বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রাউজানের কলেজ ছাত্রী রেশমার খাওয়া হলোনা কিনে নেওয়া সিপস, কে জানতো সিপস কেনার ২ মিনিটের মধ্যে তার তরতজা প্রাণ কেড়ে নেবে সে ঘাতক বাস। ২১ জানুয়ারী সোমবার সকাল ১০টায় মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে রাউজান উপজেলা পরিষদের পূর্বপাশের মূল ফটকের সামনে। প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহত রেশমার সহপাঠিরা জানান, সোমবার সকাল ১০টা নাগাদ হাটহাজারী সরকারী কলেজের এবারের উচ্চ মাধ্যমিক পরিক্ষার্থী ও ডাবুয়া ইউপির উত্তর হিংগলা নতুন পাড়ার মনির উদ্দিনের বড় মেয়ে এবং রাউজান উপজেলায় মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আওতাধীন সেলাই প্রশিক্ষন ও বিউটি পার্লারের শির্ক্ষাথী রেশমা (২০) ও তার বান্ধবী লাকী আকতার সকালে কোচিং শেষ করে উপজেলার প্রবাসি কল্যাণ ব্যাংকের ৩য় তালায় বিউটি পার্লারে প্রবেশের মুহুর্তে উপজেলা গেইটে সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা আজমির পরিবহনের বাস নং- চট্টমেট্রো-ব ০২-০১৩১ এর সাইড বক্সের ডাকনার ধাক্কা খান রেশমা। তখন ঘাতক গাড়িটি ড্রাইভার জসিম গাড়িটি বন্ধ না করে চালিয়ে সামনের দিকে যেতে থাকলে একপর্যায়ে রেশমা ডাকনার সজোরে ধাক্কা খেয়ে ঘুরে পড়ে যায় সাইট বক্সের পাশে। তখন সাইড বক্সের খোলা ডাকনাটি রেশমার ঘারের উপরে সজোরে আঘাত করে। এতে রেশমার গাড় ভেঙ্গে যায়। সাথে সাথে স্থানিয়রা রেশমাকে উদ্বার করে জেকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার রেশমাকে মৃত ঘোষনা করেন।
এদিকে উত্তেজিত জনতা বাসের ড্রাইভার জসিমকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেন। রেশমার প্রশিক্ষন কেন্দ্র উপজেলার বিউটি পার্লারে গেলে ঐ কেন্দ্রের প্রশিক্ষক সুপ্রিয়া নাথ জানান, রেশমা চলতি মাসের প্রথম সাপ্তাহে বিউটি পার্লার প্রশিক্ষণে ভর্তি হন। মেয়েটি খুব ভাল ও ভদ্র ছিল। রেশমার বান্ধবী ছায়রা বেগম জানান, ‘রেশমা ও লাকী হেটে হেটে কেন্দ্রে আসছিল তখন আমি উপজেলা গেইটের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম, রেশমা ১০ টাকা দামের সিপস নিয়েছিল,কিন্তু ঘাতক বাস রেশমাকে সিপস খেতে দেয়নি,আমার সামনে বাসের সাইড বক্সের ডাকনার ধাক্কা দিয়ে রেশমার জীবন প্রদিপ নিভিয়ে দিল, বাসের ড্রাইভার ও হেলপার রেশমাকে মেরে ফেলল, রোবারের মত আর বিউটি পার্লারে যাওয়া হলোনা রেশমার, আর কোনদিন যাওয়া হবেনা বিউটি পার্লারে সে হাসিমুখি সকলের প্রিয় রেশমার’।
রেশমার পিতা পেশায় সিএনজি অটোরিক্সা চালক। রেশমারা ৩ ভাই ২ বোন। রেশমা ছিল সবার বড়। সে হাটহাজারী কলেজ থেকে এবার এইচ এসসি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য ফরম পিলাবও করছিল। তারা একসময় সন্দিপের অধিবাসি ছিল।রাউজানে বসবাস করছে অনেক আগে থেকে। রেশমা ২০১৬ সালে রাউজান আর আর এসি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৩.৪৪ পয়েন্টে ব্যবসায় শিক্ষা শাখা থেকে এসএসসি পাস করেছিল। সে মেধাবী ছিল। স্থানিয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘাতক বাসটি গতকাল সোমবার সকালে হলদিয়া ইউনিয়নের এয়াছিন নগর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে রাঙ্গামাটি শিক্ষা সফরে যাওয়ার পথে রাউজান উপজেলা গেইটের সামনে রেশমাকে ধাক্কা দেয়। আজমির পরিবহন গাড়িটির মালিক ইকতেয়ার মেম্বারের বলে জানান ড্রাইভার জসিম, তার বাড়ী রাউজান ইউপিতে। ড্রাইভার জসিমের বাড়ী রাঙ্গামাটি। সে বেপরোয়া গাড়ি চালাতো বলে অনেকে জানান। তবে হেলপার ঘটনার সাথে সাথে পালিয়ে যায়। এদিকে নিহত রেশমার পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগদ ২০ হাজার, ও হলদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম দশ হাজার টাকা নগদ প্রান করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।