Inqilab Logo

মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পদ্মায় হঠাৎ পানি প্রবাহ বেড়েছে

রাজশাহী ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৬ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

শুষ্ক মৌসুমের শুরুতে এবার হঠাৎ করে পদ্মা নদীতে বেশি পানি প্রবাহ দেখা যাচ্ছে। গঙ্গা নদীর পানি চুক্তি কার্যকরের পর বিগত দুই দশকে শুষ্ক মৌসুমের শুরুতে এবারই পদ্মায় বেশী পানি দেখা যাচ্ছে। ফলে এবার আশানুরূপ পানি পাওয়ার আশা করা হচ্ছে।
গঙ্গা পানিবণ্টন চুক্তি অনুযায়ী, ফারাক্কা পয়েন্টে গঙ্গায় ৭০ হাজার কিউসেক পানি থাকলে দুই দেশের মধ্যে অর্ধেক করে বণ্টন হবে। সেখানে ৭০ থেকে ৭৫ হাজার কিউসেক পানি থাকলে বাংলাদেশ ৩৫ হাজার কিউসেক এবং অবশিষ্ট পানি পাবে ভারত। আর ৭৫ হাজার কিউসেকের বেশি পানি থাকলে ভারত পাবে ৪০ হাজার কিউসেক এবং অবশিষ্ট পানি আসবে বাংলাদেশে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, শুষ্ক মৌসুমের শুরুতে এখন নদীতে যেভাবে পানি পাওয়া যাচ্ছে সেভাবে আগামী মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত পানি পাওয়া গেলে কৃষিকাজে কোনো সমস্যা হবে না।
চুক্তি অনুযায়ী প্রতি বছর ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মে পর্যন্ত বাংলাদেশ ও ভারতীয় যৌথ পানি বিশেষজ্ঞ দল পাবনার হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পদ্মার পানি প্রবাহ পর্যবেক্ষণ করে থাকেন। সেখানে পানির প্রবাহ পরিমাপ করে দলটি দেখেছে এবার বছরের প্রথম দশ দিন পানি এসেছে আগের চেয়েও বেশি।
এবার হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানি প্রবাহ পর্যবেক্ষণে ভারতীয় দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ভারতীয় জল ও বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের পানি কমিশনের উপ-পরিচালক আনন্দ প্রকাশ কান্দিয়াল এবং সহকারী পরিচালক শীভারাম। আর বাংলাদেশে পানি প্রবাহ পর্যবেক্ষণে ৪ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের উত্তরাঞ্চলীয় ওয়াটার হাইড্রোলজি বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম জহুরুল হক, পাউবোর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম এবং সেকশন অফিসার মোফাজ্জল হোসেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পদ্মা ভরাট হয়ে যাওয়ার কারণে প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় ভারত যে পরিমাণ পানি দেয় তার চেয়েও বেশি পানি এখানে দেখা যেতে পারে।
এবার বেশি পরিমাণ পানি পাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উত্তরাঞ্চলীয় ওয়াটার হাইড্রোলজি বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম জহুরুল হক বলেন, শুস্ক মৌসুমের শুরুতে পদ্মায় এতো বেশি পরিমাণ পানি গত দুই দশকের মধ্যে রেকর্ড।
জহুরুল হক বলেন, নদীতে স্বাভাবিকের চেয়েও পানি বেশি থাকলেও তা কাজ লাগছে না। প্রায় সব পানি সাগরে চলে যাচ্ছে। আগামী ১০ মার্চ থেকে ১০ মে পর্যন্ত এভাবে পানি পাওয়া গেলে কৃষি কাজে কোনো সমস্যা হবে না। পানি দরকার সে সময়। যদিও গতকাল পদ্মার তীর ঘুরে পানি বৃদ্ধির তেমন আলামত দেখা যায়নি। নগরীর এপাড় থেকে ওপাড়ে খানপুর চরে যাবার সময় ডুবচরের অস্তিত্ব পাওয়া যাচ্ছিল। যেখানে গত মাসেও নৌ চলাচলে বিঘ্ন ঘটেনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পদ্মা

১১ জানুয়ারি, ২০২৩
৩১ অক্টোবর, ২০২২
৪ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ