Inqilab Logo

শনিবার, ২২ জুন ২০২৪, ০৮ আষাঢ় ১৪৩১, ১৫ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

আইএসের উত্থানে যুক্তরাষ্ট্রের দায় স্বীকার পম্পেওর

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১২ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০২ এএম

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, ‘সিরিয়ায় উগ্রসন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসের উত্থানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রশাসন দায়ী।’ যুক্তরাষ্ট্র ও আরব কর্মকর্তাদের সমালোচনার পরও সিরিয়া থেকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের অঙ্গীকার করেছেন। মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানান পম্পেও। এর মধ্যেই সিরিয়ায় কুর্দি বিরোধী অভিযান, মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ওপর নির্ভর করে না বলে মন্তব্য করেছেন তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাওলুদ জায়েশ আওগলুু।
নানা তর্ক বিতর্কের পর নতুন করে সিরিয়া থেকে মার্কিন সেনা ফেরত নেয়ার অঙ্গিকার করলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। সংবাদ সম্মেলনে মধ্যপ্রাচ্য সংকট নিরসনে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার নীতির সমালোচনা করেন পম্পেও বলেন, সিরিয়ায় এ অঞ্চলে মার্কিন ভূমিকা দুর্বল করেছে ওবামা প্রশাসন। এজন্য আইএসের উত্থান হয়েছে। আমাদের সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আমরা সে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবো। তবে সব কিছুর পরও আমাদের আইএস বিরোধী লড়াই অব্যাহত থাকবে।
এদিকে, তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাওলুদ জায়েশ আওগলুু বলেছেন, সিরিয়া থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা না হলে কুর্দি ওয়াইপিজি গেরিলাদের বিরুদ্ধে তুরস্ক সামরিক অভিযান চালাবে। তুর্কি টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভি-কে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘তুর্কিরা কুর্দিদের ওপর গণহত্যা চালাবে এমন হাস্যকর অজুহাত দেখিয়ে যদি মার্কিন সেনা প্রত্যাহার বন্ধ করে দেয়া হয় তাহলেও আমরা অভিযানের এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করব।’ তিনি পরিষ্কার করে বলেন, ‘মার্কিন মিত্র কুর্দিশ প্রটেকশন ইউনিটসের (ওয়াইপিজি) বিরুদ্ধে অভিযান ট্রাম্পের সেনা প্রত্যাহারের ওপর নির্ভর করছে না। আমরা ময়দানে এবং আলোচনার টেবিলে দুই জায়গাতেই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সময়মতো আমরা সিদ্ধান্ত নেব এবং আমরা কারো কাছ থেকে অনুমতি নেব না।’ তিনি জানান, ট্রাম্প সিরিয়া থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করার আগেই তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান সিরিয়ায় তৎপর কুর্দি গেরিলাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন। আমেরিকা সেনা প্রত্যাহার করুক আর নাই করুক- তুরস্ক কুর্দি গেরিলাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাবে।
বৃহস্পতিবার এনটিভি চ্যানেলকে তিনি বলেন, তুর্কিরা কুর্দিদের ওপর ব্যাপক হত্যাকান্ড চালাবে এমন কোনো হাস্যকার অজুহাতে সেনা প্রত্যাহারে যুক্তরাষ্ট্র দেরি করলে আমরা সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করব। কারণ মার্কিন দাবির বাস্তবিক কোনো ভিত্তি নেই। তিনি বলেন, মার্কিন মিত্র কুর্দিশ প্রটেকশন ইউনিটসের (ওয়াইপিজি) বিরুদ্ধে অভিযান ট্রাম্পের সেনা প্রত্যাহারের ওপর নির্ভর করছে না।’
উল্লেখ্য, উত্তর-পূর্ব সিরিয়ায় এ অভিযান চালানোর কথা রয়েছে। কুর্দিশ যোদ্ধাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সম্পর্ক তুরস্কের অবস্থানের বিপরীত। আঙ্কারা ওয়াইপিজি ও তাদের রাজনৈতিক শাখা কুর্দিশ গণতান্ত্রিক ইউনিয়ন পার্টিকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বলে বিবেচনা করছে।
অন্যদিকে, তীব্র শীতের কারণে লেবাননের শিবিরে আশ্রয় নেয়া অন্তত ৭০ হাজার সিরিয় শরণার্থীর জীবন হুমকির মধ্যে রয়েছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। লেবাননের আট শতাধিক আশ্রয় শিবিরে মানবেতর জীবনযাপন করছে ১০ লাখের বেশি সিরিয় শরণার্থী। চলতি মৌসুমে এ পরিস্থিতিতে যেন আরো শোচনীয় হয়ে উঠেছে। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, তীব্র শীত ও বন্যার কারণে ৪০ হাজার শিশুসহ অন্তত ৭০ হাজার সিরিয় শরণার্থীর জীবন হুমকির মধ্যে রয়েছে। সূত্র: আল-জাজিরা, সিএনবিসি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আইএস


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ