বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে পলাশ মিয়া (১৫) নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে তার বন্ধু ও বন্ধুর বাবা মিলে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে। রবিবার মধ্যরাত ৩টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মারা যায়। নিহত পলাশ উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের কান্দারপাড়া গ্রামের দিনমজুর সাইফুল ইসলামের ছেলে। সে পোগলদিঘা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিল।
নিহতের বন্ধু প্রত্যক্ষদর্শী হৃদয় জানায়, পলাশ তার বন্ধু পোগলদিঘা ইউনিয়নের রুদ্র বয়ড়া গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে সাগরের কাছে দুই হাজার টাকা পাওনা ছিল। এ নিয়ে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল। রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে পলাশ আওনা ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে প্রাইভেট পড়তে যায়। এ সময় পলাশকে সাগর পাওনা টাকা দেওয়ার কথা বলে মোবাইলে রুদ্র বয়ড়ায় ডেকে নেয়। উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হলে সাগর ও তার বাবা রশিদ ধারালো কুড়াল দিয়ে পলাশের মাথায় এলোপাথারী কুপিয়ে রাস্তায় ফেলে রাখে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে যমুনা সার কারখানা ক্লিনিকে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক রাতেই তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। পথিমধ্যে রাত প্রায় ৩টার দিকে পলাশ মারা যায়।
নিহতের বাবা সাইফুল ইসলাম অভিযোগ করেন, পলাশের বন্ধু ফাহিমের ছোটভাইয়ের জন্য স্কুল থেকে জেএসসির প্রশংসাপত্র তুলতে সাগরকে দুই হাজার টাকা দিয়েছিল। প্রশংসাপত্র না তুলে সে টাকাগুলো খরচ করে ফেলে। পরে এ টাকা দেওয়ার নাম করে পরিকল্পিতভাবে তার ছেলেকে ডেকে নিয়ে পিতাপুত্র মিলে হত্যা করে। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। তার পরিবার হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তি দাবি করেন।
তারাকান্দি তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মোহব্বত কবীর বলেন, ‘হত্যাকারী পিতাপুত্র রাতেই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে। তবে সাগরের দাদি রৌশনারাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় হত্যাকারীদের আটকে অভিযান ও মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।