মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
‘ইউনাইটেড ইন্ডিয়া’র ডাক দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার ডাকে সাড়া দিয়েই মাঘের শীতে ব্রিগেডে জড়ো হয়েছিলেন জাতীয় রাজনীতির হেভিওয়েটরা। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, প্রাক্তন মন্ত্রী- মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে সাড়া দিয়ে সবাই একজোট হয়েছেন ব্রিগেডের মঞ্চে। একটাই লক্ষ্য, ‘পরিবর্তন’। দিল্লির মসনদ থেকে মোদি সরকারকে উৎখাত করতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বার্তা প্রত্যেক নেতার মুখে মুখে। আর এই পরিস্থিতিতে খুব প্রাসঙ্গিকভাবেই উঠে আসছে, একটাই প্রশ্ন। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে অবিজেপি জোট ক্ষমতা এলে, পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হবেন? উনিশের ব্রিগেডের মঞ্চ দাঁড়িয়ে সেই প্রশ্নের উত্তর দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই।
তৃণমূল প্রধান বলেন, ‘কেউ এককভাবে গুরুত্বপূর্ণ নয়। কালেক্টিভ লিডারশিপ ইজ ইমপর্ট্যান্ট। মহা গাঁটবন্ধনে সবাই নেতা। আমরা সবাই প্রজা আমাদের গণতন্ত্রে। প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে ভাবার দরকার নেই। আমি তা নিয়ে ভাবিত নই। নির্বাচনের পর আমরা ঠিক করব, কে প্রধানমন্ত্রী হবেন। বিজেপি গেলে নিশ্চয়ই ভালো সরকার হবে। আমরা সবাই মিলে ঠিক করব কে প্রধানমন্ত্রী হবেন। আগামী পাঁচ বছর ভালো সরকার হবে’।
মমতা বলেন, ‘মোদী সরকারের এক্সপায়ারি ডেট এসে গেছে। বাংলার মাটি স্বাধীনতা আন্দোলনের, নবজাগরেণর পথ দেখিয়েছে। যখন-ই কোনো বিপদ এসেছে, তখন-ই বাংলা পথ দেখিয়েছে’। ব্রিগেড মঞ্চ থেকে এদিন মোদি সরকারকে চাঁছাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেন তৃণমূল নেত্রী। তোপ দাগেন, ‘ভারত সর্বস্বান্ত, বিজেপি দাঙ্গায় ব্যস্ত। ব্যাঙ্কে ধস, সিবিআই, আরবিআই-এ ধস। গণতন্ত্রে ধস, বিজেপি বস’।
মমতা অভিযোগ করেন, ‘লুটের টাকায় ভোট, লুটছে সব নোট। একের পর এক কেলেঙ্কারি। কিন্তু চোরের মায়ের বড় গলা। আপনার সঙ্গে থাকলেই সব সঠিক, না হলেই বদমাশ’। এদিন ফের এনআরসি ইস্যুতেও সুর চড়ান পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিযোগ করেন, নাগরিকত্ব সংশোধনীর নামে উত্তর-পূর্বে মানুষ নিধন চলছে।
‘আচ্ছে দিন’-এর প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতা এসেছিল মোদি সরকার। ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে সেই ‘আচ্ছে দিন’কে একহাত নেন ব্রিগেড নেত্রী। বলেন, বছরে ২ কোটি চাকরি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মোদি। যার পুরোটাই ভাঁওতাবাজি। ব্রিগেড মঞ্চ থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন স্লোগান তোলেন, ‘অনেক হয়েছে আচ্ছে দিন, এবার বিজেপিকে বাদ দিন। অনেক হয়েছে আচ্ছে দিন, দিল্লিতে পরিবর্তন নিয়ে আসুন। বিহার, ইউপি, বাংলায় শূন্য পেতে দিন। দেশ এক রাখতে চাইলে বিজেপিকে বাদ দিন। কৃষক, শ্রমিক, যুবা সম্প্রদায়, মানুষকে আচ্ছে রাখতে বিজেপিকে বাদ দিন’।
এদিন বিজেপিকে রোখার জন্য আন্দোলনের দিক নির্দেশনাও দেন মমতা। তিনি বলেন, ‘আগামিদিনে বিজেপি যেখানে মিটিং করবে, সেখানেই পাল্টা মিটিং করবেন। বিজেপি কুৎসা রটালেই প্রতিবাদে পথে নামুন’। বিজেপি খালি ‘গর্জন’ নয় ‘তর্জন’ করে, কিন্তু ‘অর্জন’ করতে পারে না বলেও কটাক্ষ করেন তৃণমূল নেত্রী। এদিন ফের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে হিটলার, মুসোলিনির সঙ্গে তুলনা করেন তিনি। বলেন, ‘ইন্দিরা গান্ধীর সময়ের জরুরি অবস্থার চেয়েও ভয়ঙ্কর এই সুপার ইমার্জেন্সি। মানুষের অধিকার হরণ করা হচ্ছে’।
গতকাল কলকাতার ব্রিগেডে স্মরণকালের বৃহত্তম মহাসমাবেশে ভারতের প্রায় সব প্রদেশ থেকে মোদিবিরোধী রাজনৈতিক তারকাদের সমাবেশ ঘটে। সমাবেশ মঞ্চে উল্লেখযোগ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে ছিলেন, এইচ ডি দেবগৌড়া, ফারুখ আবদুল্লাহ, ওমর আবদুল্লাহ, কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে, চন্দ্রবাবু নাইডু, অরবিন্দ কেজরিওয়াল, এইচ ডি কুমারস্বামী, শরদ যাদব, বাবুলাল মারান্ডি, সাবেক অর্থমন্ত্রী ও বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা যশবন্ত সিনহা, অজিত সিং, অরুণ শৌরি, বিজেপির এমপি শত্রুঘ্ন সিনহা, এম কে স্ট্যালিন, তেজস্বী যাদব, শরদ পাওয়ার, প্রফুল্ল প্যাটেল, অখিলেশ যাদব, সঞ্জয় রাউত, হেমন্ত সোরেন, হার্দিক প্যাটেল, বদরুদ্দিন প্রমুখ। সভায় তৃণমূলে যোগ দেন অরুণাচল প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও সদ্য বিজেপি ত্যাগী গেগং আপাং।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এখন নির্বাচন আসছে তাই আপনারা সামগ্রিক নেতৃত্বের কথা বলছেন, নির্বাচনে জিতে গেলেই আবার সবাইকে ফেলে দেবেন। সুষমা স্বরাজ, রাজনাথ সিং, নীতিন গাডকারিকে সন্মান দিয়েছে বিজেপি? শত্রুঘ্ন জি, যশবন্ত জিকে সন্মান দিয়েছে? আজকে কেন ২৩-২৪ টা দল বিজেপির বিরুদ্ধে?- প্রশ্ন রাখেন মমতা।
‘এই জোটে সবাই নেতা’, -বলেন মমতা। ‘আমি কথা দিচ্ছি, এরাজ্যে ফাইভ-স্টার রথ চালাতে পারব না। আচ্ছে দিন আনার অনেক সুযোগ পেয়েছিলেন, সেই সুযোগ হারিয়েছেন, কারণ আপনারা কাউকে কেয়ার করেননি। অনেক হয়েছে আচ্ছে দিন, এবার বিজেপিকে বাদ দিন। দেশকে ভালো রাখতে চাইলে বিজেপিকে বাদ দিন’।
লালু প্রসাদ যাদবপুত্র তেজস্বী যাদব বলেন, ‘চৌকিদার জিকে বলতে চাই, আপনি চৌকিদার হলে দেশের জনতা থানাদার। বিজেপির বিরুদ্ধে গেলেই আপনার পেছনে লাগবে বিজেপির জোট সঙ্গী সিবিআই বা ইডি, যেমন আমার বাবার পেছনে লেগেছে। দেশের আজ তলোয়ারের নয়, সূচের প্রয়োজন, কারণ দেশ ছেঁড়া কাপড়ের মতোই ছিঁড়ে গেছে। পশ্চিমবঙ্গবাসী সমস্ত বিহারি ভাইবোনকে বলছি, মোদি আপনাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন।
“সত্য গোপন করলে দেশের জনতা তো বলবেই, ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’। রাফালে চুক্তির কথাই ধরুন, সত্যিটা বলছেন না কেন মোদি? নিজের দেশের প্রতিষ্ঠিত সংস্থাকে বিমান কেনার বরাত না দিয়ে কেন এমন সংস্থাকে বরাত দেওয়া হলো, যারা আজ পর্যন্ত একটা সাইকেলের চাকাও বানায়নি? আবার নির্বাচন আসছে, কিন্তু প্রতিশ্রুতি আর পারফরম্যান্স মিলছে না যে। এরা এমন হয়ে গেছে, যে নদী না থাকলেও সেতু বানানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে দেবে। ভোটে জেতাই লক্ষ্য। আমি এর আগে শোনা একটা কথা আবার বলতে চাই, মতভেদ থাক, মনের কোনও ভেদ যেন না থাকে।”
‘বিহারি বাবু’ তথা বিক্ষুব্ধ বিজেপি সদস্য শত্রুঘ্ন সিনহা স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গীতে শুরুতেই বলেন, “বহুত জান হ্যায় আপ সব মে।” এরপর তিনি আরও বললেন, “আমাকে সবাই জিজ্ঞেস করেন, আমি বিজেপিতে থেকেও বিজেপির বিরুদ্ধে বলি কেন, আমি কি বিশ্বাসঘাতক? আমার কথা হলো, সত্যি কথা বলাটা যদি বিশ্বাসঘাতকতা হয়, তবে আমি বিশ্বাসঘাতক। মানুষের ওপর বলপ্রয়োগ করে ক্ষমতায় থাকা যায় না। অটলবিহারি বাজপেয়ীর বিজেপির সঙ্গে এই বিজেপির প্রধান পার্থক্য এই যে, অটলজির সময় লোকতন্ত্র ছিল। আমাকে যশবন্ত সিং একটু আগেই বললেন, এরপর আমাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে। তাতে কিছু এসে যায় না।”
কংগ্রেস প্রতিনিধি মল্লিকার্জুন খাড়গে সোনিয়া গান্ধীর বার্তা পড়ে শুনিয়ে তার বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, ‘মোদি বলেন, খাবও না, খেতে দেবও না। আপনি খাচ্ছেন না হয় তো, কিন্তু আপনার বন্ধু শিল্পপতিদের খাওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছেন। ১ কোটি ৬০ লাখ চাকরি খোয়া গেছে, কথা ছিল বছরে ২ কোটি চাকরি দেয়ার। কিন্তু বিজেপির লক্ষ্য একটাই, কীভাবে ২০১৯-এ আবার ক্ষমতায় আসা যায়। সেই উদ্দেশে দেশের সংবিধান নিয়ে এরা ছেলেখেলা করছে, সমাজ ভেঙেচুরে একাকার করছে। ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে রক্ষা করতেই হবে’- বললেন মল্লিকার্জুন খাড়গে।
চার বারের মুখ্যমন্ত্রী শরদ পাওয়ার বলেন, “এত বিপুল সংখ্যায় মানুষ দেখে আমাদের সবার উনিশ-টা বেজে গেছে। আমার জীবনে আমি চারবার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছি, কেন্দ্রীয় সরকারে কাজ করেছি। আমার কিচ্ছু পাওয়ার নেই আর, কিন্তু বিজেপি সরকারকে সরাতে হবেই, একমাত্র এই লক্ষ্যে আজ এখানে এসেছি। আমাদের যদি সুযোগ দেন, আমি কথা দিচ্ছি, একে অন্যের হাত আমরা ছাড়ব না।”
অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু বলেন, পৃথিবীর কোনো দেশে ইভিএম মেশিনে ভোট হয় না, আমাদের উচিত আবার ব্যালট পেপারে ফিরে যাওয়া। এর পরে আমরা অমরাবতীতে এই ধরনের একটি সভা করব, সেখানে সবাইকে আমন্ত্রণ জানিয়ে রাখলাম- বললেন তিনি। একইসঙ্গে অরবিন্দ যোগ করলেন, দিল্লিতেও হবে এইরকম মহাসভা।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, ‘গত ৭০ বছরে পাকিস্তান যা পারেনি, পাঁচ বছরে মোদি-শাহ করে দেখালেন। দেশকে টুকরো টুকরো করে ফেললেন। এই দেশের সংবিধান পাল্টাতে চায় ওরা, হিটলারের মত, সারাজীবন রাজত্ব করতে চায়। ২০১৯ এর নির্বাচন প্রধানমন্ত্রী বাছার নয়, মোদি-শাহকে তাড়ানোর। যে কোনোভাবে হোক, ওদের তাড়ান, নয় তো দেশের সর্বনাশ হয়ে যাবে, -বললেন কেজরিওয়াল। তিনি আরো বলেন, ‘নোট বাতিল করে দেশের চূড়ান্ত ক্ষতি করেছে মোদি সরকার। কৃষকদের শষ্যবীমা করেছে মোদির বন্ধুদের কোম্পানি। কৃষকরা বিমা কোম্পানি থেকে কোনো সুবিধা পাননি। দলিতদের উপর অত্যাচার হচ্ছে দেশের বিভিন্ন এলাকায়। মুসলমানদের উপর আক্রমণ নেমে আসছে’।
অখিলেশ যাদব বলেন, ‘উত্তর প্রদেশ থেকে যে জোট বাঁধা শুরু হয়েছে, তা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়বে। তামিলনাড়– যদি বিজেপিকে জিরো করতে পারে, আমাদেরও দায়িত্ব রয়েছে তা করার। বিজেপি আমাদের বলছে, আমাদের জোটে নাকি অনেক প্রধানমন্ত্রীর দাবীদার। আমি জানতে চাই, আপনাদের কাছে একজন ফেল হয়ে যাওয়া, মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া প্রধানমন্ত্রী ছাড়া আর কে আছেন?” প্রশ্ন তুললেন তিনি। “আমি বলছি, জনতাই ঠিক করে দেবে কে প্রধানমন্ত্রী হবেন।”
কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমি নিশ্চয়ই মুসলমান। কিন্তু, অবশ্যই ভারতীয়। প্রত্যেক কাশ্মীরি আপনাদের সঙ্গে থাকতে চায়, কাশ্মীরে আসুন, বাঙালিদের কাছে আমার অনুরোধ। ভারতের সঙ্গে থাকতে চায়। দেশে ধর্মের নামে বিভাজন চলছে, এই পরিস্থিতি থেকে বেরোতে আমাদের কুরবানি দিতে হবে। আমরা একে অপরের সঙ্গে জোট বেঁধে ভোট লড়ব। ইভিএম চোর মেশিন। এই মেশিন খতম করুন। বিশ্বের কোথাও এই মেশিন নেই। আমাদের ইলেকশন কমিশনে যেতে হবে। প্রেসিডেন্টের কাছে যেতে হবে ইভিএমের বিরুদ্ধে। হিন্দুস্তানকে মজবুত করুন, এয়ার ফোর্স দিয়ে বা সেনাবাহিনী দিয়ে নয়, হৃদয় দিয়ে’ বললেন ফারুক আব্দুল্লাহ।
প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী ও বর্ষীয়ান প্রাক্তন বিজেপি নেতা যশবন্ত সিনহা বলেন, ‘আমার জীবনে আর বিশেষ কোনো চাহিদা নেই। কিন্তু এই সরকারকে সরাতে হবে। সমস্ত গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান আজ ধ্বংসের মুখে’। তিনি আরো বলেন, ‘এই লড়াই কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়, একটি মতাদর্শের বিরুদ্ধে। স্বাধীনতার পর এই প্রথম কোনো সরকার পরিসংখ্যান নিয়ে ছেলেখেলা করছে। জেনেশুনে পরিসংখ্যান বদলে দিচ্ছে যাতে দেশের আসল আর্থিক বা সামাজিক চিত্রটা বোঝা না যায়’।
৫০ লাখ মানুষের সমাগম হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানানো হয় ব্রিগেডে। এই সংখ্যা অতিরঞ্জিত হতে পারে, কিন্তু জনসমাগম যে বিপুল সংখ্যায় হয়, তা নিয়ে সন্দেহ নেই। মাঠে ঢোকার জন্য সাতটা প্রবেশপথ করা হয়। কোন মিছিল কোন প্রবেশ পথ দিয়ে ঢুকবে, তা নির্ধারিত করে দেওয়া ছিল। পাশাপাশি, গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য নির্ধারিত করে দেওয়া হয় তিনটি স্থান। কলকাতার দিক থেকে আসা সব গাড়ি পার্ক করা হবে গণেশ অ্যাভিনিউ-তে। দক্ষিণ কলকাতার দিক থেকে আসা গাড়ির জন্য নির্ধারিত পার্কিং লট ছিল খিদিরপুর ও হাজরা মোড়। হাওড়া থেকে আসা গাড়ির জন্য কোণা এক্সপ্রেসওয়েতে ছিল পার্কিংয়ের ব্যবস্থা।
সমাবেশ উপলক্ষে ১০ হাজার পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয় এবং গত শুক্রবার থেকেই শহর মুড়ে ফেলা হয় নিরাপত্তার চাদরে। অনুষ্ঠানেই মমতা ঘোষণা দেন বিকেল ৪টার আগে যেন কোনো গাড়ী ময়দান ছেড়ে যেতে না পারে। আর বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে সমাপ্ত হয় গত ২১ জুলাই আহূত ব্রিগেডের এই সমাবেশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।