Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

শৈত্যপ্রবাহে দক্ষিণাঞ্চলের পানচাষিদের ব্যাপক ক্ষতি

বরিশাল ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৮ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

এবারের নজিরবিহীন লাগাতর শৈত্য প্রবাহ ও শেষ রাতের কুয়াশায় বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকার পান চাষীদের চরম সর্বনাশ ডেকে এনেছে। কোল্ড ইনজুরীর কবলে পড়া বরজগুলোর পান পাতা হলুদ বর্ণ হয়ে যাওয়ায় গুনগত মান হ্রাস পাচ্ছে। ফলে দাম পড়ে গিয়ে সর্বশান্ত হয়ে গেছে অনেক পান চাষি। হলুদ বর্ণের এসব পান সামান্য দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। এমনকি বরজগুলোতে হলুদ হয়ে যাওয়া পান পাতা ঝরে পড়াসহ পানের গাছের লতায় বিভিন্ন ধরনের ছত্রাকবাহী রোগ দেখা দিচ্ছে। ফলে গত কিছুদিন ধরে পানের বাজারে ধস নেমেছে। সারা বছর ভাল দাম পেলেও এখন দাম কমে গেছে।
বরিশালের উজিরপুর, গৌরনদী, আগৈলঝারা সহ জেলার প্রতিটি উপজেলার বিপুল সংখ্যক জমিতে পানের চাষ হয়। এর মধ্যে অনেক পরিবারের আয়ের এক উৎস পান চাষ। গত এক বছর ধরে পান চাষ করে লাভ করলেও আকষ্মিক লাগাতর শৈত্যপ্রবাহে পানের পাতায় হলদে দাগ দেখা দিয়েছে। পচে যাচ্ছে পান পাতা। ফলে ৬৪টি পানের এক বিড়া হিসেবে ৩২ বিড়ার এক পোয়া বড় পানের দাম তিন হাজার থেকে নেমে এসেছে আটশ’ টাকায়। মাঝারি সাইজের পান প্রতি পোয়া এক হাজার ছয়শ’ থেকে নেমে পাঁচশ’ এবং ছোট পান প্রতি পোয়া পাঁচশ’ থেকে নেমে তিনশ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বিভিন্ন মোকামে কম দামে পান কিনেও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। তারা বলছেন, পানের পাতায় কালো বা হলুদ দাগ থাকায় এবং পানপাতায় পচন ধরায় ব্যবসায়ীরা দেশের বিভিন্ন স্থানের মোকামে আরও কম দামে পান বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। পান পরিবহন এবং বিক্রিতে দুদিন সময় লাগে। আর এ সময়ের মধ্যে বেশীরভাগ পান পাতাই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে দক্ষিণাঞ্চলের ব্যবসায়ীরা দেশের বিভিন্ন বাজারে পানির দামে পান বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন।
পান চাষিদের মতে, শীত ঘন কুয়াশা আর অব্যাহত শৈত্যপ্রবাহে পানের পাতা লালছে হয়ে ঝরে পড়ে। বরজ থেকে পান সংগ্রহ করতে গেলে অন্য পানও ঝরে যায়। এসব পান বাজারজাত করার সময় দেখা যাচ্ছে পাতায় কালো দাগ। আবার পচা পাতাও পাওয়া যাচ্ছে। এর ফলে পানের বাজারে ধ্বস নেমেছে। এক বিঘা জমিতে পানের বরজ করতে খরচ হয় প্রায় ছয় লাখ টাকা। কিন্তু এবার লাভ তো দূরের কথা, উৎপাদন ব্যয় উঠবে কিনা তা নিয়েই সন্দিহান পান চাষীরা। তবে কৃষি অফিস থেকে দাবি করা হয়েছে, তারা চাষিদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করছেন। নিয়মিত তাদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। পান বরজ বর্তমানে যে সব রোগবালাইয়ে সংক্রামিত হয়েছে সে ব্যাপারে প্রতিনিয়ত চাষীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। অতিরিক্ত শীতের কারণে এ ধরনের রোগবালাই হচ্ছে। পানবরজের পরিচর্যা করলে এবং শীত কমে গেলে এক সপ্তাহের মধ্যে এ পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ক্ষতি

৫ অক্টোবর, ২০২২
২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ