মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কলকাতায় তৃণমূলের মঞ্চে এসে সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করেও তাকে প্রধানমন্ত্রী করার দাবি কার্যত উস্কে দিয়ে গেলেন ভারতের সাবেক কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী যশবন্ত সিনহা। গত রোববার কলকাতায় উত্তম মঞ্চে তৃণমূলের সোশ্যাল মিডিয়া সেল আয়োজিত ‘আইডিয়া অব বেঙ্গল’ শীর্ষক আলোচনায় ‘কালো টাকা এবং না রাখা প্রতিশ্রুতি’ বিষয়ে অতিথি বক্তা ছিলেন বিজেপি-ত্যাগকারী এই নেতা।
তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রের সরকারকে বদলাতে হবে। বিজেপি বিরোধী জোটে নেতৃত্ব দিতে পারবেন তিনিই, যিনি জোটের মধ্যে, সরকারে এবং মানুষের মধ্যে সমন্বয় গড়তে সক্ষম। শুধু রাজ্য থেকে কেন্দ্রে গেলে হবে না। যার রাজ্য এবং কেন্দ্র- দুই জায়গাতেই সরকারে থাকার অভিজ্ঞতা আছে, তিনিই ওই জোটে নেতৃত্ব দিতে পারবেন।’ তার ওই মন্তব্য শুনে অনুষ্ঠানের সঞ্চালক বলেন, ‘আপনি তো নাম না বলেও বুঝিয়ে দিলেন, কার কথা বলছেন!’ হেসে সঞ্চালকের ওই বক্তব্যের সরাসরি জবাব এড়িয়ে যান যশবন্ত। খবর আনন্দবাজার পত্রিকা।
মমতাকে কি তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দেখতে চান? অনুষ্ঠানের শেষে সাংবাদিকদের এই প্রশ্নে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সতর্ক জবাব দেন, ‘তার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সব রকম যোগ্যতাই আছে। কিন্তু ওই জোটে বহু দল এবং নেতা আছেন। সকলে মিলে ঠিক করবেন।’ মোদি সরকারের নোট বাতিলের ঘোষণার পরেই কেন্দ্রের ওই পদক্ষেপকে ‘দানবিক’ বলে অভিহিত করেছিলেন মমতা। সভায় মমতার প্রশংসা করে যশবন্ত বলেন, ‘তখন অর্থনীতিবিদরাও বুঝতে পারছিলেন না, কী প্রতিক্রিয়া দেবেন। মমতাজি বুঝতে পেরেছিলেন, কী বলা উচিত। আমি ওর সাহসকে সালাম জানাই! লোকসভা ভোটে যারাই তাকে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে প্রচারে ডাকবে, তাদের কাছেই তিনি যাবেন বলেও এ দিন সভার শেষে জানান যশবন্ত।
যশবন্ত সিং আরো বলেন, আর একটা শেষ লড়াই আমার বাকি আছে। বর্তমান সরকারের আমলে একের পর এক সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের গুরুত্ব শেষ করে দেওয়া হয়েছে। ক্যাবিনেট, সংসদ, সুপ্রিম কোর্ট, নির্বাচন কমিশন, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, সিবিআই, তথ্য কমিশন সব প্রতিষ্ঠানকে খর্ব করে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, বাজপেয়ী জমানায়, মন্ত্রিসভার সদস্যদের গুরুত্ব ছিল, এখন কারো গুরুত্ব নেই। তিনি স্পষ্ট ঘোষণা করেন, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের ফল বেরনোর পরে আমি পাকাপাকিভাবে রাজনীতি থেকে অবসর নেব। মোদি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করাই তার ‘শেষ লড়াই’- বুঝিয়ে দেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, এবারের লোকসভা ভোটে তিনি কী অবস্থান নেন, তা নিয়ে জল্পনা রয়েছে রাজনৈতিক শিবিরে। সেই ধোঁয়াশাও এ দিন অনেকটাই পরিষ্কার করে দেন যশবন্ত সিং। মোদি সরকারের বিরোধীতাই তিনি করবেন, স্পষ্ট জানান তিনি। তৃণমূলের হয়ে কী প্রচার করবেন জিজ্ঞেস করা হলে যশবন্ত বলেন, এই সরকারের বিরুদ্ধে প্রচার করার জন্য তাকে যেখানে ডাকা হবে, সেখানেই তিনি যাবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।