বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বরিশালের বিভিন্ন এলাকায় গত দশদিনে নয়জনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের মধ্যে তিনজন যুবক, একজন শ্রমিক, তিনজন শিক্ষার্থী ও দুইজন গৃহবধু। উদ্ধার হওয়া এসব লাশের বেশিরভাগেরই মৃত্যুর সঠিক কোনো কারণ জানা যায়নি। ফলে সংশ্লিষ্ট থানাগুলোতে অপমৃত্যুর মামলাই বেশি রুজু হয়েছে বলে জানা গেছে।
গত ১১ জানুয়ারি ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে নিখোঁজের সাতদিন পর যুবক রাসেলের (৩২) লাশ উদ্ধার করা হয় কীর্তনখোলা নদী থেকে। গত বৃহস্পতিবার (১০ জানুয়ারি) নলছিটিতে নিখোঁজের একদিন পর খালের পাশ থেকে হানিফ খন্দকার (৫৮) নামের এক শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিখোঁজের ১৬দিন পর গত সোমবার (৭ জানুয়ারি) মুলাদীতে গিয়াস উদ্দিন নামের এক যুবকের এবং গত শনিবার (৫ জানুয়ারি) উজিরপুরের জল্লা ইউনিয়নের পীরেরপাড় এলাকার ধানক্ষেত থেকে উদ্ধার করা হয় ননী বাড়ৈ (২২) নামের আরেক যুবকের লাশ।
একইদিন বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর চরআইচা খেয়াঘাট এলাকা থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। যদিও পরবর্তীতে লাশটি নগরীর ৬নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সরকারী টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী সৈয়দ ফয়সালের (২৩) বলে শনাক্ত করেন তার স্বজনরা।
এছাড়া আগৈলঝাড়ায় উদ্ধার করা হয় এসএসসি পরীক্ষার্থী তাজুলের ঝুলন্ত লাশ। তাজুলের পরিবারের পক্ষ থেকে ঘটনাটিকে আত্মহত্যা হিসেবে দাবি করা হয়। গত বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) একই উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের আহুতি বাটরা গ্রাম থেকে গৃহবধু রীতা হালদারের (৩২) লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ উপজেলার সাপলেজা থেকে এলিজা বেগম (৩০) নামে দুই সন্তানের জননীর লাশ উদ্ধার করে গত ২ জানুয়ারি। সর্বশেষ গত ১৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় গৌরনদী উপজেলার সুন্দরদি এলাকায় ব্যবসায়ী আক্তারুজ্জামান রিটুর কন্যা এইচএসসি পরীক্ষার্থী আয়শা আক্তারের (১৮) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে পরিবারের দাবি আয়শা ওড়ানা দিয়ে বসত ঘরের আঁড়ার সাথে গলায় ফাঁস দেয়ার পর মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে গৌরনদী হাসপাতালে নিয়ে আসার পর চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। থানা পুলিশের দাবি আয়শা আক্তারের লাশটি দেখে আত্মহত্যার কোন লক্ষণ পাওয়া যায়নি। তাই ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিএম কলেজের অধ্যাপক রেখা সুলতানা সাংবাদিকদের বলেন, একের পর এক লাশ উদ্ধারের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। প্রতিটি মৃত্যুর সঠিক কারণ খুঁজে বের করা উচিত। তার মতে, সতর্কতামূলক ব্যবস্থা ও জনসচেতনতা বাড়ানোর মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করা সম্ভব হলে এমন দুঃখজনক ঘটনা অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। বরিশালের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাইমুর ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, লাশগুলো উদ্ধারের পর ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাছাড়া সব ঘটনাই কিন্তু হত্যাকান্ড নয়, এরমধ্যে দুর্ঘটনাও হয়ে থাকতে পারে। তবে তন্ত করে সব বের করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।