পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তৃণমূল প্রধান ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টাকা দিয়ে বিধায়ক কিনতে চাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রার্থীপদ বাতিলের দাবি করেছেন। অন্যদিকে এ লজ্জাকর মন্তব্যের জন্য মোদিকে ৭২ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবি করেছেন অখিলেশ যাদব।
গত সোমবার শ্রীরামপুরের জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দাবি করেন, তৃণমূলের ৪০ জন বিধায়ক তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। ২৩ মে’র পরেই তাঁরা মোদির সঙ্গে চলে যাবেন। তার ২৪ ঘণ্টা পর সে বিষয় নিয়ে মুখ খুললেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গতকাল মঙ্গলবার ভদ্রেশ্বরের জনসভা থেকে ক্রুদ্ধ মমতা বলেন, ৪০ জন বিধায়ককে উনি (মোদি) নাকি নিয়ে নেবেন। একটা পেলে জোগাড় করে দেখান। তিনি বলেন, টাকা দিয়ে বিধায়ক কিনতে চাইছেন মোদি। তিনি টাকার খেলা খেলছেন। একজন প্রধানমন্ত্রী এভাবে প্রকাশ্যে বিধায়ক কেনাবেচার কথা বলছেন। তার তো প্রার্থীপদ বাতিল হওয়া উচিত।
তিনি আরো বলেন, বিধায়কদের নিয়ে নিলেও বাংলার সরকারের কিছু যায় আসে না। তার কথায়, বাংলার বিধায়ক কিনলেও বাংলার সরকার ভাঙবে না। তৃণমূলই দিল্লির সরকার গড়বে সকলকে সঙ্গে নিয়ে। নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে হুংকার দিয়ে তিনি বলেন, আপনার পার্টি টাকায় চলে। আমার পার্টি রক্ত-ঘাম দিয়ে গড়ে তুলেছি।
মোদিকে আক্রমণ করে মমতা বলেন, সমস্ত সাংবিধানিক সংস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছেন। চা ওয়ালা এখন হয়েছে চৌকিদার। মিথ্যেবাজের দল। এদিন বারবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৃষকদের প্রসঙ্গে কথাও তুলে ধরেন। বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত কৃষকদের জন্যে আমরা বিমার ব্যবস্থা করেছি। কৃষকদের ঋণ মওকুফ করেছি। আর ওরা (বিজেপি) এখন দরদ দেখাচ্ছে। ভোটের আগে নাটক সব। ১২ হাজার কৃষক আত্মহত্যা করেছেন মোদির জন্যে।
তবে এটা শুধু নেত্রীর কথার কথা নয়। প্রধানমন্ত্রী মোদির বিরুদ্ধে ঘোড়া কেনাবেচার অভিযোগ নিয়ে ইতোমধ্যেই নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিকে মোদির মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সমাজবাদী পার্টি নেতা অখিলেশ সিং যাদব। তিনি বলেন, এই লজ্জাজনক মন্তব্যে মোদির কালো টাকার মানসিকতার পরিচয় মেলে। তাকে ৭২ ঘণ্টা নয়, ৭২ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করা উচিত।
অখিলেশ আরও বলেন, এই হল প্রধানমন্ত্রীর বিকাশ। দেশের ১২৫ কোটি মানুষের বিশ্বাস হারিয়ে এখন এই রাস্তা বেছে নিয়েছেন উনি। এছাড়া মোদির মন্তব্যে তীব্র আপত্তি জানিয়ে কমিশনে অভিযোগ করেছেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী টিডিপি নেতা চন্দ্রবাবু নাইডু।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী মোদির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের। সূত্র : এই সময়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।