শেখ ফজলুল করিমের জীবন ও সাহিত্য
বাঙ্গালী মুসলমানদের লুপ্ত গৌরব ও ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে যে কয়জন খ্যাতনামা মুসলিম সাহিত্যিক স্মরণীয় বরণীয়
সূর্য্য তিন ভাগ ক্ষয়াটে দেখাচ্ছে, প্রকৃতি তে কেমন হাড় হিম করা চুপচাপ, আধো আলো, আধো ছায়া এক ভৌতিক আতিপ্রাকৃতিক থম্ থম্। পাখীদের ডানা ঝাপটানোর শব্দ, ঘরে ফেরার তাড়া, শেষ বেলার ফেলে যাওয়া কলকাকলী। ক’যুগ আগে তারুন্যে ভরপুর আলোর স্ফটিকের হিরন্ময় দ্যুতিকে নিজ বৃত্তে ভরতে চেয়েছিল সে।
পুবের সূর্য্য তখন মখমলি বিচ্ছুরণের খেলায় ,ভরপুর প্রাণ শক্তি নিয়ে একটি চারা চোখে সাতরঙ নিয়ে জীবন পাঠ শুরু করে ছিল।
কীটের দংশন ছাড়েনি তাকে, সে সর্ব শক্তি তে ডানা মেলে উড়বার চেষ্টা করেছে, সে সহ্য ক্ষমতা বাড়িয়েছে, আলোকচ্ছটার আধিক্যে।
লক্ ললিয়ে বেড়েছিল চারাটি।
সময় মত গাছে কুঁড়ি এসেছিল, অলির আধিক্য শুরু,তবু চারাটি উর্ধমুখী।
কিরণমালীর আলোয় গাছটি পত্রে পুস্পে গন্ধে নজরকারা বর্ণ নিয়েছিল।
দিন যায় নিজরঙে রঙনেয়,অন্তরে নত ওপরে দূর্বিনিত,
ধরিত্রির রূপ রস গন্ধে ভাগীদার হতে চায় সে, স্ব মহিমায়।
এ দুনিয়ার নিয়ম তার জানা ছিল না, এখানে কেই বা কবে তার ঈপ্সিত কে পেয়ে়ছে?
তার পায়ে় বেড়ি পড়ল, সমস্ত শক্তি দিয়ে় সে পায়ে়র বেড়ী কে নুপূর বানিয়ে় অন্তর গন্ধে নিমর্জিত থাকার চেষ্টা করল,
চেষ্টা শেষ না হতে পায়ে়র মল শেকলে পর্যবসিত হ›ল।
এবার মেয়ে়টি চোখের সাহায্যে গাছ শরীর কে এঁকিয়ে় বেঁকিয়ে় সূর্য্যমুখী হবার প্রাণপন চেষ্টা চালাল,বালার্কে দেহে ধারণের জন্য আকুলি বিকুলি করতে লাগল, ধীরেধীরে বিষাক্ত কীট থাবা বাড়িয়ে় চলতে লাগল।
নীল ফুরিয়ে় গাঢ় বেগুনী রঙ পেতে লাগল সে,
লড়াই জারি রেখেছিল সে সমাজের ক্ষয়ে় যাওয়া থাবার বিরুদ্ধে।
আজ সূর্য্য মেঘে তলিয়ে় তিনভাগ,প্রায় ডুবুডুবু,
এবার তার মরণপন যুদ্ধ নিজের ছায়ার সাথে,
আলোর পিপাসা ক্রমশঃ বাড়ছে, সর্ব শক্তি একত্রিত করে নভোমনির উদ্দেশ্যে মারল মরণ ঝাঁপ! ডানা ভারি, পায়ে় বেড়ী,ভাঙা শরীরে ঝাপটাচ্ছে গাছটি সপ্তাশ্বের দিকে,আলোক কামনায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।