মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বাতিল হয়ে গেল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডের সভা। ৮ ফেব্রুয়ারির এই জনসভা করার কথা ছিল বিজেপির। কিন্তু এর আগেও যেমন মোদি এবং অমিত শাহের একাধিক সভার তারিখ ঘোষণা করে পরে বাতিল করেছে বিজেপি, এ বারেও তেমনই হল। ৮ ফেব্রুয়ারি ব্রিগেডে নরেন্দ্র মোদির সভা আয়োজনের দরকার নেই বলে সর্ব ভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ বাতিল করে দিয়েছেন বলে গতকাল সোমবার জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপি।
১৯ জানুয়ারি ভারতের প্রায় সব উল্লেখযোগ্য বিজেপি বিরোধী শক্তিকে ব্রিগেডে হাজির করে মেগা সমাবেশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৩ ফেব্রুয়ারি ব্রিগেডে সভা করতে চলেছে রাজ্য বামফ্রন্ট। সব শেষে ৮ ফেব্রুয়ারি নরেন্দ্র মোদি সভা করবেন বলে বিজেপি জানিয়েছিল।
প্রথমে স্থির হয়েছিল, রাজ্যের তিন প্রান্ত থেকে বিজেপির তিনটি রথ বেরোবে। ‘গণতন্ত্র বাঁচাও’ যাত্রার অঙ্গ হিসেবে নির্দিষ্ট রুট পরিক্রমা করে তিন রথই কলকাতায় পৌঁছবে। তার পরে ওই যাত্রার সমাপ্তি কর্মসূচি হিসেবে জানুয়ারির মাঝামাঝি বা শেষ দিকে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে বড়সড় সমাবেশ হবে। কিন্তু যাত্রার অনুমতি পাওয়া নিয়ে তৈরি হওয়া জটিলতায় যাত্রা দফায় দফায় পেছাতে থাকলে মোদির ব্রিগেড সমাবেশের সম্ভাব্য তারিখও পেছাতে থাকে। যাত্রার অনুমতি পেতে প্রথমে কলকাতা হাইকোর্ট থেকে শেষে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থও হয় বিজেপি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অনুমতি মেলেনি। ফলে যাত্রার পরিকল্পনা বাতিল করে রাজ্যের ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রে গণতন্ত্র বাঁচাও সভা করার পরিকল্পনা গৃহীত হয়। তার অঙ্গ হিসেবেই মালদহ, ঝাড়গ্রাম এবং সিউড়িতে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের সভা নির্ধারিত হয়। ফেব্রæয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী বাংলায় ব্রিগেড-সহ মোট পাঁচটি সভা করবেন বলেও বিজেপির সর্বভারতীয় নেতৃত্ব রাজ্য বিজেপি-কে জানায়।
নরেন্দ্র মোদির কর্মসূচির বিষয়ে আলোচনা করতে রোববার সন্ধ্যায় বৈঠকে বসেছিলেন রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। দলের সর্বভারতীয় সহকারী সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) শিব প্রকাশ বৈঠকে ছিলেন। ছিলেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) সুব্রত চট্টোপাধ্যায়, রাজ্য বিজেপির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা কমিটির আহ্বায়ক মুকুল রায় এবং রাজ্য বিজেপির অন্য সাধারণ সম্পাদকরা। সেই বৈঠকে স্থির হয় যে, ব্রিগেড সমাবেশের উপরেই আপাতত সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া উচিত। ব্রিগেডের আগে যেহেতু অমিত শাহ তিনটি সভা করে যাচ্ছেন বাংলার নানা প্রান্তে, সে হেতু জেলায় জেলায় আপাতত প্রধানমন্ত্রীর সভা আয়োজনের দরকার নেই।
২২ ও ২৩ জানুয়ারি মালদহ, ঝাড়গ্রাম ও সিউড়িতে অমিত শাহের তিন সভা এবং ২৪ জানুয়ারি কৃষ্ণনগর ও জয়নগরে স্মৃতি ইরানির দুই সভার প্রস্তুতি নেওয়ার পরে যদি রাজ্যের আরও চারটি প্রান্তে প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশের আয়োজন করতে হয়, তা হলে ব্রিগেডের প্রস্তুতি নেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে দলের বলে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে রোববার সন্ধ্যায় জানিয়ে দেন রাজ্য নেতারা। রাজ্যের সেই সিদ্ধান্তের কথা অমিত শাহকে জানান বাংলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। কিন্তু কৈলাসকে অমিত শাহ জানিয়ে দেন যে, ব্রিগেডে সমাবেশের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য সময় পাওয়া যাচ্ছে না বলে যদি মনে হয়, তা হলে ব্রিগেডে এখন সভা করার দরকার নেই। আপাতত শিলিগুড়ি, ঠাকুরনগর এবং আসানসোলে নরেন্দ্র মোদির সভার আয়োজন করা হোক। ব্রিগেড পরে হবে।
কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশ অনুযায়ী রাজ্য বিজেপি আপাতত ব্রিগেডে মোদির সমাবেশ আয়োজন করছে না। ২৮ জানুয়ারি শিলিগুড়ি বা জলপাইগুড়িতে, ৩১ জানুয়ারি উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগরে এবং ২ ফেব্রুয়ারি পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলে নরেন্দ্র মোদি জনসভা করবেন বলে স্থির হয়েছে। সূত্র: টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।