে। জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ডাক নাম পেয়ারা, আর তাঁর স্ত্রী রওশন এরশাদের ডাক নাম ডেইজী। ১৯৫৬ সালে তাদের বিয়ের পর তাদের দাম্পত্য শুরু করতে প্রায় এক বছর অপেক্ষা করতে হয়। কারণ সেনাবাহিনীর কাজ উপলক্ষে তাকে বিভিন্ন জায়গায় থাকতে হত এবং স্ত্রী রওশন ওরফে ডেইজীকে পড়াশোনার জন্য থাকতে হত তার বাবার বাড়ী ময়মনসিংহে।
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ তাঁর আত্মজীবনীতে এসব কথা নিজেও লিখে গেছেন। তিনি লিখেছেন, বিয়ের পর সংসার করার জন্য এক বছর অপেক্ষা করতে হয়। রওশন তখন ওদের বাড়ীতে থেকে লেখাপড়া করছিল। চাকরির জন্য আমি আজ এখানে কাল ওখানে। সে সময় দূরে থাকা স্বামীরা স্ত্রীদের কাছে চিঠি পাঠাতো। আমিও তার ব্যতিক্রম ছিলাম না। বহু চিঠি লিখেছি, চিঠির প্রথমে রওশনকে নানাভাবে সম্বোধন করতাম। এসব সম্বোধনের মধ্যে ছিল ‘হৃদয়ের রাণী’, ‘হৃদয়ের ধন’, ‘ওগো মোর জীবন সাথী’, ‘খুশী বউ’, ‘খুশী পাগলী’ ‘সোনা বউ’, ‘খুকু বউ’ ‘ওগো দুষ্ট মেয়ে’, ‘নটি গাল’, ‘বিরহিনী’ প্রভৃতি অভিধায়। স্ত্রীর ডাক নাম ডেইজী হওয়ায় ভালবেসে ডাকতেন ‘ডেজু’, ‘ডেজুমনি’, ‘ডেজুরাণী’। চিঠির শেষে নিজের পরিচয় লিখতেন ‘পেয়ারা পাগল সাথী’, ‘বড্ড একাকী একজন’ ‘প্রেমপূজারী’ ‘বিরহী’ ইত্যাদি।
৬২ বছরের দাম্পত্য জীবনে স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরেছেন বিশ্বের অনেক দেশ। ৯ বছর দেশ শাসন করেছেন। স্ত্রীকে রাজনীতিতে এনে মন্ত্রী, এমপি এমন কি সংসদের বিরোধী দলের নেত্রীও বানিয়েছেন। সেই স্ত্রী এখন অসুস্থ স্বামীকে দেখতে পর্যন্ত যান না। অসুস্থ স্বামী সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ চিকিৎসার জন্য বিদেশ (সিঙ্গাপুর) গেছেন সম্প্রতি। তার সঙ্গে গেছেন এরশাদের পরিবারের সকল সদস্য, এরশাদের প্রতিষ্ঠিত জাতীয় পার্টীর নেতাকর্মীদের অনেকে। কিন্তু সঙ্গে সিঙ্গাপুর যাওয়া তো দূরের কথা, অসুস্থ স্বামীর খোঁজটুকু পর্যন্ত নেননি বেগম রওশন এরশাদ। এমন কি ঘটেছে যে স্বামী এরশাদ সম্পর্কে স্ত্রী রওশনের এমন বিতৃষ্ণা?
হ্যাঁ, ঘটেছে। ঘটেছে এমন ঘটনা যার চাইতে বড় আপত্তিকর ঘটনা মেয়েদের জীবনে আর ঘটতে পারে না। সেটা বিদিশা নামক মহিলার সঙ্গে এরশাদের প্রেম এবং বিবাহ। এই বিবাহের পর এরশাদ বারিধারার দূতাবাস রোডের ১০ নম্বর প্রেসিডেন্ট পার্কে বিদিশার সঙ্গে বসবাস শুরু করেন। পরবর্তী কালে বিদিশার সঙ্গে এরশাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে গেলেও এরশাদ ও রওশনের পক্ষে এক ছাদের তলায় বসবাস করা আর সম্ভবপর হয়নি।
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ও রওশন এরশাদের দাম্পত্য জীবনের বিরোধ বহুবার সংবাদপত্রের পাতায় শিরোনাম হয়েছে। এরপর যদিও রওশন ও এরশাদ একই দল (জাতীয় পার্টী) করছেন, তাদের দু’জনের মধ্যেকার সম্পর্ক এ যাবত ততটা উন্নত হয়নি, যাতে তাদের পক্ষে একই ছাদের তলায় একসঙ্গে বসবাস করা সম্ভব হবে।
আসলে সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদএরশাদ যেমন দাম্পত্য জীবনে সাফল্যের মুখ দেখতে পারেননি, তেমনি সফল হতে পারেননি রাজনৈতিক জীবনেও। এটা ঘটেছে তিনি মূলত সামরিক বাহিনী থেকে রাজনীতিতে এসেছেন বলে নয়, যেমনটা বুঝাতে চান আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ। আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের এই সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পেতে জেনারেল এরশাদ ও বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল জিয়াউর রহমানের রাজনীতির মূল পার্থক্য সম্বন্ধে পাঠকদের সুস্পষ্ট ধারণা থাকা অপরিহার্য।
জেনারেল জিয়াউর রহমান যখন আর্মিতে ছিলেন তখনও তার মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা ছিল। ঊনিশ শ’ পয়ষট্টি সালের পাক ভারত যুদ্ধের সময় তিনি পশ্চিম পাকিস্তানের খেমকারান সেক্টরে দায়িত্বপালনরত থাকা অবস্থায় যে দু:সাহসের পরিচয় দেন, তাতে লাহোরের বহু পত্রিকায় তাঁর বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা উল্লেখিত হয়। এর আগে বাঙ্গালীরা যুদ্ধ করতে জানে না বলে যে ধারণা ছিল তাও অনেকটা দূর হয়।
শুধু তাই নয়, পাকিস্তান আর্মির অবাঙ্গালী সদস্যদের অনেকের মধ্যে যে বাঙ্গালী বিদ্বেষ ছিল, যার ফলে অনেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে ব্যক্তিগতভাবে কটুক্তি করতে অভ্যস্ত ছিল, তা তিনি কখন মুখ বুঁজে মেনে নিতে পারতেন না। বিশ্বস্তসূত্রে জানা যায়, একবার এধরনের এক পরিস্থিতিতে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে অন্যায় কুটুক্তিকারী অবাঙ্গালী পাকিস্তানী সেনার বিরুদ্ধে দৈহিক প্রত্যাঘাত চালাতেও তিনি দ্বিধা বোধ করেননি।
সেনাবাহিনীতে থাকাকালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অন্যান্য বাঙ্গালী সেনাদের মত বঙ্গবন্ধুর প্রতি স্বাভাবিক শ্রদ্ধাবোধ পোষণ করলেও স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পর আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের ভুলভ্রান্তি সম্পর্কে তিনি অসচেতন ছিলেন না। ফলে তিনি যেমন স্বাধীনতার ঘোষক হিসাবে জনগণের নিখাদ শ্রদ্ধা লাভে ধন্য হন, তেমনি ব্যক্তিগতভাবে সহজ সরল জীবন যাপনের ক্ষেত্রে আদর্শ দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে সফল হন। তিনি শুধু সেনাবাহিনী নয়, জনগণের মধ্যে কতটা জনপ্রিয় ছিলেন তাঁর প্রমাণ মেলে ১৯৭৫ সালের সাতই নভেম্বর সংগঠিত বিপ্লব ও সংহতি দিবসের সিপাহী ও জনতার স্বত:স্ফূর্ত অভ্যুত্থানের মাধ্যমে।
পক্ষান্তরে জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ব্যক্তিগতভাবে ছিলেন রাজনৈতিক উচ্চাকাংখী ব্যক্তি। নিজের ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা অর্জন করতে তিনি যেমন দ্বিধাহীনভাবে মিথ্যা বলতে পারতেন, তেমনি ‘অভিনয়’ করতেও পারতেন। এর প্রমাণ স্বরূপ বলা যায় তিনি মিলিটারী ক্যু মারফৎ ক্ষমতা দখল করার পর প্রথম দিকে বেশ কিছু দিন সাইকেল চালিয়ে অফিসে যাওয়া আসা করতেন এবং একটি বিএনপি পন্থী নির্বাচিত সরকারকে ক্যু মারৎ উৎখাত করার পর তিনি নিজে যে বিএনপির সমর্থক তা বুঝাতে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময়ে তিনি নিজের পাশে জিয়াউর রহমানের ছবি রাখতেন। তাছাড়া তিনি বিএনপির বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের সমর্থক বলে পরিচয় দিতেন। এসব প্রমাণ করে তিনি রাজনীতির ক্ষেত্রে প্রকৃত প্রস্তাবে আওয়ামী লীগের সমর্থক। সেদিনকার পরিস্থিতিতে এটা বিশ্বাসযোগ্য মনে না হলেও আজ বাস্তব ঘটনার প্রেক্ষাপটে সুপ্রমাণিত। এসব কারণে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ রাজনীতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের বিরোধী, এটা সুপ্রমাণিত।
ফলে বাস্তবতার নিরিখে জেনারেল এরশাদের প্রতিষ্ঠিত জাতীয় পার্টী এখনও দেশের জনগণের ব্যাপক আস্থা অর্জনে সমর্থ হয়নি যেমনটা হয়েছিলেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। জিয়াউর রহমানের বড় সাফল্য এই যে, আওয়ামী লীগ যেখানে বেসামরিক জনগণের প্রতিষ্ঠিত দেশের প্রাচীনতম দল হলেও স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর প্রথম সরকারের আমলেই দেশের সকল রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ ঘোষণা করে একটি মাত্র সরকারী দল রেখে দেশে একদলীয় বাকশালী শাসনব্যবস্থা কায়েম করা হয়, সেখানে জিয়াউর রহমান সামরিক বাহিনীর লোক হলেও দেশে বহু দলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুন: প্রতিষ্ঠা করেন।
পক্ষান্তরে আওয়ামী লীগ দেশের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল হলেও বিএনপির প্রতি অন্ধ বিদ্বেষ বশত: জেনারেল এরশাদ যখন সামরিক ক্যুর মাধ্যমে বিএনপির নেতৃত্বাধীন একটি নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে বসেন, তখন আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা সেই ক্যুর প্রতি সমর্থন জানিয়ে প্রমাণ করেন, গণতন্ত্রের প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা কত ঠুনকো এবং নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপিকে ঘায়েল করতে তিনি সামরিক ক্যুর প্রতি সমর্থন জানাতেও এক পায়ে খাড়া।
অন্যায় পন্থায় জেনারেল এরশাদের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল অত্যন্ত আপত্তিকর হলেও বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দল এরশাদ বিরোধী আন্দোলন শুরু করলেও আওয়ামী লীগ বহুদিন পর্যন্ত এসব আন্দোলন থেকে দূরে সরে থাকে। অবশেষে প্রধানত বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার এরশাদ বিরোধী আন্দোলন যথেষ্ট শক্তিশালী হয়ে উঠার পর এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে অংশ গ্রহণের প্রয়োজন বুঝতে পারেন আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা। তখন দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার উদ্দেশ্য একটি সাধারণ নির্বাচন দেয়ার লক্ষ্যে বিএনপির সঙ্গে একমত হয় আওয়ামী লীগ। এ নির্বাচন যাতে অবাধ ও নিরপেক্ষ হয় সে জন্যে সুপ্রীম কোর্টের তদানীন্তন প্রধান বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমদের নেতৃত্বাধীন একটি নির্দলীয় তত্ত¡াবধায়ক সরকারের অধীনে সেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার প্রশ্নেও বিএনপির সঙ্গে ঐক্যমতে পৌছেন আওয়ামী নেত্রী শেখ হাসিনা।
যেমনটা আশা করা গিয়েছিল, নির্বাচন অত্যন্ত অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়। নির্বাচন চলাকালে আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতা কালে এক পর্যায়ে বলেন, আমি সকল জেলার খবর নিয়েছি। নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু হয়েছে। আপনারা লক্ষ্য রাখবেন, ভোটে হেরে গিয়ে কেউ যেন আবার এরমধ্যে কারচুপি আবিষ্কার না করে। এরপর ভোট গণনা শেষ হলে যখন জানা গেল, আওয়ামী লীগ নয়, নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছে বিএনপি, শেখ হাসিনা অবলীলাক্রমে বলে বসলেন, নির্বাচনে সূ² কারচুপি হয়েছে।
এর অর্থ হলো সুষ্ঠু নির্বাচনে তার নিজের দল হেরে গেলে ধরে নিতে হবে নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে, আর নিজের দল কারচুপির মাধ্যমে জয়লাভ করলেও ধরে নিতে হবে সুষ্ঠু নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়ী হয়েছে।
অতীতে বিএনপি যখন ক্ষমতাসীন ছিল, সংসদে বিরোধী দল আওয়ামী লীগের দাবীর মুখেই নির্দলীয় তত্ত¡াবধায়ক সরকারের অধীনে সকল জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সংবিধান সংশোধন করা হয়। বাংলাদেশের বিশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এটাই যে গণতন্ত্রের পক্ষে উপযুক্ততম ব্যবস্থা তা প্রমাণিত হয়। এই ব্যবস্থাধীনে দেশে বেশ কয়েকটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তাতে পালাক্রমে দেশের দুই বড় দল পর পর বিএনপি ও আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করে।
কিন্তু পরবর্তীতে এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগের মাথায় দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের ভূত চেপে বসে। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের নামে যে নির্বাচনী প্রহসন শুরু হয়, তার নিকৃষ্টতম নমুনা দেশবাসী দেখেছে গত ৩০ ডিসেম্বর। সুতরাং নির্দলীয় তত্ত¡াবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা ছাড়া দেশে গণতন্ত্রঘাতী এরশাদের স্বৈরাচারের ভূত থেকে মুক্তি পাবার কোন ভরসা নেই দেশবাসীর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।